ভাল্লাগে না...কিচ্ছু ভাল্লাগে না
খুব বেশি দিন আগের কথা নয় যখন বুগাট্টি ভেরন তাবৎ দুনিয়ার fastest production car এর খেতাব জিতে automobile industry তে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিল।
মানুষের বহু আরাধ্য ৪০০ কি,মি,/ঘন্টার speed barrier পেছনে ফেলে ৪০৮ কি,মি,/ঘন্টা গতির প্রথম car এটিই।
সমসাময়িক কালে ভেরনের অবিশ্বাস্য গতি আর বিভিন্ন ফিচার সাথে টেক্কা দেয়ার মত দ্বিতীয় কিছুর কথা কেউ ভেবেই উঠতে পারে নি। কিন্তু প্রযুক্তির অবিশ্বাস্য গতি এই অর্জনকেও ইতিহাস বানিয়ে দিতে বেশি দিন দেরি করেনি
ভেরনের অভিষেক হওয়ার সাথে সাথেই প্রতিযোগিতায় নামে নামী দামী সব aotomobile company গুলো। সর্বপ্রথম বুগাট্টি ভেরনের অবিশ্বাস্য গতিকে হার মানায় আমেরিকান Shelby Ultimate Arrow।
৪১২ কি,মি,/ঘন্টা গতি নিয়ে গিনেজ বুক অফ রেকর্ডে নাম ওঠায় গাড়িটি।
জার্মান ইঞ্জিনিয়াররাও বসে ছিল না। automobile এর ঊর্বর ভূমি জার্মানিতেই গোপনে তৈরি হয়ে যায় বুগাট্টির নতুন সংস্করন, বুগাট্টি সুপার স্পোর্টস। তৈরির উদ্দেশ্য ছিল একটাই, fastest production car এর পূর্ববর্তী সব রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলা।
গতিবেগ ০ থেকে ১৬০ কি,মি/ঘন্টা তুলতে গাড়িটি সময় নেয় অবিশ্বাস্য ৪.৫ সেকেন্ড।
সর্বোচ্চ গতিবেগ আরো অবিশ্বাস্য ৪৩২ কি,মি/ঘন্টা।
অকল্পনীয় ১২০০ H.P. (হর্স পাওয়ার) (পূর্ববর্তী ভেরনের ছিল ১০০১ H.P.)
জ্বালানী শোষন হার ১.৫ গ্যালন/মিনিট।
ভেতর ও বাইরের কোন অংশেই সৌন্দর্যের কমতি নেই।
পূর্ববর্তী এডিশনের সাথে এর তুলনা দেখে নেয়া যাক :
Bugatti Veyron Super Sports:
সর্বোচ্চ গতিবেগ (ঘন্টা): ৪৩২ কি,মি/২৬৭ মাইল
মূল্য : ১.৬ মিলিয়ন US$
০-৬০ মাইল : ২.৫ সেকেন্ড
হর্স পাওয়ার: ১২০০
Bugatti Veyron:
সর্বোচ্চ গতিবেগ (ঘন্টা): ৪০৮ কি,মি/২৬৭ মাইল
মূল্য : ১ মিলিয়ন US$
০-৬০ মাইল : ২.৫ সেকেন্ড
হর্স পাওয়ার: ১০০১
অতিরিক্ত এই ২০০ H.P. যোগ করার কারন ছিল একটাই, বাতাসের বাধা অতিক্রম করা। ৪০০ কি,মি, গতিতে চলা গাড়িটিকে যে পরিমান বাতাসের বাধা পেরোতে হয় তাকে তুলনা করলে fruit cake এর ভেতর দিয়ে চলার সমতুল্য বলা যায়।
সে জন্য সুপার স্পোর্টসকে super slippery করে তৈরী করা হয়েছে।
গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি পরীক্ষা করার মত সুবিধা পৃথিবীর খুব কম test track এরই আছে। এর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারন পরীক্ষা চালানো হয় Cold War এর সময়ে তৈরী জার্মানির “volkswagon TOP SECRET test track” এ। ৫০ কি,মি বৃত্তাকার ট্র্যাকটিতে রয়েছে ৯ কি,মি, aero straight রাস্তা।
এই অকল্পনীয় গতিতে গাড়িটির ভারসাম্য ঠিক রাখতে তৈরী করা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তির টায়ার।
৪০০ কি,মি, গতিতে ২০,০০০ পাউন্ডের এক সেট টায়ারের স্থায়িত্ব মাত্র ১৭ মিনিট।
স্বাভাবিকভাবেই বুগাট্টির test driver পৃথিবীর মাটির উপর চলা দ্রুততম মানব।
মাটির উপর ৪৩১ কি,মি বেগে চলমান কোন বস্তুর ভেতর নিজেকে কল্পনা করেছেন কখনো?
(এটিই আমার প্রথম পোস্ট। আশা করি যতখানি excitement নিয়ে লিখেছি পাঠকরাও ততখানিই পাবেন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।