"রাজনীতি মানুষের কাজ, ছাগুদের উচিৎ কাঁঠাল পাতা চিবানো, লোকালয় থেকে দূরে গিয়ে!"
আজকের দিনটি ক্ষমা প্রার্থনার,
ক্ষণগুলো নতমস্তকে কিছু শব্দ বুনবার,
শোকের প্রাবল্যে হওয়া কাতরতার,
আজকের সময়গুলো ভেঙে পড়ার।
আজ কালোর জয়, পিতৃশোকের লগ্ন,
চশমাটা, পাইপটা একান্তে-নিভৃতে ছুঁয়ে
ত্যাগিও অশ্রু খানিক, হও স্মৃতিতে মগ্ন!
আজ বাতাসের কান্নাগুলোর গল্প হবে,
বিষণ্ণ কষ্টগুলো আর্দ্র হয়ে জেগে রবে।
আজ স্বাধিকার পরাধীন হবার ইচ্ছে !
আজকের দিনটি কর্কশতার, বেদনার,
অস্তিত্বে নীলগুলো খুঁজে ফেরা কান্নার,
মাতমে মাতমে আবার উঠে দাঁড়াবার,
আবার কেঁদে কেঁদে হওয়া প্রেরনার।
আজকের ভোর প্রেমিকের মৃত্যুদিবস,
মাটিকে মুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদা মহাত্মার
মহাপ্রয়াণ অস্বীকারিয়া বলা, তুমি নির্দোষ!
কান্নামাখা দরদে আবীর ঢেলে দেবার নির্মমতা
প্রত্যক্ষ করিনি বটে তবু জেনেছি সে আকুলতা!
জেনেছি কি আবেগে বেসেছো ভালো পিতা,
বেঁচেছে প্রেরনায় সে, জাগ্রত জনতা।
বঙ্গবন্ধু তার বড় শক্তির কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন জনগনের তার প্রতি ভালোবাসার কথা।
আর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল, তিনি বাংলার মানুষকে প্রচণ্ড বেশী ভালোবাসতেন! আমরা জাতি হিসেবে অনন্য, ভালোবাসার সর্বোত্তম প্রতিদান আমাদের থেকে ভালো আর কে দিতে পারে?
আজ আমি চিৎকার করে বলবো, জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!! আমাকে 'আওয়ামীলীগ' বলবেন? গালি গালাজ করবেন? আপনাকে ধন্যবাদ দেই, এবং গালিটুকু হাঁসিমুখেই গ্রহন করবো! আজ যে আমার পিতৃশোকে মাতমের দিন! আজ আমাকে সান্ত্বনা কেউ দেবে না জানি তাই গালির ভয় কেন করবো! সাড়ে সাত কোটি থেকে ষোল কোটির আরেক নাম হওয়া মুজিবরকে ভালোবেসে পাওয়া গালিও আমার কাছে রাজ মুকুটের ন্যায়। এই মহামানবকে ভালোবেসে পাওয়া সব কিছুই অনেক বেশী পবিত্র যে!
তোমাকে হারাবার দুঃখ আমি চিনিনা পিতা, তবু বারে বারে চোখ কেন ভিজে আসে আমার জানা নেই। আমি দেখিনি তোমার রক্তাক্ত দেহখানি তবু তার নির্মমতা কেন আমাকে আলোড়িত করে আমি জানিনা। নিজ কানে শোনা হয় নি সে বজ্রকন্ঠ, তোমার বানী বাবার মুখে শুনে তবু কেন শিহরিত হয়েছি সে প্রশ্নের উত্তরও অজানা। বঙ্গবন্ধু, ভালোবাসি তোমাকে, অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে! যদি আরেকবার জন্মাতে এই অভাগা বাংলার বুকে! বুক পেতে তোমার জন্য বরাদ্দ বুলেটখানি জন্ম জন্মান্তরে নিতে আপত্তি নেই এতোটুকু! সেই যে দিশাহীন তরীখানি ফেলে চলে গেলে, আজ পর্যন্ত পথের খোঁজে হন্যে হয়ে সে ভূখণ্ডখানি ভেসে চলে! সেই ভূখণ্ড যা অর্জনে বিসর্জনের ছিল না কার্পণ্য! সেই মাটি যার সোঁদা গন্ধ বুকে মেখে কেঁদেছিলে প্রচণ্ড সুখের হাঁসি! আমি গর্বিত সেই আলো-হাওয়া ভাগ করে নিতে পেরেছি যা তোমার স্পর্শে হয়েছিল মহিমান্বিত!
পিতা, তুমি অমর, তুমি মহান! তুমি রয়েছ এই বাংলার প্রতিটি বালুকণায়, প্রবল অট্টালিকার প্রতিটি গাঁথুনিতে! এই বাংলার প্রতিটি আত্মা কৃতজ্ঞ রইবে তোমার কাছে! আর ক্ষমা করো সে সব বেঈমানদের, জারজদের যারা পিতৃপরিচয় অস্বীকারের ধৃষ্টতা দেখায়, প্রতিনিয়ত এই বাংলা মা-কে করে নির্মম অপমান! আমি তো জানি তোমাকে! অন্তর দিয়ে ওই মুখখানি একবার যে দেখেছে সেই বুঝেছে, ওই বুকের মাঝে মানচিত্রটা নিয়েই লুটিয়ে পড়েছিলে পিতা! তোমাকে কোন উপাধি দেবার অন্যায় করতে চাইনা, শুধু ভালোবাসা জানাই।
তোমার নিথর দেহখানি, রাসেলের নিস্পাপ চাহুনি আমাকে বলে দেয় দেশকে ভালোবাসতে, বলে দেয়, 'হ্যাঁ, মায়ের জন্য অকাতরে জীবন দেয়া চলে!' বলে দেশপ্রেম এর অর্থ জানতে চাইলে ওই ব্যাক্তিত্বের দিকে তাকাও! তোমার প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়েই যে পতাকার লালটুকু আরও গাঢ় হয়ে পূর্ণতা পেয়েছে!
তোমার ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলার মাটিতে তুমি শুয়ে আছো, ও রক্ত মেঝের ধুলিতে গিয়ে মিশেছে, ওই হাড়-মাংস মিশেছে তোমারই ভালোবাসার মৃত্তিকায়! তাই আজ চিৎকার করে বলবোই পিতা, অনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে, অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে,
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।