মিসরে আজ শুক্রবার ‘বিক্ষোভ দিবস’ পালনকালে কমপক্ষে ৫০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রয়টার্স জানায়, গত বুধবার পুলিশের অভিযানে হাজারখানেক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মুসলিম ব্রাদারহুড পার্টি আজ ‘বিক্ষোভ দিবসের’ ডাক দিয়েছিল। কায়রোর বিভিন্ন স্থানে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলিবর্ষণের শব্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাজধানীর র্যামেসিজ চত্বরে থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। যেখানেই মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মীরা সংগঠিত হয়েছেন, সেখানেই খুব নিচ দিয়ে সামরিক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, তিনি একটি মসজিদে কাফন মোড়ানো ২৭টি লাশ দেখেছেন। তাদের প্রত্যেকের শরীরে গুলি বা ছররা গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল। কায়রো ছাড়াও মিসরের অন্যান্য স্থানে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে কারাবন্দি মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকেরা তাঁর মুক্তি ও স্থগিত করা সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে গত ৩ জুলাই থেকে বিক্ষোভ চালাচ্ছিল। গত বুধবার কায়রোর দুটি স্থানে মুরসি সমর্থকদের অবস্থান ধর্মঘটের ওপরে ব্যাপক পুলিশী অভিযানে শত শত মানুষ প্রাণ হারায়।
আহত হয় কয়েক হাজার মানুষ।
গত পরশু দেশজুড়ে কারফ্যু জারির পর থেকে প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে সেনা যানগুলোকে টহল দিতে দেখা গেছে। আজও অবস্থা অপরিবর্তিত ছিল। কায়রোর প্রধান সড়ক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশপাশের সড়কগুলোতে টহল দিতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের। কোনো সরকারি ভবনে কাউকে হামলা করতে দেখা গেলেই সেনারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।