লেফ রাইট করলে ধান উদপাদন হয় না। কিন্তু ধান উদপাদকদের রক্ষা করতে লেফ রাইটের প্রয়োজন হয়। আমি নিশ্চিত লেখক সেনাবাহিনীর আইএসএসবি থেকে রিজেক্টেড । অন্যথায় কোন কাম কাজ না করে এত বড় লেখার অবতারনা করা অনেকটা দুরহ বিষয়। সেনাবাহিনী প্রতিবছর ৫০০০০ হাজার শত্রু তৈরী করে।
তারা হল যে সমস্ত ক্যান্ডিডেট আর্মির্তে চান্স না পায় তারা আরর্মির বিষোদাগার করে থাকেন। আপনারা যদি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লেখকদের অতীত বিশ্লেষন করলে বুঝবেন তারা কোন না কোন ভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগদান করতে পারেননি কারন সামরিক বাহিনী শারিরিক,মানসিক ও মেধাগত ভাবে যোগ্য প্রাথীদের নিয়ে থাকে। এতে এ+ পাওয়া ছাত্র/ছাত্রীরা বাদ পরতে পারে। বরতমানে সামরিক বাহিনী ৪০ শতাংশ অফিসারের ঘটতি আছে। সামরিক বাহিনীর এ ঘাটতি পুরন করা যাচ্ছে না কারন সামরিক অফিসারদের ক্ষেত্রে কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ করার সুয়োগ নাই।
ক্যাডেট কলজের একটা মেধাবী ছেলে চিন্তা করে সকাল-বিকাল লেফট/রাইট করে মাসে ১৬০০০ টাকা বেতনে চাকুরী করার চেয়ে এমবিএ করে নুন্যতম ১০০০০০ টাকা বেতনে এসি অফিস ও এসি গাড়ীতে নিয়ে চাকুরী করাটা অনেক ভাল । মেধা সংকট কাটানোন জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি সেনা কর্মকরতাদের বেতন তিনগুন করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে একজন অফিসার নুন্যতম কর্ণেল পদমরযাদায় রিটায়ার করে (আমাদের দেশে করে মেজর রেংকে),৬ বছর চাকুরী শেষে টেক্স ফ্রি গাড়ী কিস্তিতে ক্রয় করে,১৮ বছর চাকুরী শেষে প্লট পায়। সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক ধরনের সাবসিটি পায়। অথচ দক্ষতা ও মেধায় তাদের অফিসাররা বাংলাদেশী অফিসারদের থেকে পিছিয়ে আছে।
এর প্রমান মেলে মিশনে ও বিভিন্ন কোর্সে। DOHS-এ সকল অফিসারদের প্লট দেয়া সম্ভব নয়। শুধুমাত্র ব্রিগেডিয়ার হতে পারলে DOHS-এ প্লট পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই বিডিআর ঘটনার পর চিন্তা আসল যেহেতু এই চাকুরীতে বেঘোড়ে অফিসাররা মারা পরে এবং তাদের কম বেতনের(অনান্য পেশার মত উপরি নেই) চাকুরীতে জমি কেনা অতন্ত্য দুরহ,তদুপরি তাদের চেয়ে কম মেধা সম্পন্ন অনান্য পেশার মানুষ অনেক বেশী সম্পদ সমৃদ্ধ তাই ভবিষ্য নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করে এগুলো করা হয়। মেধাসম্পন্ন ছাত্রদের এসিতে রাখা বাদ দিয়ে পখর রোদে লেফট/রাইট করাবেন আর তার প্রাপ্যটা জাতীয়ভাবে দিবেন না এটা অযৌক্তিক।
AHS বড় করে করার পিছনে কারন হল আগামী দশ বছরে আরর্মিতে অগত অফিসার অথবা যারা অবসর নিয়েছেন কিন্তু ডিওএইচএস পাননি তাদের জন্য ব্যবস্থা করা। DOHS এ যত সুরম্য অট্টালিকা দেখা যায় তা কোন অফিসারদের নিজের টাকায় করতে পারেনি। ওখানকার অধিকাংশ অধিবাসী সেনাসদস্য নয়। কারন ডেবলাপার দিয়ে করিয়ে অধিকাংশ ফ্লাটই ডেবলাপারদের দেয়া হয়েছে। ক্যাপ্টেন আর জেনারেলদের যে তুলনা করেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল কারন এতে তিনি সেনাবাহিনীর ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন।
ক্যাপ্টেন আর জেনারেলের মধ্যে শ্রেনীগত কোন বিভেদ নেই। আজকের ক্যাপ্টেন আগামী দিনের জেনারেল। সৈনিকদের আবাসনে সমস্যা হল তারা নিজ গ্রামে জমি ক্রয় করতে চায় ফলে অধিক মুল্য দিয়ে শহরে জমি ক্রয় করায় তারা কম আগ্রহী হচ্ছে। রুপগন্জের বিষয়টির সমস্যা হয়েছে আয়তনগত। কারন বর্তমানে চাকুরীরত অফিসারদের প্রয়োজনের অধিকাংশ জমি ক্রয় হয়ে গেছে যখনই ভবিষতে আগত অফিসারদের বিষয়ে চিন্তা করা হল এবং অবসর প্রাপ্ত অফিসারদের বিষয়ে চিন্তা করা হল তখনই বিপত্তি বেধেছে।
এটা যেটা করা যেত জায়গার প্রাপ্যতা উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো ছোট ছোট প্রজেক্ট করা সমিচীন ছিল। তবে একটা বিষয় হয়ত সেনাসদস্যরা মনে রাখতে পারতেন যদি ১০০০০ সেনা কর্মকর্তার্ আবাসন গাজিপুরেও করা হয় তবুও সে পরিবেশ উন্নত হতে বাধ্য কারন উন্নত শ্রেনী,উন্নত মানসিকতা, দেশপ্রেমিক ও সত সেনাকর্মকর্তারা দেশের যেকোন স্থানেই মুল্যবান পরিবেশ গড়ে তুলবেন। সরকার বেসরকারী উদ্দোগ্যে না করে বরং পূরবাচলের অনুরুপ অবাসন গড়ে তুলে সেনাবাহিনীর সকল সদস্য(সৈনিকসহ) কমমুল্যে আবাসন গড়ে দেয়া উচিত অন্যথায় সাধারন জনগনকে রক্ষা করার জন্য লেফট/রাইট –এর মত কষ্টকর বাহিনীতে কেউ যোগ দিবে না । আর জাতীয় সেনাবাহিনীর বিষোদাগার করে জাতীয় বাহিনীকে যারা ধ্বংশ করতে চায় তাদের জরুরী ভিত্তিতে রাষ্টদ্রোহিতার মামলায় আটক করা উচিত যা কিনা আমরিকায়ও এ ধরনের অপরাধ সহ্য করা হয় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।