আমি শুনতে পাই লক্ষ কোটি ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ...হাহাকার
.
.
.
.
যারা তার বক্তব্যের সমালোচনা করছেন, তার বক্তব্য গভীর ভাবে বিশ্লেষন না করেই সমালোচনা করছেন।
অনেকেই বলছেন যে মিতা হক টুপি দাঁড়ি ঘোমটা হিজাব পরিহিতদের কে বাঙ্গালী বলে মনে করেন না। এটা বলা ঠিক হয়নি ব্লা ব্লা ব্লা।
কিন্তু আমার কাছে ব্যাপারটি একটু অন্য রকম লেগেছে। আপনি মিতা হকের বক্তব্যের সময় তার অভিব্যাক্তি, তার আশেপাশের মানুষের অভিব্যাক্তি গুলো খেয়াল করলেই বুঝবেন।
১। “আমাদের আইডেন্টি ক্রাইসিসটা এত বাজে”............তার এই কথাতেই তীব্র ঘৃণা ফুটে ওঠে যারা ঘোমটা হিজাব পড়ে তাদের প্রতি।
২। “এখানে কেউ টুপি দাঁড়ি পড়ে নেই”............এখানে ফট করে টুপি দাঁড়ির কথা বলা হল কেন? কথা গুলো বলার সময় তার অভিব্যাক্তি ছিল ঘৃণা,বিদ্রুপে পরিপূর্ন।
৩।
লক্ষ্য করবেন তার পাশেই কিন্তু দাঁড়ি ওয়ালা তারিক আনাম বসে ছিলেন। মিতা হক কিন্তু তারিককে উদ্যশ্য করে কিছু বলেনি। বলেছে মুসলিমদের দাঁড়ি টুপির বিরুদ্ধে, যা হচ্ছে সুন্নাহ।
৪। ওয়েটিং রমের ভিতরের দৃশ্য দেখে উনি বলেছেন আমিই একমাত্র বাঙ্গালী।
(বুকে হাত দিয়ে নিজেকে নির্দেশ করে)। এখানে কিন্তু তার বাঙ্গালী বা বাঙ্গালীত্বের প্রতি ভালবাসা ফুটে ওঠেনি। ইসলামিক কালচার তথা হিজাবের উপর তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
৫। “আজকাল যারা এইটুক মুখ বের করে রাখছে (দুই হাতের আঙ্গুল চোখের সামনে এনে) তারা আর যাই হোক তারা বাঙ্গালী নয়।
(চোখে মুখে তীব্র অস্বস্তি, এবং এখানে বাঙ্গালী নয় কথাটি জোড় দিয়ে বলেছেন) অর্থ্যাৎ যারা নেকাব পরে তাদেরকে বুঝিয়েছেন। এখানে কিন্তু তার গলার আওয়াজ, মুখের অভিব্যাক্তি দ্বারা বাঙ্গালীর প্রতি ভালবাসা প্রকাশের চেয়ে ইসলামিক রীতিনীতির প্রতি ও এর অনুসরনকারীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
৬। যারা মিতা হকের আশে পাশে ছিলেন, তারা কিন্তু মিটিমিটি হেসে নিরব সমর্থন জানিয়েছিলেন।
আমার কথার মূল বক্তব্য হচ্ছে ৭১ টিভি এমন একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে যেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে পরোক্ষ ভাবে ইসমালিক রীতি নীতির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছে।
এবং নিয়মিত ভাবে এমন হচ্ছে। এইখানে আমরা বাঙ্গালী কি বাঙ্গালী না এটা মোটেও বড় ফ্যাক্টর না।
ইদানিং ইসলাম ও ইসলামিক কালচারের উপর সূক্ষভাবে বিদ্রুপ প্রকাশ করা ভয়াবহ রকম ভাবে বেড়ে গিয়েছে। এখন প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে কোন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নারী হিজাব পড়তে পারে না, হিজাব হচ্ছে মরুভূমির পোশাক, পতিতাদের পোশাক।
দেখা যাচ্ছে যে মুক্তিযুদ্ধ, নারী অধিকার, প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা, বাঙ্গালীত্ব ইত্যাদি শব্দ হচ্ছে তথাকথিত বামপন্থি প্রগতিশীল সেক্যুলারিস্টদের ব্যাবসা করার উপাদান মাত্র।
আসল উদ্যেশ্য হচ্ছে ইসলাম ও ইসলামিক কালচারকে ক্রমাগত ভাবে, সূক্ষভাবে আক্রমণ করে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী করা।
এইসব সেক্যুলারিস্ট দু পয়াসা কামানোর জন্য নাস্তিক মিডিয়ার টক শোতে এসে বমি করে দেয়। আমাদের শুধু একজন দুই জনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে চলবে না। প্রতিবাদ করতে হবে সমস্ত ভন্ড বামপন্থি সেক্যুলারিস্টদের প্রতি। নাহলে এরকম চলতেই থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।