ইভ-টিজিং, নামেই আসে রোমাঞ্চ!
হাওয়াই শার্টটা গায়ে চেপে, দুধেল-নাকের নীচের নতুন রোম রোমন্থন করে - কলেজ করিডোরে, এসেম্বলি হলে, ক্লাসে শিক্ষকের চোখ ফাঁকি দিয়ে, অথবা রাস্তার কোনায় দাঁড়িয়ে সহপাঠিনীর কাজলচোখে চোখ রেখে সারা গা কাঁপানো শিহরণের তূল্য কি আর হতে পারে? আর কি আছে এই জীবনে! ইভ-টিজিং! এ তো ছিল জীবনেরই একটা রোমান্টিক চ্যাপটার! এ তো জীবনেরই এক অমূল্য ধন। কিন্তু, হায়! একটা সুইট সামার ওয়াইনও হয়ে যেতে পারে বিস্বাদ-ভিনেগার; তার ভুল ব্যবহারে, অপ অথবা অতি প্রয়োগে!
একজন তরুন তো একটা জিনিসই হতে পারে, একজন নিষ্পাপ প্রেমিক। অন্য কিছু নয়। সুইট ইভ-টিজিং! হায়, এও যেন এখন হয়ে গেল এক ভয়ানক ভিলেন! কিন্তু, কার দোষে?
ভাবছি, যারা একজন শিক্ষককে হত্যা করে, এরা না প্রেমিক, না তরুন। এদের পরিচয় একটাই, এরা খুনি।
এরা ভাড়াটে খুনি। এরা মানুষের সকল সুন্দরকে দলে-মথে পিষে ফেলার রাজনৈতিক হাতিয়ার। এদের লক্ষ্য একটাই - মানুষ হত্যা করে, মানুষকে বিভ্রান্ত করা। জনতার মনোযোগ এবং প্রতিবাদকে অন্য দিকে প্রবাহিত করা।
ছাত্রদের মিছিলে ট্রাক উঠিয়ে, লগি-বৈঠার তান্ডবে, দা-লাঠির আঘাতে, ট্রেনের ইন্জিন জনতার উপরে উঠিয়ে স্পষ্ট দিবালোকে অসংখ্য মানুষের প্রাণ হরণ করে নেয়া যাদের পক্ষে সম্ভব, তাদের কাছে একজন যত্নশীল শিক্ষক, একজন মমতাময়ী মায়ের জীবন কেড়ে নেয়া কোন কিছুই না।
নস্যি!
এরা প্রফেশনাল খুনি! এদের খুনের নেশায় এরা কিশোর রোমান্টিকতাকেও খুন করতে চায়। আমি এদের অপরাধ ক্ষমা করব না। কখনোই না!
তরুন প্রেমিক, এখনি সময় এই খুনিদের প্রতিহত করার। তোমার কিশোর নিষ্পাপ প্রেমকে বাঁচাবার জন্যই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।