দুই-আড়াই মাস আগে ভাগ্নে একটা ফর্দ তৈরী করে দেখিয়েছিল। সেখানে কিছু জিনিসের নাম লেখা ছিল। তার জন্মদিনে সে কী কী সারপ্রাইজ পেতে চায় তার একটা তালিকা। ফর্দে যা যা ছিল -
১. বল গান। (Ball gun) বন্দুক দিয়ে বল ছুঁড়ে মারে এমন একটা খেলনা।
২. আইসক্রীম এর ছাঁচ।
৩. রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি।
৪. ক্লে।
৫. ক্যান্ডি।
আরও কিছু ছিল কি না এখন মনে পড়ছে না।
লিস্ট দেখে সবাই ৫ নম্বরটাই পছন্দ করেছিল। আমিও বলে দিয়েছিলাম, তোমার জন্মদিনে একটা ক্যান্ডি সারপ্রাইজ দিব। শুনে মুখটা কালো করে ভাগ্নে বলেছিল, আচ্ছা ঠিক আছে তাই দিও।
যা হোক সবাই মুখে মুখে এমন কথা বললেও ভাগ্নে সময়মত ঠিকই সারপ্রাইজ পেয়ে গেল। ওর মা দিল ক্লে, অবশ্য সেটা আগে-ভাগেই দিয়ে দিয়েছিল।
নানা দিল বল গান, নানীও একটা বড় খেলনা বন্দুক দিলেন যেটা থেকে চার-পাঁচ রঙের লাইট বের হয় আর ঢ্যাড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড় শব্দ হয়। নানা-নানীও জন্মদিনের দুই দিন আগেই দিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের আবার জন্মদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার ধৈর্য্য নেই। ভাগ্নে বেশি খেলতে গিয়ে নানীর দেয়া বন্দুকটার স্প্রিং নষ্ট করে ফেলল। এখন শুধু লাইট জ্বালায় আর মুখে ঢ্যাড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড়ড় শব্দ করে।
তার ছোট খালার কাছ থেকে পেয়েছে আইসক্রীম বানানোর ছাঁচ।
রাত বারোটার সময় ওকে ফোন করে উইশ করার পর সে আমাকে আইসক্রীম খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছে। তার পিচ্চি ছোট বোনের পক্ষ থেকে পেয়েছে রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি, যেটার প্রতি তার ছোট ভাইয়ের বিশেষ নজর পড়েছে। কতদিন আগলে রাখতে পারবে সেটাই প্রশ্ন।
মেজ খালা কী দিবে বুঝতে না পেরে টাকা দিয়েছে, বলেছে মার্কেটে গিয়ে পছন্দমত কিছু কিনে নিতে। আমি পড়ে আছি জঙ্গলে, উইশ করা ছাড়া কিছু করতে পারিনি, তবে ফর্দের শেষ জিনিসটা এখনও কেউ দেয়নি।
একটা দিব বলেছি, না হয় সারপ্রাইজ হিসেবে একটা বড় প্যাকেটই দিলাম। অথবা বিভিন্ন স্বাদের কয়েক প্যাকেট। দেখি কবে ভাগ্নের কাছে যেতে পারি।
ও হ্যাঁ, আজকে আমার জানের জান ভাগ্নের জন্মদিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।