আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক
ইবনে রুশদ - ১
ভূমিকা বনাম অলস কথা:
আলসেমির কারনে দ্বিতীয় পর্ব শুরু করতে অনেক দেরী হল। সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
প্রথম পর্বের লেখায় ইবনে রুশদের জীবন ও অবদান নিয়ে অল্প স্বল্প ধারনা দিয়েছিলাম। সে ধারাবাহিকতায় এ পর্বে ইবনে রুশদের জুরিসপ্রুডেন্স/বিচারক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করছি। আগেই বলেছি দর্শন, চিকিৎসা শাস্ত্রের পাশাপাশি ফিকহ শাস্ত্রে ইবনে রুশদের ছিল অসামান্য দখল এবং এ কারনে তিনি কর্ডোভা ও সেভিলে বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
তৎকালীন কর্ডোভাতে মালিকি মতবাদে ইবনে রুশদের সমকক্ষ পান্ডিত্য আর কারো ছিলনা। আশ্চর্যের বিষয় হল, এতটা জ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও মুসলিম বিশ্বে তার জুরিসপ্রুডেন্স খুব বেশী পরিচিত হতে পারেনি। বরং দার্শনিক পরিচয়টিই তাকে খ্যাতির শীর্ষে তুলে নিয়েছে। এর মূল কারন, ফিকহ শাস্ত্র বিশারদ হিসেবে ইবনে রুশদের ট্রাডিশনালিস্ট ভূমিকা। তিনি প্রচলিত কোন ব্যাখার বিপরীতে নিজস্ব কোন যুগান্তকারী ব্যাখা দাড় করান নি।
বরং অন্যান্য ফকীহ/ইমামদের প্রচলিত ব্যাখাকে গুরুত্ব দিয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে বাদী বিবাদীর চলমান বিবাদ মীমাংসা করেছেন। তিনি যুগান্তকারী কোন ফতোয়ার প্রবর্তক নন, বরং ট্র্যাডিশনে চলে আসা ফতোয়ার বিশ্লেষক। বিচারক হিসেবে সে সীমারেখাটি তিনি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন।
ইবনে রুশদের কয়েকটি ইসলামী আইনের বিশ্লেষন দেখা যাক।
মুতা বিবাহ প্রসংগে ইবনে রুশদ:
ইবনে রুশদ মুতা বিয়েকে অবৈধ বলে গন্য করতেন।
একবার তার কাছে একটি মামলা আনা হল যেখানে একজন পুরুষ মোহর এবং অভিভাবক ব্যতিরেকে একজন নারীকে মুতা বিয়ে করেছিল। ইবনে রুশদ তাকে বললেন, "তুমি তো জান যে মুতা নিষিদ্ধ। সাথে সাথে তুমি অভিভাবক এবং মোহর ব্যতিরেকে বিয়ে করেছ। এমনকি সাক্ষী দুইজনও পেশাদার সাক্ষী নয়। "
"তা জানি।
তবে আমি ইবনে আব্বাসের দেয়া ফতোয়া অনুযায়ী মুতা বিয়ে করি। আপনি জানেন, যারা মুতাকে স্বীকৃতি দেন তারা বলেন মুতার জন্য কোন ন্যুনতম মোহর নির্ধারিত নেই। মেয়েটি যেহেতু সামাজিক ভাবে আমার সমকক্ষ নয়, তাই আমার পিতা এ বিয়েতে মত দিচ্ছিলেন না। সেজন্যে বাধ্য হয়ে আমাকে মুতার আশ্রয় নিতে হয়। "
ইবনে রুশদ এ মামলার ফয়সালার এই ধরনের মুতাকে ব্যভিচারের সমকক্ষ বলে গন্য করেন।
বৈধ বিয়ের জন্য যা যা শর্ত পূরন বাধ্যতামূলক ছিল, তার কোনটিই এই বিয়ে পূরন করে নি। ফলে পুরুষটিকে ব্যভিচারের শাস্তি প্রদান করেন। (Click This Link)। ইবনে রুশদের মতে ইবনে আব্বাস পরবর্তীতে তার পূর্বকৃত মুতা বিষয়ক ফতোয়া থেকে পিছিয়ে গিয়ে মুতাকে অবৈধ হিসেবে গন্য করেন।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসংগে ইবনে রুশদ:
ইবনে রুশদের সমসাময়িক কালে আন্দালুসিয়ার প্রশাসন ও বিচার বিভাগে কোন নারী নেতৃ্ত্ব ছিল না।
যা অনেকটা তৎকালীন গ্রীসের অবস্থার অনুরূপ। এরিস্টটলের "পলিটিক্স" ইবনে রুশদের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করে, যার ফলে তিনি এই নারীর ক্ষমতাহীনতার প্রচন্ড সমালোচনা করেন। নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে ইবনে রুশদের দৃঢ় অবস্থান আজকের যুগেও প্রশংসিত। সৌদি আরবের কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোয়াজেব আলজাহরানি বলেন, "আটশত শতক পূর্বের ইসলামী চিন্তাবিদ ইবনে রুশদ নারীকে ক্ষমতাহীন করার যে প্রচন্ড সমালোচনা করে গিয়েছেন, তা আজকের যুগেও প্রযোজ্য। নারীর মেধাকে অবমূল্যায়ন করার পরিনতি হিসেবে চলে আসবে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দৈন্যতা।
