রাজধানীর মিরপুর, মতিঝিল, বনানী ও মুগদা এলাকায় পৃথক ঘটনায় গৃহবধূসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন_ লাইজু আক্তার (২৩), মোহাম্মদ আলী (৮৪), নাজমুল হাসান রুনু (৩৯) ও মোমিরুন বেগম (৬৫)। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
মিরপুর থানার এসআই আবুল খায়ের জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কল্যাণপুর ৪ নম্বর বস্তির আজাদ মিলিটারির বাড়ি থেকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইজুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন মাস আগে তিনি একটি ছেলেকে প্রেম করে বিয়ে করেন। তার বাবার নাম আবদুল মালেক। তার বাড়ি ভোলার ইলিশা থানার পাটোয়ারী গ্রামে। মতিঝিল থানার এসআই আবদুর রহমান জানান, গতকাল সকাল পৌনে ৮টার দিকে ৬৩ নম্বর ফকিরাপুল থেকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্দহত্যা করেন মোহাম্মদ আলী। পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। জানা গেছে, আলী চারটি বিয়ে করায় তার পরিবারের মধ্যে প্রায় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এসব কারণে তিনি আত্দহত্যা করতে পারেন বলে এসআই জানান। বনানী থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মহাখালী ওয়ারলেস জিপিও ৩৩ নম্বর বাসায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্দহত্যা করেন নাজমুল হাসান রুনু। তিন বছর আগে তিনি ফরিদা ইয়াসমিন নামে একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। তার নিনিত নামে দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। নিহতের বাবার নাম নুর ইসলাম। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজিবপুর গ্রামে। মুগদা এলাকায় গতকাল দুপুরে বাসের ধাক্কায় মোমিরুন বেগম নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। তিনি তার পরিবারের সঙ্গে মুগদা মানিকনগরের ৪ নম্বর বস্তি জহিরের বাড়িতে থাকতেন। নিহতের মেয়ে হামিদা বেগম জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুগদা বিশ্ব রোডে রাস্তা পারাপারের সময় বলাকা পরিবহনের একটি বাস মাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার রামমধুপুর গ্রামে। মুগদা থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, এ ঘটনায় ঘাতক বাস ও তার চালককে আটক করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।