রূদ্ধ সম্ভাবনার অসম্ভবে অবিরত কর্ষণে উচ্ছল পংক্তিমালা কান্ত হয়নি কখনও
শাহীন আঁখি
ফাতমা । ছোট্ট রাজকুমারী।
ভীষণ আদুরে। সাগর তীরের সুন্দর একটা প্রাসাদে তার বাস।
সে প্রাসাদের বাগানে আছড়ে পড়ে লোহিত সাগরের ঢেউ।
প্রাসাদের পাশেই আছে শীতল বাতাস বয়ে যাওয়া সুন্দর একটা পার্ক। আর চোখ জুড়ানো রাজকীয় এক কৃত্রিম ফোয়ারা।
সমুদ্র থেকে আট-দশ তলা সমান উঁচুতে পানি উঠে অপূর্ব ভঙ্গিতে আবার সমুদ্রেই মিশে যায়। চারদিকে তৈরি করে জলপ্রপাতের কুয়াশা। রাতের ফোয়ারায় নানা রঙের আলো যখন নেচে ওঠে মনে হয় পানির রাজ্যে নাচ্ছে জলপরীরা।
সমুদ্রে বেড়াতে ইচ্ছে হলে জাঁদরেল রাজ আমলা দাদার বোটে করে প্রাসাদের সিকিউরিটি গার্ড আর গভর্নেস সাবেরাকে সাথে করে বেড়াতে বেরোয় ফাতমা। ও যেন এক জলকন্যা সমূদ্রে ঘুরতেই ও সবচে’ বেশি পছন্দ করে। ফাতমার সামান্য একটু কষ্ট বা আনন্দ নষ্টের কথা কেউ ভাবতেই পারে না। ওর হাসি মুখের জন্য সবাই থাকে ব্যতিব্যস্ত।
বাবা- মা এবার হজে যাবেন ঠিক করেছেন।
হজের সময় ছয় সাতদিন বাড়ীর বাইরে থাকতে ওর কষ্ট হবে ভেবে ওকে না নেয়ার কথাই ভাবলেন। নানা সমস্যা- অসুবিধার কথা অনেক ক’রে বুঝালেন।
পাঁচ বছরের ফাতমারও আর আপত্তি থাকলোনা। বাইরে অত্তো ঝক্কি ঝামেলার কথা শুনে বাড়ীটাকে তার নিরপদ আশ্রয় বলেই মনে হলো। মারিয়ার সাথে স্পোর্টস কারটায় ক’রে বাগানে - পার্কে ঘুরবে।
বোটে করে সমুদ্রে বেড়াবে।
উসায়িদের গভর্নেস মারিয়া খৃস্টান বলে বাড়ীতে থেকে যাবে। মায়ের সাথে যাবে ফাতমার ইন্দোনেশিয়ান গভর্নেস সাবেরা।
কয়েকদিন ধরেই , মা আর সাবেরার লাগেজ গোছানো দেখছে ও। মায়ের সাথে যাবে বড় ভাই সাত বছর বয়সী তালাল আর সাত মাস বয়সী ছোট্ট উসায়িদ।
বাবা আর তালালের জন্য কেনা হয়েছে তিন সেট করে ইহরামের কাপড়। কাপড়গুলো নেড়েচেড়ে দেখে আবার প্যাকেটে রেখে দেয় ফাতমা।
এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে ও উসায়ীদের রুমে এসে দাঁড়ায়। ছোট্ট ভাইয়াটা হাত পা নেড়ে খেলছে। সাবেরা বলেছে হজ পাঁচ দিনের হলেও জেদ্দা থেকে যেতে আসতে পুরো ছয়দিনই লেগে যাবে।
পুরো ছয়টা দিন ওকে দেখতে পাবের না!!
