আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ম ও মানুষের স্বভাব

স্ববিরোধিতা আমার পছন্দ নয়। সর্বদা স্রোতর পক্ষে চলা আমার স্বভাব নয়। সব পুরাতন বাতিল নয়। চলার পথে সহযাত্র্রীরা সম্পদ। পরামর্শের মত সাহায্য নেই।

সব চাইতে অসহায় সেই ব্যক্তি যার কোন ভ্রাতৃ-প্রতিম বন্ধু নেই। কিন্তু আরো অসহায় সেই ব্যক্তি যে এহেন বন্ধু পেয়ে হারায়

ধর্ম নিয়ে অনেক আলোচনা হয় আমাদের সমাজে। কখন কখন আলোচনাগুলো শুধু তর্কের জন্যেই তর্ক হিসাবে হয়ে থাকে। কখন তা পান্ডিত্য প্রকাশের জন্যে হয়ে থাকে যা সাধারন মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে দেখা দেয়। ধর্ম যে মানুষের জীবনকে সফল করে এবং সাধারণ মানুষও যে ধর্ম থেকে শিক্ষা নিতে পারে সেভাবে সহজ করে আলোচনা কমই হয়।

আমি দেখেছি আমাদের সমাজে আমরা সাধারণ শিক্ষিত লোকেরা কোন বিষয় জানতে গেলে নানান বাধার সম্মূখীন হয়ে থাকি। বলা হয়ে থাকে ‘সব প্রশ্নের জবাব নেই’, ‘বেশী জানলে ঈমান থাকবে না’, ‘অত শত বুঝি না অন্ধভাবেই মেনে নিয়েছি আল্লাহ এক - আমার ধর্ম ইসলাম - আমি মুসলমান’। কোথাও কোথাও প্রশ্ন করাই যায় না বা যুক্তির কথা তোলাই যায় না। এর একটা কারণ হতে পারে য়ে আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষার পদ্ধতিটি ধর্মীয় শিক্ষা পদ্ধতিটির চেয়ে বেশী প্রতিষ্ঠিত। ফলে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের গড় বুৎপত্তি বেশী এবং তারা ধর্ম সম্পর্কে কম জানলেও যে কোন ভাবে দেওয়া যে কোন উত্তর তারা মেনে নেয় না।

আমি আমার কথা দ্বারা কোন বিশেষ দল বা গ্রুপকে আহত করতে চাইনা বা আলেম সমাজ কে ঢালাও ভাবে বুদ্ধিহীন বলার দুঃসাহস রাখিনা। আমাদের সমাজে বিজ্ঞজন রয়েছেন যাদের কাছে বসে কথা শুনতে ইচ্ছে করে। তবে তাদের সংখ্যা কম। নকল লোকদের প্রচার ও সাংগঠনিকতার কারণে তাদের পরিচিতি ব্যাপক নয়। আবার সাসারণ সব লোক তাদের সাহচর্য পায় না।

আমি অন্য কথা সংক্ষেপ করে আমার ভাল লাগা বিষয়ের দিকে ফিরে আসি। আমি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষায় সামাণ্য শিক্ষা গ্রহণ করেছি। যুক্তির কথা আমার ভাল লাগে, প্রশ্ন করতে এবং প্রশ্নের উত্তর পেতে ভালবাসি। তথ্য সূত্রের ক্ষেত্রে সব বইয়ের মান এক না, সব প্রকাশনীর মান এক না, সব বক্তার মান এক না। আবার একই বইয়ের, একই প্রকাশনীর সব প্রকাশনা বা একই ব্যক্তির সব বক্তব্য সমান না বা সমানে গ্রহণযোগ্য না।

এ টপিকে আমি মাঝে মাঝে দু একটা মতবিনিময় করব। আশা করি দর্শকগণ শেয়ার করবেন আমার সাথে। আমি জেনেছি ইসলাম হলো স্বভাবের ধর্ম। ধর্ম ব্যাখ্যার এ উপস্থাপনাটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। এ বিষয়ে আমি আমার দু একটা ভাল লাগা বিষয় তুলে ধরছি।

১। মানুষের একটা স্বভাব হল ‘জানতে চাওয়া’ : জন্মের পর কথা বলা থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুস্থ-মস্তিস্কের (পাগল নয় এমন) সকল মানুষ (হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকলে অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স বা লিঙ্গ ভেদে সকলে) তার চার পাশের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে আর তার উত্তর জানতে চায়। কোন বিষয়ে যে প্রশ্ন করে না বা কোন কিছুই যার জানতে ইচ্ছে হয় না তাকে আমরা সুস্থ বলি না। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে : “পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। ” (আল-কোরআন, ৯৬:১)।

“আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ ক'রে এবং সংবাদ দান ক'রে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে?” (আল-কোরআন, ৯:১২২)। “আপনার পুর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম। অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে;” (আল-কোরআন, ১৬:৪৩)। “বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না ; তারা কি সমান হতে পারে? চিন-া-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান।

” (আল-কোরআন, ৩৯:৯)। পবিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে : (১) মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব বর্ণনা করেছেন আলী ইবনে ইব্রাহীম ইবনে হাশিম থেকে, তিনি তার পিতা আল-হাসান ইবনে ইবনে আবু আল-হাসান আল-ফারিসি, তিনি আব্দ আল-রহমান ইবনে যায়িদ, তিনি তার পিতা আবু আবদুল্লাহ (আঃ) থেকে যিনি বর্ণনা করেনঃ “আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। সকলের জানা উচিত যে যারা জ্ঞান অন্বেষণ করে আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। ” (২) মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহিয়া বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবনে আল-হাসান থেকে, তিনি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি ইসা ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আমরী থেকে, তিনি আবু আবদুল্লাহ (আঃ) থেকে যিনি বর্ণনা করেনঃ “জ্ঞান অর্জনকরা ফরজ। ” (৩) আলী ইবনে ইব্রাহীম বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবনে ইসা থেকে, তিনি ইউনুস ইবনে আব্দুর রহমান থেকে, তিনি তার কতিপয় ব্যক্তির নিকট হতে।

তিনি বর্ণনা করেনঃ “আবুল হাসান (আঃ) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘প্রয়োজনীয় (ধর্মীয়) জ্ঞান অন্বেষণ করা থেকে বিরত থাকা কি লোকদের জন্যে জায়েজ (অনুমোদিত)?” ইমাম (আঃ) বললেন ‘না (জ্ঞান অন্বেষণকে বাদ দেওয়া জায়েজ নয়)। “ (৪) আলী ইবনে মুহাম্মাদ এবং আরও অনেকে বর্ণনা করেছেন সহল ইবনে যায়েদ এবং মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহিয়া থেকে, তারা আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইসা থেকে, সকলে ইবনে মাহবুব থেকে, তিনি হিশাম ইবনে সালিম থেকে, তিনি আবু হামজা থেকে, তিনি আবু ইসহাক আল-সুবেয়েই থেকে, তিনি একজন থেকে যিনি তার কাছে নিম্ন রূপ বর্ণনা করেছিলেনঃ “আমি আমীরুল মুমেনীন আলী (আঃ) কে বলতে শুনেছি, ‘হে জনগন তোমরা অবশ্যই জানবে যে জ্ঞান অন্বেষণ করা এবং তদানুযায়ী কাজ করার মধ্য দিয়ে ধর্ম পরিপূর্ণ হয়। তোমরা অবশ্যই জানবে যে সম্পদ অর্জনের চেয়ে জ্ঞান অর্জন করাটা আরও বেশী জরুরী। সম্পদে সকলের অংশ নিশ্চিত থাকে। একজন ন্যায়বান ব্যক্তি ইতোমধ্যে তোমাদের মাঝে সম্পদ বিভাজন করে দিয়েছেন।

তিনি এবং আমার তরবারি তোমাদের অংশ প্রাপ্তিতে নিশ্চয়তা প্রদান করছে। জ্ঞান সংরক্ষিত থাকে জ্ঞানীদের অন্তরে। তোমাদের নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে তোমরা জ্ঞানকে তার উৎস (যারা জ্ঞানী) থেকে অন্বেষণ কর। জ্ঞান অর্জন তোমাদের জন্যে বাধ্যতামূলক। ” (৫) আমাদের অনেক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-বারকি থেকে, তিনি ইয়াকুব ইবনে ইয়াজিদ থেকে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ থেকে, আমাদের একজন মরফু কায়দায় বর্ণনা করেছেন আবু আব্দুল্লাহ (আঃ) থেকে, তিনি মহানবী (সঃ) থেকে।

মহানবী (সঃ) বলেছেন, “জ্ঞান অর্জনকরা ফরজ। ” অন্য এক হাদিসে ইমাম আবু আব্দুল্লাহ (আঃ) মহানবী (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, “প্রত্যেক মুসলমানের উপর জ্ঞান অর্জনকরা ফরজ। সকলের জানা উচিত যে যারা জ্ঞান অন্বেষণ করে আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। ” হাদিসগুলি আল-কাফী এর ইন্টারনেট সংস্করণ থেকে সংগৃহীত। এটি পাওয়া যাবে নিম্নের ঠিকানায় ttp://www.islamic-laws.com/pdf/Al-Kafi.pdf ।

