CONNECTION FAILED
- কিরে সিনেমা হলের দিকে এরম হা কইরা তাকায়া আছস ক্যা ?
নিবিড় মনে পর্যবেক্ষন করতে থাকা রিলয় যেন কিছুটা সম্বিত ফিরে পায়
- হুম নাহ , তেমন কিছুনা , আজ যাইরে শরীর ভালা লাগতাছে না ।
অনেকটাই শয়তানি হাসি হেসে সায়ন্ত বলে
- হেহে কি হইসে তোর ? এতক্ষন সিনেমা হলের দিকে তাকায়া ছিলি আবার এখন শরীর ভালা না কইতাছস । ল যাই সিনেমা দেইখা আসি !
রিলয়ের তেমন তেমন আগ্রহ জাগে না বরং বাসায় চলে যাবার জন্য বেশ তাড়াহুড়া দেখায় তারপরও সায়ন্ত জোরাজুরি করলে এবার খুবই রাগান্বিত দেখায় রিলয়কে
- ওই কি পাইছস ? আমি আগে কইসি না এই সব বালছাল সিনেমা দেখার লাইগা আমারে জোর করবি না ।
ধমক শুনে আরো বেশ কয়েকটা বন্ধু চুপ হয়ে যায় , রিলয় আরো কিছু ঝাড়ি দিয়ে ক্ষিপ্ত মাথায় বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ।
******
- হ্যালো আম্মা , কই তুমি ?
- আমি একটু তোর খালার বাসায় আসছি কেন কি হইছে ?
- কখন আসবা ? আমি তো বাসায় দাঁড়ায় আছি ।
- এত তাড়াতাড়ি ? তোর না আরো দু ঘন্টা পর আসার কথা ?
- আসছি তাড়াতড়ি ভাল্লাগতেসিলো না তাই ।
- কিন্তু তোর খালার শরীর বেশি ভালো না একটু কাজ করে দিয়ে আসতে হবে যে ( কন্ঠে বেশ উত্কন্ঠা শোনা যায় )
চোখে মুখে বেশ বিরক্তি ভাব ফুটে উঠে রিলয়ের
- আচ্ছা বলো তুমি কখন আসবা ?
- আসবো আরো ঘন্টা দুই দেরি হবে বাপ ।
- হুমম আচ্ছা আসো আমি দেখি কোথাও যাই ।
- ঠিক আছে সাবধানে থাকিস ।
*****
- আরে ধুর আমি কি করুম বল ? মাইয়া আমারে কইল রুবেল তোমার ঠোঁটটা অনেক সুন্দর আমি কইলাম আসো কিস করি ।
- কি ? ও মাই গড ! হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেলা রে । যা: শ্লা এই বান্দরামি আর কবে দূর করবি ?
- কি কস বান্দরামী ছাড়া লাইফ কিরে ? মুভি দেখবি ?
- ধুর দুই তিন ঘন্টা এক জায়গায় চুপচাপ বইসা মনিটরে তাকায় থাকতে ভালা লাগে না
- আরে দোস্ত দেখ দেখ এইডা সেইরাম মুভি পুরা এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট তোর এত বোরিং লাগবো যে আমারে গালি দিতে ইচ্ছা হইবো বাট পরের সাত মিনিট তুই পুরা তব্দা খায়া যাইবি মানে পুরা শক !
- কস কি ? শক বলতে কি বুঝাইতে চাস ভয়ের কিছু হইবো ?
- নাহ ভয়ের না মানে হইলো গিয়া কি যে কমু ..... ওহ পুরা সারপ্রাইজ হয়া যাইবি পরের সাত মিনিট দেইখা তোর ইচ্ছা করবো আবার প্রথম থেকে মুভিটা দেখি ।
- এইডা কি কইলি ? চরম হতাশ হইলাম , আবার প্রথম থেকে এই বোরিং মুভি দেখতে ইচ্ছা হইবো ?
- ধুর তুই বেশি কথা কস , আয় মুভি দেখি ।
- দেখুম তয় একখান শর্ত , তুই এক্কেরে চুপচাপ থাকবি বেশি কচকচ করলে যামুগা ।
রিলয়ের হুমকিতে শুধু একটা ৩২ পাটি হাসি দেয় রুবেল ।
*****
ডিং ডং
রিলয় ধাক্কা দিয়ে দেখে দরজাটা খোলাই ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে ক্লান্তি নাকি অন্য কিছু বোঝা গেলো না । কিন্তু ঘরে ঢুকেই দেখলো আব্বা আম্মার সাথে ঝগড়া করতেছে । এটা প্রতিদিনকার দৃশ্য না হলেও সাপ্তাহিক তাই ওদিকে না গিয়ে নিরবে নিজের রুমে ঢুকে বসে পরলো . হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে সে প্রকৃতঅর্থেই খুবই ক্ষুধার্ত কিছু না পেয়ে বাতাস খেতে চাচ্ছে । হঠাৎ ও ঘরে আম্মার চিৎকার শুনতে পেলো উৎকন্ঠিত চেহারা নিয়ে দৌড়ে গেলো রিলয়।
- আব্বা , আম্মার চুল ছাড়েন আমি বলতেছি ছাড়েন প্রায় চিৎকার করে বলে রিলয়।
- তোকে এখানে আসতে বলছে কে ? তুই যাহ অগ্নিচখে তাকিয়ে বলে সাগর চৌধুরী
- না আমি যাবো না , আপনি যা করতেছেন এটা মোটেও ঠিক না ছাড়েন বলতেছি ।
- ওই তোর কাছ থেকে আমার ভালো মন্দ শিখতে হবে ? বলে মিতা চৌধুরীকে প্রায় ছুঁড়ে ফেলে দিলেন তারপর ছেলেকে গিয়ে চড় মারলেন । এদিকে মিতা চৌধুরী ব্যথায় কাতরাচ্ছেন । সাগর আবার মিতাকে মারার জন্য বলতে লাগলেন
- নষ্ট মাগী স্বামীর অনুমতি না নিয়া বাইরে যাস , কি করতে যাস আমি বুঝি না মনে করছস ? ঐডা কি তোর আপন বইন ঐডার লাইগা তোর এত মায়া কেলা ? আমি বুঝি না মনে করছস ?
এবার সাগর একটা লাঠি নিয়ে মিতার গায়ে আঘাত করতে গেলে রিলয়ের আর সহ্য হয় না ছুটে গিয়ে বাপকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়
- ওই বুইড়া বজ্জাত তুই আর একবার আমার মায়ের গায়ে হাত দিবি টেংরি ভাইঙ্গা দিমু । আপন বইন না হলেও নাড়ির টানে আমার মায়ে গেছে তো কি হইছেরে ? তুই কি খুব সৎ মারাস না ? নষ্ট মাগীর কোমরে হাত ধইরা সিনেমা দেখতে যায় কেডা ? মনে করছস কিছু দেখি না ?
মিতা চৌধুরী ছেলের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যান ।
পুরো ঘরে শুন্যতা নেমে আসে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।