আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিঃশব্দ এক ঘুণপোকা

আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা । । ছবি- গুগল থেকে।

মনটা বড্ড খারাপ। কাঁকডাকা ভোরেই ঘুম ভেঙেছে। ফ্রেশরুমে গিয়ে ব্রাশ করে ড্রেস চেন্ঞ্জ করে হাটতে বের হলো আনিস। ভোরের প্রতূষে ঝিরিঝিরি হাওয়া এসে নাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে মনটাকে। রাত্রে দুঃসপ্ন এসে ভাঙিয়ে দিয়েছিল ঘুম।

অনেক কষ্ট করে দ্বিতীয় দফায় ঘুম এলেও বেশিক্ষণ স্হায়ী হয়নি। তাই ভোরে উঠে হাটতে বেরিয়েছি। পাখির কিচির মিচির শব্দটা অনেকদিন পর শুনছি। গ্রামে থাকতে রেগুলার শোনা হতো। শহুরে জীবনে এসে আকাশ সংস্কৃতিতে মিশে রাতভর টিভি ইন্টারনেট নিয়ে জেগে থেকে শেষ রাতে ঘুমানোর ফলে ভোরের স্নিগ্ধতা আর দেখা হয়নি অনেকদিন ধরে।

৪-৫ জন মেয়ে দল বেধে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছে। ওদের কথোপকথনে আনিসের আগ্রহটা বেড়ে গেল। সে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের পিছু পিছু। চশমাটা রুমে ফেলে এসেছি মেয়েগুলোকে ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছিনা। ঝাপসা দেখাচ্ছে তবে কন্ঠ শুনে মনে হচ্ছে এদের মধ্য কউ তিতলী হবে।

আনিস এগিয়ে গিয়ে ডাকলো তিতলী আপু তিতলী আপু সজোরে একটা চেটোপাঘাত এসে আনিসের গালটাকে উষ্ণ করে দিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েগুলো খিলখিল করে হেসে উঠলো। থাপ্পরটা কে মেরেছে আনিস এখনো স্পষ্টত নয়। তবে মনে হয় মোড়ে পাড়ার দাদাবাবু ছিল সেই মেরেছে। ইতিপূর্বে ঠ্যাংখোড়া করে দেবার হুমকি দিয়েছিল।

উদাসিভাবে এলোমেলো পা ফেলে আনিস হেটে চলেছে পথ ধরে। গালটা একবার বুলিয়ে বুঝে নিল নাহ!! তেমন একটা লাগেনি। রক্ত বের হয়নি। তিতলী মেয়েটা বড্ড দুষ্ট হয়ে গেছে আজকাল। আগেরমতো আর আনিসকে পাত্তা দেয়না।

কি সব ঝাকড়া চুলওয়ালা ছেলেদের সাথে ঘুরে আনিসকে দেখলেই এখন ঠাট্টা করে। তাতেও আনিসের কোন খেদ নেই। কেমন জানি মায়া পড়ে গেছে মেয়েটার প্রতি যা অনেকটা নিঃশব্দ এক ঘুণপোকার মতো কুড়ে-কুড়ে খেয়ে যাচ্ছে আনিসকে প্রতিনিয়ত….  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।