কলকাতা প্রতিনিধি
কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না, এক চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারতে সংযোজন করা হয়েছে। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার এ মন্তব্য ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি ওমর আবদুল্লার অপসারণ দাবি করেছে। দলটির মতে, কাশ্মীর নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।
বিজেপির এ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, বিতর্ক যদি নাই থাকতো তবে সিমলা চুক্তি হতো না। দিল্লি এবং আগ্রায় কোনো আলোচনায় বসার প্রয়োজন হতো না। সিমলা চুক্তির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ চুক্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই উভয় দেশকে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে। কাশ্মীরকে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু বলে উল্লেখ করে ওমর আবদুল্লাহ বলেন, এর ফলে কাশ্মীরের সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা ছাড়াও প্রয়োজনে পাকিস্তানের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে।
কাশ্মীরকে রাজনৈতিক সমস্যা বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু উন্নয়ন—বেকার সমস্যার সমাধান এবং উন্নতমানের প্রশাসন দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে না। একমাত্র রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনাই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সর্দার বল্লাভ ভাই প্যাটেল ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো ভারতীয় নেতারা পর্যন্ত স্বীকার করেছেন এখন তা মানা না হলে কাশ্মীরের মানুষ কোথায় যাবে? আন্দোলন করবে?
এদিকে বিজেপি এক বিবৃতিতে ওমর আবদুল্লার মন্তব্যকে জাতীয়তাবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে তাকে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নরের কাছে দাবি জানিয়েছে।
গতকাল ওমর আবদুল্লার মন্তব্য ঘিরে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় তুমুল গণ্ডগোল হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিজেপি ও প্যান্থারস পার্টির বিধায়করা।
তারা কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। স্পিকারের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। ওয়েলে নেমে এসে শুরু হয় বিক্ষোভ, শেষে মার্শাল ডেকে বিজেপি, প্যান্থারস পার্টি ও জম্মু সাতাত দলের বিধায়কদের বের করে দেয়া হয় অধিবেশন কক্ষ থেকে। উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পুতুল নন, তাই তারা যা বলবেন তাই করা হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।