এ সকল বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারলাম মানুষের একটা স্বভাব জানার আগ্রহকে ইসমালাম শুধু উৎসাহিত করেছে এমন নয় বরং আরো এগিয়ে তাকে বাধ্যতামূলক করেছে। তাই ইসলাম হ’ল মানুষের স্বাভের ধর্ম। আজ এ পর্যন্ত। অন্য দিন মানুষের অন্য স্বভাব নিয়ে কথা হবে আশা করি। ধর্ম নিয়ে অনেক আলোচনা হয় আমাদের সমাজে।

কখন কখন আলোচনাগুলো শুধু তর্কের জন্যেই তর্ক হিসাবে হয়ে থাকে। কখন তা পান্ডিত্য প্রকাশের জন্যে হয়ে থাকে যা সাধারন মানুষের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে দেখা দেয়। ধর্ম যে মানুষের জীবনকে সফল করে এবং সাধারণ মানুষও যে ধর্ম থেকে শিক্ষা নিতে পারে সেভাবে সহজ করে আলোচনা কমই হয়। আমি দেখেছি আমাদের সমাজে আমরা সাধারণ শিক্ষিত লোকেরা কোন বিষয় জানতে গেলে নানান বাধার সম্মূখীন হয়ে থাকি। বলা হয়ে থাকে ‘সব প্রশ্নের জবাব নেই’, ‘বেশী জানলে ঈমান থাকবে না’, ‘অত শত বুঝি না অন্ধভাবেই মেনে নিয়েছি আল্লাহ এক - আমার ধর্ম ইসলাম - আমি মুসলমান’।

কোথাও কোথাও প্রশ্ন করাই যায় না বা যুক্তির কথা তোলাই যায় না। এর একটা কারণ হতে পারে য়ে আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষার পদ্ধতিটি ধর্মীয় শিক্ষা পদ্ধতিটির চেয়ে বেশী প্রতিষ্ঠিত। ফলে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের গড় বুৎপত্তি বেশী এবং তারা ধর্ম সম্পর্কে কম জানলেও যে কোন ভাবে দেওয়া যে কোন উত্তর তারা মেনে নেয় না। আমি আমার কথা দ্বারা কোন বিশেষ দল বা গ্রুপকে আহত করতে চাইনা বা আলেম সমাজ কে ঢালাও ভাবে বুদ্ধিহীন বলার দুঃসাহস রাখিনা। আমাদের সমাজে বিজ্ঞজন রয়েছেন যাদের কাছে বসে কথা শুনতে ইচ্ছে করে।

তবে তাদের সংখ্যা কম। নকল লোকদের প্রচার ও সাংগঠনিকতার কারণে তাদের পরিচিতি ব্যাপক নয়। আবার সাসারণ সব লোক তাদের সাহচর্য পায় না। আমি অন্য কথা সংক্ষেপ করে আমার ভাল লাগা বিষয়ের দিকে ফিরে আসি। আমি বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষায় সামাণ্য শিক্ষা গ্রহণ করেছি।

যুক্তির কথা আমার ভাল লাগে, প্রশ্ন করতে এবং প্রশ্নের উত্তর পেতে ভালবাসি। তথ্য সূত্রের ক্ষেত্রে সব বইয়ের মান এক না, সব প্রকাশনীর মান এক না, সব বক্তার মান এক না। আবার একই বইয়ের, একই প্রকাশনীর সব প্রকাশনা বা একই ব্যক্তির সব বক্তব্য সমান না বা সমানে গ্রহণযোগ্য না। এ টপিকে আমি মাঝে মাঝে দু একটা মতবিনিময় করব। আশা করি দর্শকগণ শেয়ার করবেন আমার সাথে।

আমি জেনেছি ইসলাম হলো স্বভাবের ধর্ম। ধর্ম ব্যাখ্যার এ উপস্থাপনাটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। এ বিষয়ে আমি আমার দু একটা ভাল লাগা বিষয় তুলে ধরছি। ১। মানুষের একটা স্বভাব হল ‘জানতে চাওয়া’ : জন্মের পর কথা বলা থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুস্থ-মস্তিস্কের (পাগল নয় এমন) সকল মানুষ (হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকলে অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বয়স বা লিঙ্গ ভেদে সকলে) তার চার পাশের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে আর তার উত্তর জানতে চায়।

কোন বিষয়ে যে প্রশ্ন করে না বা কোন কিছুই যার জানতে ইচ্ছে হয় না তাকে আমরা সুস্থ বলি না। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে : “পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। ” (আল-কোরআন, ৯৬:১)। “আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ ক'রে এবং সংবাদ দান ক'রে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে?” (আল-কোরআন, ৯:১২২)।

