বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অনিবার্য কারণে দলবদল স্থগিত করা হয়েছে। আগামী বুধবার পেশাদার লিগ কমিটির সভা শেষে দলবদলের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
বাফুফে কারণ না জানালেও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া মনে করেন, এখনো বাই লজের অনুমোদন না হওয়াই দলবদল স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণ।
তিনি বলেন, “প্রিমিয়ার লিগের বাই লজের অনুমোদন হয়নি। এই অনুমোদন ছাড়া দলবদলের আয়োজন করা সম্ভব নয়।
আমরা অবশ্য দলবদলে অংশ নিতে প্রস্তুত। ”
এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, “বাই লজের অনুমোদন না হওয়ায় ক্লাবগুলো হয়তো ভুল ধরতে পারে। তাই সব ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে আমরা দলবদল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
দলবদল পিছিয়ে গেলেও এরই মধ্যে ঘর গুছিয়ে ফেলেছে শিরোপা প্রত্যাশী দলগুলো। তবে তা নিয়ে জটিলতাও তৈরি হয়েছে।
কয়েক জন ফুটবলার দুই ক্লাব থেকে টাকা নেয়ার জন্যই এই জটিলতা।
তারা হলেন গত মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে খেলা ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন, ডিফেন্ডার মামুন মিয়া ও নাহিদুল ইসলাম, স্ট্রাইকার মিঠুন চৌধুরী এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে খেলা ফরোয়ার্ড শাকিল আহমেদ।
জাহিদ, মামুন, নাহিদুল ও শাকিল মোহামেডানের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর শেখ রাসেলের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। মিঠুন টাকা নিয়েছেন আবাহনী লিমিটেড ও শেখ রাসেলের কাছ থেকে।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে লোকমান হোসেন বলেন, “এই চার জন আমাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে নিয়েছেন।
তারা আবার প্রকাশ্যেই শেখ রাসেল থেকেও টাকা নেয়ার কথা বলছেন। এক জন ফুটবলারের দুই ক্লাব থেকে টাকা নেয়া কতটা নৈতিক?”
“বাফুফে থেকে বলা হয়েছিল, ৫ অগাস্টের মধ্যে ফুটবলাররা যেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলে। কিন্তু ঐ চার জনের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।