এক... দুই... তিন... গুণতে শুরু ক’রে- উফ্ ছয় দিনতো অনেকগুলো দিন। এত্তো দিন ওকে দেখবে না! পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করে ছোট্ট রাজকুমারীর মনে।
সাবেরাকে সাথে ক’রে সুইমিং পুলে টিউবে ভেসে সাঁতার কাটল কিছুক্ষণ। দুপুরের খাবার খুব সামান্যই খেল। কিছুই ভাল লাগছেনা ফাতমার।
আম্মু এসে জানতে চাইলেন কি হয়েছে মামনি? কিছু না বলে থমথমে মুখে টিভি ছেড়ে কার্টুন দেখতে বসল ও। বেশ কিছুক্ষণ কার্টুন দেখল। কিন্তু না খারাপ লাগাটা কমছে না।
বেডরুমে চলে এল ঘুমাতে। রিডিং রুম, লাইব্রেরী, বেডরুম আর বেশ বড় একটা ইনডোর গেমস হল এই নিয়ে ছোট্ট রাজকুমারীর নিজস্ব জগত।
কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ ক’রে ঘুমিয়ে পড়ল। স্বপ্ন ওকে নিয়ে গেল মেঘের রাজ্যে। কি সুন্দর মেঘ ঘন বনের মতো। আকাশে কেউ যেন সাদা তুলোর গাছ লাগিয়েছে। গাছগুলোর শেকড়-কাণ্ড, ডাল-পাতা সবই সাদা তুলোয় বানানো।
অনেকক্ষণ উড়ল ও নানা রকম গাছের ফাঁকে।
বেরোবার পথ পেলনা কিছুতেই। কেবলই মেঘের বন। বহু চেষ্টার পর বেরিয়ে দেখে অনেক উঁচু উঁচু পাহাড়। বেশ কিছুক্ষণ পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়াল।
তারপর চলে এল সাগর পাড়ের ঝর্ণায়। ঝর্ণায় ভিজতে ভিজতে ওর ঘুম ভেঙ্গে গেল।
উহ্ আহ্ করে ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলতেই দেখে সাবেরা তাকিয়ে আছে ওর দিকে। সাবেরা ওকে বিকেলের ড্রেস পরিয়ে নিয়ে এল ডাইনিং-এ।
আম্মু আর ভাইয়াসহ নাস্তা সেরে বাগানে ঘুরতে বেরুল সাবেরার সাথে।
আর বারবার গেটের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে থাকল আব্বুর। আমেরিকায় বিজনেস ট্যুর শেষে আজকে সন্ধ্যায়ই তার ফেরার কথা। জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে ওদের ভিলা ত্রিশ মিনিটের পথ।
কয়েক বিঘা জমির ওপরের এ বাগানটার বেশির ভাগ জুড়ে রয়েছে নানা প্রজাতির খেজুর গাছ। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পাম গাছও আছে প্রচুর।
আছে অনেক অনেক অর্কিড আর মওসুমী ফুলের গাছ।
সাহারা মরুভূমির ক্যকটাস ‘গ্র্যান্ড মাদারস টাঙ্গ’ সাত আট ফুট উঁচু হয়ে সবুজ তলোয়ারের মতো দাঁড়িয়ে আছে। এ ক্যাকটাসটা খুব প্রিয় ফাত্মার। ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে সে। তার পাশেই উড়ে যাবার ভঙ্গিতে ঝুলে আছে ‘বার্ড অব প্যারাডাইসের’ অনেকগুলো থোকা।
ছোট্ট রাজকুমারী মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ফুলগুলোর দিকে।
বাগানে দুটো আম আর তিনটে নারকেল গাছও বেশ বড় হয়ে উঠেছে। বাগানের বাংলাদেশী কেয়ারটেকার গহর আলী কয়েক বছর আগে এগুলো লাগিয়েছে। এ বছর দুটো আম ধরেছিল একটা গাছে।
সন্ধ্যায় মায়ের রুমে বসে আছে ফাতমা ।
মা বসে দেখছেন, সাবেরা লিস্ট মিলিয়ে ব্যাগ চেক করে নিচ্ছে। আগামীকাল সকালে সবাই মক্কা চলে যাবে। আর চুপ থাকতে পারলনা ও।
- আম্মু আমিও তোমাদের সাথে যাব।
- কিন্তু মামনি তোমার যে খুব কষ্ট হবে।
- না হবে না আমি যাব।
কি আর করা ফাতমাকে নিতেই হলো সাথে। না নিলে যে অনেক কাঁদবে ও। আর ওর কান্নায় বিষন্ন হয়ে উঠবে পৃথিবী। রাজকুমারীকে কি কেউ কাঁদায়!