“আপনার পুর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম। অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে;” (আল-কোরআন, ১৬:৪৩)। “বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না ; তারা কি সমান হতে পারে? চিন-া-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। ” (আল-কোরআন, ৩৯:৯)। পবিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে : (১) মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব বর্ণনা করেছেন আলী ইবনে ইব্রাহীম ইবনে হাশিম থেকে, তিনি তার পিতা আল-হাসান ইবনে ইবনে আবু আল-হাসান আল-ফারিসি, তিনি আব্দ আল-রহমান ইবনে যায়িদ, তিনি তার পিতা আবু আবদুল্লাহ (আঃ) থেকে যিনি বর্ণনা করেনঃ “আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলমানের উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।

সকলের জানা উচিত যে যারা জ্ঞান অন্বেষণ করে আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। ” (২) মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহিয়া বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবনে আল-হাসান থেকে, তিনি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি ইসা ইবনে আব্দুল্লাহ আল-আমরী থেকে, তিনি আবু আবদুল্লাহ (আঃ) থেকে যিনি বর্ণনা করেনঃ “জ্ঞান অর্জনকরা ফরজ। ” (৩) আলী ইবনে ইব্রাহীম বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবনে ইসা থেকে, তিনি ইউনুস ইবনে আব্দুর রহমান থেকে, তিনি তার কতিপয় ব্যক্তির নিকট হতে। তিনি বর্ণনা করেনঃ “আবুল হাসান (আঃ) কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘প্রয়োজনীয় (ধর্মীয়) জ্ঞান অন্বেষণ করা থেকে বিরত থাকা কি লোকদের জন্যে জায়েজ (অনুমোদিত)?” ইমাম (আঃ) বললেন ‘না (জ্ঞান অন্বেষণকে বাদ দেওয়া জায়েজ নয়)। “ (৪) আলী ইবনে মুহাম্মাদ এবং আরও অনেকে বর্ণনা করেছেন সহল ইবনে যায়েদ এবং মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহিয়া থেকে, তারা আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইসা থেকে, সকলে ইবনে মাহবুব থেকে, তিনি হিশাম ইবনে সালিম থেকে, তিনি আবু হামজা থেকে, তিনি আবু ইসহাক আল-সুবেয়েই থেকে, তিনি একজন থেকে যিনি তার কাছে নিম্ন রূপ বর্ণনা করেছিলেনঃ “আমি আমীরুল মুমেনীন আলী (আঃ) কে বলতে শুনেছি, ‘হে জনগন তোমরা অবশ্যই জানবে যে জ্ঞান অন্বেষণ করা এবং তদানুযায়ী কাজ করার মধ্য দিয়ে ধর্ম পরিপূর্ণ হয়।

তোমরা অবশ্যই জানবে যে সম্পদ অর্জনের চেয়ে জ্ঞান অর্জন করাটা আরও বেশী জরুরী। সম্পদে সকলের অংশ নিশ্চিত থাকে। একজন ন্যায়বান ব্যক্তি ইতোমধ্যে তোমাদের মাঝে সম্পদ বিভাজন করে দিয়েছেন। তিনি এবং আমার তরবারি তোমাদের অংশ প্রাপ্তিতে নিশ্চয়তা প্রদান করছে। জ্ঞান সংরক্ষিত থাকে জ্ঞানীদের অন্তরে।

তোমাদের নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে তোমরা জ্ঞানকে তার উৎস (যারা জ্ঞানী) থেকে অন্বেষণ কর। জ্ঞান অর্জন তোমাদের জন্যে বাধ্যতামূলক। ” (৫) আমাদের অনেক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-বারকি থেকে, তিনি ইয়াকুব ইবনে ইয়াজিদ থেকে, তিনি আবু আব্দুল্লাহ থেকে, আমাদের একজন মরফু কায়দায় বর্ণনা করেছেন আবু আব্দুল্লাহ (আঃ) থেকে, তিনি মহানবী (সঃ) থেকে। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “জ্ঞান অর্জনকরা ফরজ। ” অন্য এক হাদিসে ইমাম আবু আব্দুল্লাহ (আঃ) মহানবী (সঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, “প্রত্যেক মুসলমানের উপর জ্ঞান অর্জনকরা ফরজ।

সকলের জানা উচিত যে যারা জ্ঞান অন্বেষণ করে আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। ” হাদিসগুলি আল-কাফী এর ইন্টারনেট সংস্করণ থেকে সংগৃহীত। এটি পাওয়া যাবে নিম্নের ঠিকানায় ttp://www.islamic-laws.com/pdf/Al-Kafi.pdf । এ সকল বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারলাম মানুষের একটা স্বভাব জানার আগ্রহকে ইসমালাম শুধু উৎসাহিত করেছে এমন নয় বরং আরো এগিয়ে তাকে বাধ্যতামূলক করেছে। তাই ইসলাম হ’ল মানুষের স্বাভের ধর্ম।

আজ এ পর্যন্ত। অন্য দিন মানুষের অন্য স্বভাব নিয়ে কথা হবে আশা করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.