এখন সবাই ঘুরে বেড়ায় , এটা ভালো...
এক সময় ঢাকাবাসির প্রধান খাবার ছিলো রুটি। সকাল ও রাত- দুই বেলাই ঢাকাবাসি তখন রুটি খেত। শিরমাল , চাপাতি , নান , বোগদাদি , কাকচা , ফুলচা , নানকাতিয়া ও বাকরখানি ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে বাকরখানি ছিলো এক নাম্বারে। ঢাকার বাকরখানি সারা দেশে এত প্রসিদ্দ ছিলো যে , তখন উপঢৌকন হিসাবে বাকরখানি পাঠানো হতো।
এই সময়ও বাকরখানির কদর একটুও কমেনি , বরং বেড়েছে।
বাকরখানির ইতিহাস নিয়ে নানা মত রয়েছে। আঠারো শতকের মধ্যভাগে আগা মুহম্মদ বাকের ছিলেন আজকর বাকেরগঞ্জ এর জমিদার। নর্তকী খনি বেগমকে তিনি ভালোবাসতেন। তাদের প্রেমের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় উজির পুত্র কোতোয়াল জয়নুল খাঁ।
জয়নুল একদিন খনিবেগম কে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে সাপ দেখিয়ে তাকে বশ করতে চাইলে সে সাপ উল্টো জয়নুল খাঁকেই ছোবল মারে। মরতে মরতে জয়নুল খাঁ খন্জর দিয়ে খনি বেগম কে হত্যা করেন। পরে বাকের খান মুর্শিদকুলি খাঁর কন্যাকে বিয়ে করলেও খনিবেগমের স্মৃতি মনথেকে মুছে ফেলতে পারেন নি। আগা বাকের দুজনার প্রেম অমর করে রাখতে তাই বাকের ও খনি জোড়া দিয়ে নিজের আবিস্কৃত রুটির নাম রাখলেন বাকের-খনি। যা পরে বাকরখানি হিসাবে আজও প্রশংসা অর্জন করে চলেছে।
মতান্তরে বাকরখানির ইতিহাস এমন : এটি কাস্মিরের শ্রী নগরের তৈরী রুটি। মুঘল আমলে কাস্মিরিদের সঙ্গে এই রুটির ঢাকা আগমন।
বাকরখানি বিষয় মজার তথ্যটি হলো-যেসব কারিগর তাদের সুনিপুন হাতে সুস্বাদু বাকরখানি তৈরী করে চলেছেন , তাদের কেউই ঢাকাবাসি নন। প্রায় সব কারিগরই িসলেট অঞ্চলের। অথচ সিলেটে বাকরখানি হয়না।
ময়দা দিয়ে তৈরী বাকরখানি বিভিন্ন মাপের হয়ে থাকে। বাকরখানি আরো মুখরোচক করতে অনেকেই ময়দার সঙ্গে পনির , ছানা ও মাংসের সংমিশ্রন ঘটিয়ে থাকে। সাধারনত: বাকরখানি খেতে হয় মাংস , মাংসের ঝোল , কাবাব , কোপ্তা , পনির ও চা বা দুধ দিয়ে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।