কাতর প্রভাত যাতনা ভারে যখনই হইবে ভারী, এক পেয়ালা কুয়াশা তুলিয়া চলিব রাতের বাড়ি।
জলধি পাড়ে আনমনে বসি,
গাহিতেছিলাম গান।
কে যেনো পেছনে আচমকা আসিয়া,
মারিলো হ্যাচকা টান।
মেজাজ চড়িলো সপ্তমে গিয়া,
তাকাইলাম ঘাড় বাকিয়া।
মেজাজ এবার অষ্টমে গেলো,
দেখি আয়শা টাকিয়া ।
বেয়াদপ মেয়ে কোথা পানে আসি,
ভাঙ্গিলো আমার ধ্যান।
আমায় দেখিয়া আসিতেছে তেড়ে,
এ যে সুস্মিতা সেন ।
বিপদে মোরে রক্ষে করো,
তোমা পানে মোর আর্জি।
ধাক্কা খাইয়া ছিটকে গেলুম,
তুলিলো রানী মূখার্জী ।
হাতে একখানা কাগজ গুজিয়া,
কহিলো আসিয়ো হোটেল।
আমি আছি, মোর সাথে রহিয়াছে,
কাজল ও আমিশা প্যাটেল ।
ছুড়িয়া তাহার চীরকুট কহি-
জীবনে দেখিলাম কত্ত,
ঠিক তখনই বাজিতেছে ফোন,
করিয়াছে লারা দত্ত ।
ছুঁড়ে ফেলে ফোন সমুদ্র জলে,
চলিলাম তির ঘেষে।
উদ্ভট দাবি লইয়া দাড়াইলো,
ক্যাটরিণা কাঈফ এসে।
আমি নাকি তার ছেলের জনক,
এ কি দাবি হে মাওলা!!
গতবছর এই দাবি তুলিয়াছে,
বজ্জাত জুহি চাওলা ।
এই লইয়া কত কি যে হইলো,
মুখ দেখাইতে পারিনা।
সেইদিন পাশে দাড়াইয়াছে আসি,
শিল্পা শেঠী ও কারিনা ।
ভাবিতে ভাবিতে হোটেলে ফিরিয়া,
খুঁজেতেছিলাম চাবি।
প্রিয়াংকা চোপড়া চাবি হাতে লইয়া,
জুড়ে দিল এক দাবি।
তাহাকে লইয়া কাটাইতে হইবে,
এই রুমে এক রাত।
শুনিয়াছি ঠিক পাশের রুমে,
মল্লিকা শেরাওয়াত ।
এই আশা তোর হইবে না পূরণ,
বুঝিয়াছি এখানে আর না।
বিমানের টিকেট কাটিয়া দেখি,
পাশে টুইংকল খান্না ।
বিমান ছাড়িয়া বাসে চড়িলাম,
যাইবোনা বিমানে, ধুত!
আমায় দেখিয়া মুচকী হাসিলো,
কাংগানা রানাউত।
সারাটা পথ টাংকী মাড়িলো,
খারাপ মেজাজ ও মন।
তাহার পাশে বসি কম যায়নি,
দিপীকা পারুকন ।
আট ঘন্টা পরে ঢাকা নামিয়া,
ঘোলা দেখিতেছি চোখে।
হঠাৎ ময়ূরী কোথা হতে আসি,
প্রকাশ্য দিবালোকে-
জড়াইয়া ধড়ি- দুই গালে মোর,
যেইনা দিল চুমি।
আতংকে আর উৎকন্ঠায়,
ভাঙিয়া গেলো ঘুমই।
এত সুন্দর স্বপ্ন মাঝে সে,
কোত্থেকে এলো উড়ি।
স্বপ্নের শেষে বিপাশা না এসে,
এল মোটকী ময়ূরী ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।