আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকার ‘উটপাখির কৌশল’ নিয়েছে: ফখরুল

সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের অনড় অবস্থানের প্রতি ইংগিত করে রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঝড় এলে উটপাখি যেমন বালিতে মুখ লুকিয়ে মনে করে সব বিপদ থেকে তারা রক্ষা পেয়ে গেছে, ক্ষমতাসীনদের অবস্থাও হয়েছে সেরকম। ”
‘একগুয়ে’ আচরণের কারণে দেশে কোনো ‘পরিস্থিতির’ সৃষ্টি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘‘ আমরা এখনো আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আসছে সংসদ অধিবেশনেই তারা নির্দলীয় সরকারের বিল নিয়ে আসবে। ’’
শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

একবার না একবার তো তা শুরু করতে হবে। ”
নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় বিরোধী দলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে এ বিষয়ে আদালতের রায়ের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, “তারা (বিরোধীদল) উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখাতে ভুলে গেছে? কী করে ভুলে যায় তা আমি বুঝি না। ”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনেই আগামী জতীয় নির্বাচন হবে। অন্যদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি।


জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু‘র নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রোববার সকালে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মির্জা ফখরুল। ওই সময়ই তিনি সরকারের অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সংবিধান মেনে নির্বাচন হবে- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘‘ গোটা দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে। পাঁচটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনেও জনগণ একই রায় দিয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মনে করে নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।


তারপরও একগুয়েমির মাধ্যমে সরকার দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “এখনো তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় না হলে সামনে দেশ সংঘাত ও বিপদের দিকে চলে যাবে। ”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মুনীর হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াসীন আলী, আলী রেজাউর রহমান রিপন, সাইফুল ইসলাম পটু, গোলাম সারওয়ার, মারফ আল হাসান, হারুন অর রশীদ এ সময়  উপস্থিত ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.