অবরোধের কারণে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, সৈয়দপুরের কৃষকরা উৎপাদিত পণ্য নিয়ে হতাশায় কৃষক। ধানের দাম কমেছে। ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজি ও আগাম আলু। তাছাড়া লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে অবরোধের অজুহাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষী। এ অবস্থা শুধু গুটি কয়েক জেলাতেই নয়- সারা দেশে।
দিনাজপুর : বিরল উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামতলী এলাকার এক কৃষক তিন একর জমিতে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা খরচে ফুলকপি আবাদ করেছেন। ৪৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করলেও অবরোধের কারণে গ্রাহক না থাকায় বাকি সব ফলন মাঠেই পড়ে আছে। আগাম আলু চাষ করে বিপদে পড়েছেন বর্গাচাষীসহ অনেকে। অবরোধের কারণে আলু পচতে বসেছে। নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, গ্রামের হাটগুলোতে শীতের সবজি উঠেছে প্রচুর। অবরোধের কারণে হাটগুলোতে পাইকারি ক্রেতা শূন্য। স্বাভাবিকের তুলনায় সবজির দাম অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। খরচ না ওঠার আশঙ্কায় অনেক সবজি চাষী ক্ষেত থেকে সবজি তুলছেন না। এ কারণে ক্ষেতের সবজির বয়স বেড়ে খাবার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, গত এক সপ্তাহে ধানের দাম মণপ্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। ব্যবসায়ীরা ধান কিনে মজুদ করলেও গত এক সপ্তাহ ধরে তা বগুড়া, ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানের মোকামগুলোতে পাঠাতে পারছেন না। সদর উপজেলার কালীতলা গ্রামের কৃষক হোসেন হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক মণ ধান উৎপাদন করতে ৭৭০ টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি করতে হচ্ছে ৫০০-৫৪০ টাকায়। লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, অব্যাহত অবরোধ কর্মসূচির কারণে সারাদেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডিজেলের তেমন কোনো চাহিদা নেই। অথচ অবরোধের অজুহাতে পাম্প মালিক ডিজেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। সরকারি দর হিসেবে স্থান ভেদে প্রতিলিটার ডিজেলের দাম ৬৮.২৫ পয়সা থেকে ৬৮.৪৫ পয়সা। কিন্তু তারা প্রতিলিটার ডিজেল ৯৫ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, পর্যাপ্ত ডিজেল না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। তারা বলছেন, সময়মতো জমি চাষ করতে না পারলে মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।