ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড নিয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনা করেননি। এমনকি এ বিষয়ে তাঁকে যাতে কথা বলতে না হয়, সে জন্য তিনি সোভিয়েত পলিটব্যুরোর বিকল্প সদস্য সোলোমেন্তসেভের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে যান। এই সোভিয়েত নেতা অভ্যুত্থানের অব্যবহিত পরই উত্তর ভিয়েতনাম থেকে মস্কো ফেরার পথে নয়াদিল্লিতে যাত্রাবিরতি করেছিলেন।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড বইয়ে ১৯৭৫ সালের ৩ অক্টোবরে প্রস্তুত করা সিআইএর একটি প্রতিবেদনের বরাতে এই তথ্য ছাপা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা ভারতে তাঁর সরকারকে অস্থিতিশীল করা এবং নিজের প্রাণ-নাশের জন্য সিআইএকে সন্দেহ করতেন।
মুজিব হত্যাকাণ্ডের পরে তাঁর নিজের জীবনেও অনুরূপ অবস্থা কল্পনা করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছিলেন। ১৫ আগস্ট এক জনসভায় তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে সেখানে আসল কথাই বলতে ভুলে গিয়েছিলেন।
একাত্তরে হেনরি কিসিঞ্জারের পক্ষে কলকাতায় মোশতাক-জহিরুল কাইউম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী মার্কিন কর্মকর্তা জর্জ বি গ্রিফিনকে ‘সিআইএর কিলিং এজেন্ট’ হিসেবে সন্দেহ করা হতো। গ্রিফিন বলেছেন, ‘ইন্দিরার সুইজারল্যান্ড সফরের সময় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। কর্মকর্তারা কিছু তার ছেঁড়া দেখে আমাকেই এ জন্য দায়ী করেন।
ভারতে জরুরি অবস্থা জারির অন্যতম কারণ হিসেবেও আমাকেই দায়ী করা হয়েছিল। ১৫ আগস্টের পর ইন্দিরা রাতে শয়নকক্ষের দরজা অল্প ফাঁকা রেখেও ঘুমাতেন। ’ ওই সময় ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম স্যাক্সবি অভ্যুত্থানের পরপরই ইন্দিরাকে দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রাসাদপম অট্টালিকা রুজভেল্ট হাউসে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। এ ধরনের আমন্ত্রণে ইন্দিরা দীর্ঘদিন সাড়া দেননি। বিস্মিত রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, ইন্দিরা এবার তাঁর আমন্ত্রণ রক্ষা করেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।