৭ই জিলহজ্জ বিকেলে মক্কায় পৌঁছল ওরা।
রাজ পরিবারের জন্য সংরক্ষিত হোটেল স্যুইটগুলোর একটায় উঠল।
শেষ বিকেলে আগমনী তাওয়াফের জন্য বাবা মা বেরিয়ে গেল সঙ্গে তালাল। সাবেরার সাথে হোটেলে থেকে গেল ফাত্মা আর উসায়ীদ। পরদিন সকালে ওরা মক্কা থেকে তিন মাইল দূরে মীনায় চলে এল।
চারদিকে তাবু আর তাবু গুণে শেষ করতে পারলনা ফাতমা।
তাবুতে ঢুকে সব গুছিয়ে নিল সাবেরা। অবশ্য তাবু মনেই হয় না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পুরো কার্পেট বিছানো বড় একটা হল রুমের মতো।
এখানে বাগান নেই, প্লে গ্রাইন্ড নেই, টিভি - কমপিউটার নেই, ইনডোর গেমস হলও নেই। অতএব মায়ের সাথে নামাজেই দাঁড়াল ফাতমা।
তারপর ছোট্ট উসায়িদের সাথে খেলায় মেতে উঠল। উসায়ীদের কোন খেলনারই দরকার হয় না। নিজের হাত পা আর আঙ্গুল নিয়েই চমৎকার খেলতে পারে সে। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে ফাতমা।
সাবেরা ওর পায়ের তালুতে চাপড় দেয় আর ও খিল খিল ক’রে হেসে ওঠে।
পরদিন খুব ভোরেই ঘুম ভাঙ্গল ফাতমার। প্লাষ্টিক শীট বিছিয়ে সাবেরা খুব্জ, চিকেন ব্রোস্ট, বীফ স্টেক, পনির, বাটার, লাবান, খেজুর, জয়তুন , আপেল , ষ্ট্রবেরী আর অরেঞ্জ জুস দিয়ে নাস্তা সাজিয়ে দিল সবার জন্য।
দশটার দিকে ওরা জেদ্দা থেকে নিয়ে আসা পাজেরো আর মাইক্রোবাসে করে আরাফাতের মাঠের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেল। জানালা দিয়ে সারাক্ষণ বাইরে তাকিয়ে পাহাড় দেখল ফাত্মা। ছবির মতো পাহাড়ের বুক চিরে এঁকে বেঁকে গেছে পথ।
কোথাও কোথাও পাহাড়ের ভেতর দিয়ে চলে গেছে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথ।
ফাতমার মনে হচ্ছিল ও যেন ওর ড্রয়িং খাতায় আঁকা পাহাড়গুলোর মাঝখান দিয়ে পথ চলছে। আব্বু-আম্মুসহ ফাত্মা আছে সামনের পাজেরোতে। আর পেছনের মাইক্রোতে আছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাবারের প্যাকেট- টিন আর গার্ড কাম বাবুর্চী সুলাইমান পাঠান।
আরাফাত এলাকায় যাবার পর রয়্যাল গাইড ওদের নিয়ে গেল নির্ধারিত তাবুতে।
দুপুরের খাবার খেয়ে উসায়িদের সাথে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়ল ফাতমা। উসায়িদ ওর কাছে এক জ্যান্ত পুতুল।
যখন জেগে উঠল তখন বিকেল। তাবুর ভেতরে বাইরে সবাই দোয়া পড়ছে, মোনাজাত করছে। ঘুম ভেঙ্গে চারদিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ফাতমা।
তাবুর একপাশের ক্যানভাসের দেয়ালটা পুরো তুলে দেয়া হয়েছে। আকাশ দেখা যাচ্ছে।
ওয়েট টিস্যু দিয়ে ওর চোখ মুখ মুছে দিল সাবেরা। উঠে এসে মায়ের কোলে বসে পড়ল। মা মোনাজাত করছেন।
সন্ধ্যার একটু পরেই ওরা রওয়ানা হয়ে গেল আরাফাত থেকে পাঁচ মাইল দূরের মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। কচ্ছপের গতিতে গাড়ী এগুচ্ছে আবার কখনও ঘন্টা খানেক থেমেও থাকছে। তালাল জানতে চাইল এত ভীড় কেন আব্বু?
