আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'মন্ত্রণালয়ের ভুল': বরখাস্ত ২ শিক্ষা কর্মকর্তা



বঙ্গবন্ধুর নামের বানান বিকৃত করার কথিত অভিযোগে সাতক্ষীরা ও পিরোজপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলেন সাতক্ষীরার পঞ্চানন বালা এবং পিরোজপুরের পারভীন জাহান। বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে ফ্যাক্সের মাধ্যমে তারা বরখাস্তের চিঠি পান। তবে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের একটি চিঠিতে বঙ্গবন্ধুর নাম 'বাঙ্গবন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করে এখন সেই ভুলের দায় চাপাতে তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ব্যবস্থা নিয়েছে। বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুর রউফ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের ভুল এবং এ দায় এড়াতে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে এই দুজন কর্মকর্তা যে দাবি করেছেন সেটা ঠিক নয়।

তিনি বলেন, "এই দুই কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। " অভিযুক্ত কর্মকর্তারা জানান, গত ২৬ অগাস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের (সংস্থাপন) উপ-পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক স্মারকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১০ এর নীতিমালা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা দেশে পাঠানো হয়। কিন্তু এর প্রচ্ছদে বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃত করে 'বাঙ্গবন্ধু' গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উল্লেখ করা হয়। অবশ্য কয়েকদিন পর তা সংশোধন করে একটি চিঠি পাঠানো হলেও তাতে সংশোধিত কথাটি উল্লেখ ছিলো না। সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা বলেন, ওই নীতিমালাটি আসার পরপরই বঙ্গবন্ধু নামের বানান শুদ্ধ করে তিনি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাঠান।

কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্তের একটি আদেশ বৃহস্পতিবার বিকালে ফ্যাক্সের মাধ্যমে তাকে পাঠানো হয়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতভাবে থাকা ওই ভুল চিঠিটি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে বিতরণ করে। এ কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে পঞ্চানন বালা বলেন, "এমন কোনো চিঠি আমি পাঠাইনি। ভ্রান্ত চিঠিটি ই-মেইল থেকে ডাউনলোড করে আমাকে ষড়যন্ত্রে ফেলা হয়েছে।

" পারভীন জাহান বলেন, "ফ্যাক্সবার্তায় সাসপেন্ডের আদেশ পেয়ে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। ঢাকা থেকে পাওয়া ওই নীতিমালার প্রচ্ছদের ভুল আমি নিজেই সংশোধন করে দিয়ে প্রতিটি উপজেলায় পাঠাই। " কাউখালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হক বলেন, "ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল আড়াল করতে গিয়ে এখন 'উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে' চাপিয়ে দিয়েছে। "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.