আমার সম্পরকে বলার মত কিছুই নেই
আমি যখন university te পড়ি তখন একটা মেয়েকে ভালো লাগে। এইটা কে আমি প্রথম প্রেম বলি কারন ,তাকে আমি আমার ভালো লাগার কথা বুঝাতে পেরেছি। নাম ছিল তার “ক”। নাম টা বলতে চাচ্ছি না, ঝামেলা হতে পারে। সে ছিল ভাই-বোনদের মধে সবার বড়।
তার ছোট আরো দু ভাই ছিল। একবারে পিচ্ছিটার পিছনে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে,কাজ হয়নি। সে ছিল কুমিল্লার এক এমপির ভাতিজি(তখন সরকার দলীয়)। “ক” তখন মাত্র এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়েছে। “ক” রা তখন আমাদের পাশাপাশি বাসায় থাকতো।
সে যখন স্কুলে যেতো,আমি প্রায় তাকে দেখার আশায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। কিছুই বলতে পারিনি। ওকে দেখার আশায় ওদের পারিবারিক কত ছোট খাটো কাজ করে দিয়েছি তার কোন ইয়াত্তা নাই। কিন্তু প্রায়ই আমাকে হতাশ হতে হতো।
ওকে আমার ভালো লাগার কথা বলবো বলবো বলে আর বলা হচ্ছে না।
বলতে না পারার প্রধান কারনটা ছিল সাহস এর অভাব। পরে বন্ধু-বান্দব(বিশেষ করে আবির) এর পরামরশে সাহস সঞ্চয় করে ওকে আমার মনের কথাটা বলার জন্য বাসার সামনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ের ছিলাম। যেই না সে আসলো ,আমি অন্য দিকে চলে গেলাম।
বন্ধুরা শুনে অনেক হাসাহাসি করেছে। পরে এক বন্ধুর পরামরশে একটা চিঠি লিখলাম,চিঠিতে আমার মনের কথা গুলো লিখে একটা প্যাকেট ও কিছু ফুল নিয়ে ওর বাসার নিচে অপেক্ষা করছিলাম।
তাকে দেখা মাত্র বুকে সাহস সঞ্চয় করে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম। আমাদের কথাপোকথন গুলো মোটামুটি নিম্মরুপ-
আমি-“ক” শুনো
ক-জি, বলেন
আমি-আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই
ক-আপনি কিছু বলতে চাইলে আম্মুকে বলেন।
(আমি ভয় পেয়ে গেলাম)
আমি –না ঠিক আছে,এই প্যাকেটটা তোমার
ক-আপনি বাসায় এসে আম্মুর কাছে দিয়েন
মেজাজটা চরম খারাপ হলো।
মনে মনে ভাবতে থাকলাম কেমন বোকা মেয়ে,আমি কিছু কথা বলতে চাইলাম,বলে আম্মুকে বলেন। একটা প্যাকেট দিতে চাইলাম বলে, আম্মুর কাছে দেন।
আমার সেই বোকা প্রেমিকাকে অনেক দিন দেখিনা,এলাকা্র ছোট ভাই দের কাছে শুনেছি সে এখন একটা ছেলের সাথে ঘুরে বেড়ায়। ছেলেটার সাথে নাকি “ক” কে প্রায় বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের দোকানে দেখা যায়। (সেটা ২ বছর আগের কথা)। শুনেছি তার নাকি এখন বিয়ে হয়ে গেছে।
তার মঙ্গল কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।