যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমে সৃষ্ট অচলাবস্থার মধ্যে ঋণ সংকট এড়াতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতাদের জরুরি বৈঠকে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা বৃদ্ধি ও সরকারি অচলাবস্থা কাটাতে একটি স্বল্পমেয়াদি চুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষ সম্মত হলেও চুক্তির মেয়াদ ও শর্ত নিয়ে তারা এখনো কোনো সমঝোতায় পেঁৗছতে পারেনি। শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র দরকষাকষি চলছিল। প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যবীমা বিল নিয়ে বিরোধী রিপাবলিকানদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সরকারে অচলাবস্থার সূত্রপাত ঘটায়। ওই বিলসংবলিত নতুন অর্থবছরের বাজেট ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটের অনুমোদন পেলেও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি পরিষদ তা আটকে দেয়। নতুন বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় অর্থ সংকটে ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে আংশিক অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত ১০ দিন ধরে চলা এ সংকটকালে যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বেতন দিতে না পারায় কাজ বন্ধ রেখে লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অচলাবস্থার মুখে ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়টি আরও বড় সংকট হিসেবে আবিভর্ূত হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবরের আগে ঋণসীমা বাড়ানো না গেলে যুক্তরাষ্ট্র ঋণ খেলাপি হয়ে যাবে। সব ধরনের বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অন্যান্য বিলসহ প্রতি সপ্তাহে দেয় ৩ কোটি বিল পরিশোধে ব্যর্থ হবে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে 'মারাত্দক বিপর্যয়' দেখা দেবে বলে সতর্ক করেছে সিনেটের ফাইন্যান্স কমিটি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠকে অংশ নেওয়া দুই পক্ষকেই আন্তরিক বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে একটি সমঝোতায় পেঁৗছানোর বিষয়ে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ঋণ খেলাপি হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন। ওয়েবসাইট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।