- আরাফাত থেকে প্রায় পঁচিশ লাখ লোক একসাথে মুজদালিফায় রওয়ানা করেছেতো তাই এত ভীড় আব্বু।
মুজদালিফায় পৌঁছতে পৌঁছতে রাত দেড়টা বাজল।
ড্রাইভারদের বলে হাইওয়ে থেকে একটা মাঠের মধ্যে গাড়ী দুটো নিয়ে এলেন ফাতমার আব্বু।
নিয়ম অনুযায়ী এখানে খোলা আকাশের নীচেই থাকতে হবে।
পাজেরো আর মাইক্রোবাসটা দশ বারো ফিট দূরত্বে দাঁড় করিয়ে দিয়ে তার মাঝখানে কংকরের উপর ড্রাইভাররা কার্পেট পেতে দিল। উপরে ক্যানভাসের ছাউনি।
রাত দু’টায় মাগরেব এশা একসাথে পড়ে রাতের খাবার খেয়ে নিল সবাই। দু’তিন দিনের সফরের ক্লান্তিতে একটু তাড়াতাড়িই শোবার আয়োজন হলো।
তারায় তারায় ভরা আকাশ। মা বসে দোয়া পড়ছেন।
তালাল প্রস্তাব করে আম্মু চল আমরা গাড়ীতে ঘুমাই।
- ‘না বেটা এখানে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটানোই হজের নিয়ম। আমাদের বাদশাহ্ও যদি হজ করতে আসেন তাকেও রাতে খোলা আকাশের নীচেই থাকতে হবে।
’তা নাহলে হজ হবেনা । একটু বিস্মিত তালাল আর কোন প্রশ্ন না করে শুয়ে পড়ল ।
গাড়ী থেকে নেমে কার্পেটের বাইরে হাঁটছে ফাতমা। বাবা ওকেও ঘুমাতে ডাকলেন ...
- না ! আমি এখানে শোব না।
- অনেক রাত হয়েছে মামনি।
- না ধুলো বালির ওপর আমি শোব না।
মিনা আর আরাফায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তাবুগুলো ছিল ঘরেরই মতো। ওখানে থাকতে তাই আপত্তি হয়নি ফাতমার। কিন্তু অমন খোলা মাঠে শোবার কথা ও ভাবতেই পারছেনা।
সাবেরা ওকে আনতে যায়।
ও পিছাতে থাকে। পিছাতে পিছাতে একদল ঘুমন্ত মানুষের পাশে এসে পড়ে। শুধুই প্লাস্টিক মাদুর বিছিয়ে চাদর গায়ে ঘুমাচ্ছে ওরা। থমকে দাঁড়িয়ে কেবলই ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে ছোট্ট রাজকুমারী। সাবেরাকে প্রশ্ন করে ওদের কার্পেট -কম্বল নেই কেন?
- ‘ওরা অনেক দূরের দেশ থেকে এসেছে সে জন্য।
’
- মরুভূমির রাতের ঠাণ্ডায় শুয়ে থাকা মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ফাতমা।
তুমি একরাত এগুলো দেখেই এত মন খারাপ করছো! পৃথিবীর কত কত মানুষের এরকম ঘর-বাড়ি নেই। ওরা বছরের পর বছর ফুটপাথে, ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ,নদীর তীরে,খোলা মাঠে রাত কাটায়। সাবেরার একথায় ওর চোখ আরো ছলছল করে ওঠে।
- চোখ ভিজে ওঠে সাবেরারও।
পূর্ব তিমুরে ওর বেঁচে থাকা আত্মিয়-স্বজনরা পৈত্রিক ভিটে থেকে বিতাড়িত হয়ে তাবুতে, খোলা আকাশের নীচে; উদ্বাস্তু শিবিরে অনেক দু:খ কষ্টে, অসুখে-অপুষ্টিতে দিন কাটাচ্ছে। দাঙ্গায় বাবাকে হারিয়েছিল ও ছেলে-বেলাতেই। সাবেরার চোখের পানি টপ টপ ক’রে অঝোর ধারায় ঝ’রে পড়ে মরুভূমির বুকে। অনেক কষ্টে ওড়নায় চেপে চোখ দুটো মুছে নেয় সাবেরা। বারবার মোছে।
দেশে গেলে কোন্ উদ্বাস্তু শিবিরে যে ওদের খুঁজে পাবে কে জানে। বহু কষ্টে চোখ দুটোকে শুকিয়ে নিয়ে ফাতমাকে কোলে তুলে নেয় ও। মায়ের পাশে এনে শুইয়ে দেয়।
- গুটিশুটি করে শুয়ে পড়ে রাজকুমারী।
- প্রচণ্ড শীত ।
- কম্বল জড়িয়ে নেয় গায়ে।
- মা বলেন ,ফাতমা মনি তুমি গাড়ীতে ঘুমাতে চাইলে সাবেরার সাথে গাড়ীতে গিয়ে ঘুমাও । ছলছল চোখ দুটি লুকিয়ে রাজকুমারী বলে , না এখানেই ঘুমাব ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।