আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সে যে আমার রাজকুমারী !

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

অযাচিত স্বপ্নই বলি আর বাস্তবই বলি একটা জায়গায় জোচ্চুরী করেছি। অনুভূতি নিয়ে জোচ্চুরী করছি, সাহস কিন্ত কম না ! আবার খুব বেশীও না, বেশী না বলেই হয়ত বলতে পারিনি আর পারিনি বলেই আজ সে রাজকুমারী। না, কোন রাজ্যের রাজকুমারী সে নয়, রক্ত মাংসের এক সাধারণ মানুষ, পরিচয়ে একজন মেয়ে। বয়সের কিছুটা ভার আছে চোখে মুখে, কোথাও যেন ক্লান্তির ছাপও যোগ হয়েছে। যখন প্রথম দেখা তখনকার সময় হতে এখন বেশ পার্থক্য সহজেই বোঝা যায় এমন, তবুও যেন সাধারণ থেকে কিছুটা আলাদা বলেই বিশেষত্বগুলো চোখে পড়তে বেগ পেতে হয়না।

আমার চেয়ে বয়সে খানিকটা বড়। খানিকটা বলতে খুব বেশী নয় আবার খুব কমও নয়। কেউ আবার নাক উঁচু করতে পারেন, কোন রহস্যের গন্ধ খোজার বৃথা চেষ্টাও হতে পারে। তবুও লিখছি যখন কিছু তো বলতেই হবে। অনেকদিন দেখা নেই, সেই যে কবে দুজনের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল তাও প্রায় বছর ৯কি ১০ হবে।

চেহারার সরলতা, ব্যাকুল আগ্রহের চাহনি যেন সবকিছতেই চোখের ভাষায় পড়াযেত। আমি ঠিক পড়তে পারতাম না, বোধ হয় সে কারণেই থাক, ইথারে না হয় বাক্যগুলো নাই বললাম। আজ সকালটা খুব ব্যস্ত সময, ক্লায়েন্টের চাপে চোখ তোলার যো নেই। সমস্ত ক্লান্তি ছাপিয়ে দৃষ্টিটা চলে যায় অপেক্ষমান এক আগুন্তকের দিকে, বোধ হয় অপেক্ষা করছে। নিজ থেকেই এগিয়ে যাই।

চিনতে পারছেন কিনা জানতে চাইলে সহজ সোজা জবাব “না চেনার কি আছে, তোমাকে চেনা কি খুব কষ্টের?”, বেশ খানিকটা ভড়কে যায় “তাহলে এখানে কেন, আমার টেবিলে আসতে পারতেন” প্রতিউত্তরে “দেখছিলাম তোমকে, তোমার ব্যস্ততাকে, বাহ ! আপনি করে বলছ যে, খুব ফরমাল হয়ে গেছ বলে মনে হচ্ছে?” “কেন আগেও তো ছিলাম” টেবিলে দুজন দুজনার মুখোমুখি। তবুও যেন মনে হচ্ছে দুপ্রান্তে, বাস্তবিকই আলাদা আলাদা যে যার ক্ষেত্রে। সে অন্য মানুষের মানুষ আর আমি এখনও নিজের সর্বস্ব। কেমন আছি, কি করছি, কোথায়, শরীরটা শুকিয়েছে কেন, একা কিনা প্রশ্নের পর প্রশ্ন, সেই পুরোনে মুখ পুরোনো উত্তর দেয়া পর্ব। বেশ উপভোগ্য ছিল হঠাত দেখা পাওয়াটা।

জিজ্ঞেস করলাম সে কেমন আছে, ভাল, খুব ভাল। জানতে চাইলাম খুব ভাল’র পরিনাম টা। আমার সাথে শেষ দেখা হবার বছর তিনেকের মাথায় বিয়ে হয়, প্রবাসী বাঙ্গালী। ওর জামাই ওখানেই থাকে বছর পর পর ঘুরে যেত। মাঝে কোল জুড়ে একটি সন্তানও হল।

স্বামী কেমন যেন দূরে সরে যেতে থাকে, বুঝতে পারে তাই ভাবনার সাথে বাস্তবও মিলে যায় একদিন, জানতে পারে ওখানে সে আরএকটি বিয়ে করেছে। ওই ডিভোর্স দেয়। শুরু হয় নতুন জীবন সংগ্রাম সাথে থাকে অবুঝ শিশুটি। ও হেরে যায়নি তাই হয়ত খুব ভাল বলার সাহস দেখাতে পারে। একটি ফার্মে ভাল পজিশনে কাজ করছে।

সন্তনও কিছুটা বড় হয়েছে আজ। অনেক অনুসন্ধানের পর সে আমাকে পেয়েছে। লাঞ্চ টেবিলে। আমি খেতে পারিনা তবুও বলি I am full, ও বলে me too অথচ দুজনাই অভূক্ত আজ বুঝতে পারিনা ওর চোখের ভাষা, বুঝতেও চাইনা আবার সবকিছু উপেক্ষাও করা যায়না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।