যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.
হ্যা, এটা অবধারিত সত্য কথা। আর এটা মেনে চলেন এমন মানুষের সংখাও এ দেশে কিন্তু কম নয় । কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের ২ কি ৩ বছর পর তাদের মধ্যে মিল নাই। সংসারে শান্তি নাই। এমন কি এও দেখা যায় যে ১০ বছর সংসার করার পর শান্তি নষ্ট হয় ।
এতে করে সন্তানের উপর যে পরিমাণ প্রভাব পরে তা অতুলনীয়। কারণ সে বাবা আর মা এর কাছ থেকেই সব কিছু শিখে। অনেকে আছেন সন্তান এর সামনেই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে যান।
এমন অনেক হাজারো সমস্যার ভিড়ে আমাদের জীবন চালিয়ে নিতে হয়। এমন অনেক কেই বলতে শুনেছি স্ত্রী তার স্বামী এর জন্য অনেক কিছুই করেন।
কিন্তু স্বামী মেজাজ খারাপ করতে থাকেন। এমন কি ঝগড়াও শুরু হয়ে যায় এ নিয়ে। পরে স্ত্রী কষ্ট পেতে থাকেন। এতে করে ২ জনের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নেয়। এই ক্ষোভ এক সময় প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
তাই ২ জনের মধ্যে ভালবাসা, সম্মান ধরে রাখা অবশ্যই দরকার। তাহলে আসুন জেনে নেই কে কি করে তাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখী করতে পারেন।
স্ত্রীদের ক্ষেত্রে -
অনেক সময় দেখা যায় স্বামী অফিস করে সারাদিন পর বাসায় আসলে স্ত্রীরা তাদের সাথে সমানে কথা বলা, সংসার এর সমস্যা, চিল্লা পাল্লা করেন। কিন্তু এটা একদম উচিত না। যদিও সারাদিন না দেখে থাকেন কিন্তু তারপর ও কিছু করার থাকে না।
যতটুকু দরকার ততটুকু করলেই ভাল। যেনে নিন -
• সারাদিন পর বাসায় আসলে কখনই সেই সময় তার কাছে বেশি যাবেন না।
• হাল্কা কথা বলতে পারেন।
• পরিবারের সমস্যা গুলো পরে বলার চেষ্টা করুন।
• তাকে আপন মনে নিজের কাজ করতে দিন।
• তাকে বার বার একই প্রশ্ন করে বিরক্ত করবেন না।
• কোন কাজ এ সন্দেহ করবেন না।
• খাবার চাইলে নিজের হাতে বেড়ে খাওয়াবেন। তার সাথে একসাথে বসে খেতে চেষ্টা করুন।
• মাঝে মাঝে হাল্কা হাসি ঠাট্টা করুন।
মন ভাল থাকবে এতে।
• তাকে মাঝে মাঝে surprise দিতে চেষ্টা করুন।
• রাতে অফিস এর কাজ এ সে ব্যস্থ থাকলে তাকে শুধু বলতে পারেন কখন সে ঘুমাতে আসবে। কিন্তু তার কাজ এ ব্যঘাত ঘটাবেন না।
• ছুটির দিন গূলোতে একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।
• তার পরিবারের মানুষজনকে নিয়ে অন্যরকম মন্তব্য করবেন না।
• তার জন্মদিনে তাকে বিশেষ কিছু দিয়ে অবাক করে দিতে পারেন।
• সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও তার সাথে ফোন এ যোগাযোগ রাখতে পারেন।
এখন এতসব কিছু মেনে চলা আপনার পক্ষে হয়ত সম্ভব না। কিন্তু এটা করে দেখুন।
আপনি যদি আপনার স্বামী কে ভালবেসে থাকেন তাহলে সেও তখন অনুভব করবে এই ব্যাপারটা । তখন সে নিজে থেকেই এসে কথা বলবে আপনার সাথে।
স্বামীদের ক্ষেত্রে -
সংসার এ ২ জনেরেই অনেক দ্বায়িত্ব থাকে। যা কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। কিছু কিছু কাজ আছে যা স্বামী এড়িয়ে যেতে পারেন না।
আর এড়িয়ে গেলেই সমস্যা। যেমন ধরেন -
• সংসার এর সব কিছু আপনার না দেখলেও চলবে। কিছু কিছু ব্যাপার আপনার স্ত্রী এর উপর ছেড়ে দিন।
• সন্তানদের দেখভাল করার দ্বায়িত্ব ২ জন মিলে করুন।
• মাঝে মাঝে surprise দিতে চেষ্টা করুন।
• বিশেষ বিশেষ দিন গুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন।
• মাঝে মাঝে সন্তানদের বাসায় রেখে হুট করেই ঘুড়তে বের হয়ে যেতে পারেন।
• তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন।
• তাকে বিশ্বাস করুন।
• মাঝে মাঝে ২ জন মিলে রান্না করতে পারেন।
• তার কথাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন।
• সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও তার সাথে ফোন এ যোগাযোগ রাখতে পারেন। ফোন করে তাকে যেআপনি মিস করছেন জানিয়ে দিন।
• তার কাজের প্রশংসা করুন। এটা তারা সবসময় চান।
• তার পরিবারকে নিয়ে বাজে কোন মন্তব্য করতে যাবেন না।
এরকম অনেক ব্যপার আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। তবে একটা জিনিষ সেটা ২ জনের ই দরকার সেটা হল ২ জনকেই romantic হতে হবে।
আজকে আর না। বিদায় ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।