ইবনে রুশদ দেখিয়েছেন যুক্তি এবং কার্যকরনের মাধ্যমেই জনসচেতনতা তৈরীর দ্বারা জীবন ও জগতের কল্যান সাধন সম্ভবপর হবে। "
Click This Link
দর্শন প্রসংগে ইবনে রুশদ:
ইতিমধ্যে আমি এটা উল্লেখ করেছি যে, ইবনে রুশদ বিচারকের পাশাপাশি ছিলেন একজন দার্শনিক। পরবর্তী ইতিহাসে এই দার্শনিক পরিচয়টিই তাকে খ্যাতির শীর্ষে তুলে ধরে। প্রশ্ন উঠতে পারে, ইবনে রুশদের মত একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম কি করে দর্শন অধ্যয়নকে নিজের জন্য কর্তব্য বলে সাব্যস্ত করলেন। যেখানে তখনকার মুসলিমরা তো বটেই, আজকের যুগের মুসলিমরাও দর্শন অধ্যয়নের বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেন না।
নিম্নোক্ত আয়াতগুলো এক্ষেত্রে প্রাসংগিক মনে হতে পারে:
وَلَوْ أَنَّهُمْ رَضُوْاْ مَا آتَاهُمُ اللّهُ وَرَسُولُهُ
"[কতইনা ভাল হতো] যদি তারা সন্তুষ্ট হত তা নিয়ে যা আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাদেরকে দিয়েছেন। "
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
বস্তুত এদের অধিকাংশই ধারণা অনুমানের অনুসরণ করে। আর সত্যের মুকাবিলায় ধারণা অনুমান কোন কাজে আসেনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ জানেন তারা যা করে। " [১০:৩৬]
وَمَا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنَّ الظَّنَّ لَا يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا
এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নাই।
তারাতো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেও ফলপ্রসূ নয়। [৫৩:২৮]
উপরের আয়াতগুলো থেকে মনে হতে পারে দর্শন অধ্যয়ন নিরর্থক। কিন্তু দর্শন অধ্যয়নের এ বিষয়টিকে অন্যভাবেও দেখা যেতে পারে। ইবনে রুশদ একনিষ্ঠ মুসলিম ছিলেন বলেই দর্শন অধ্যয়নকে নিজের জন্য কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
ইবনে রুশদ কিতাব ফসল আল মাকাব (অন দ্য হারমোনি অব রিলিজিয়ন এন্ড ফিলোসোফি) বইতে ব্যাখা করেছেন কেন দর্শন অধ্যয়নকে ইসলাম উৎসাহিত করে থাকে। নিম্নোক্ত আয়াত গুলোর প্রেক্ষিতে ইবনে রুশদ দর্শন শাস্ত্রের অধ্যয়নকে ইসলামের দৃষ্টিতে উৎসাহিত বলে দাবী করেছেন ।
"তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? এবং আকাশের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে উচ্চ করা হয়েছে? এবং পাহাড়ের দিকে যে, তা কিভাবে স্থাপন করা হয়েছে? এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে? [৮৮:১৭-২০]"
"তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
"
[৬৭:৩-৪]
এরকম আরো বেশ কিছু আয়াত এবং হাদীসকে তিনি দর্শন শাস্ত্র অধ্যয়নের পক্ষে দাড় করান।
ইবনে রুশদ এবং গ্রীক দর্শন:
বহুমূখি প্রতিভাধর ইবনে রুশদের চরিত্রের যে দিকগুলো আমাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষন করে তা হচ্ছে বিনয়, সহিষ্ণুতা, উদারতা এবং জ্ঞানের প্রতি তীব্র অনুরাগ। তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন প্লেটো এরিস্টটল সহ গ্রীক সাহিত্যের উপর গবেষনা করে। অথচ তৎকালীন গ্রীক সাহিত্য ছিল সমাকমিতায় ভরপুর। প্লেটোর সাহিত্যে নানাভাবে সমকামিতাকে উপস্থিত হয়েছে।
একটি বইতে প্লেটো লেখেন:
"সমকামিতা বর্বরদের এবং যারা স্বৈরাচারী শাসকদের অধীনে থাকে - তাদের কাছে লজ্জাজনক। যেমনি করে দর্শন এদের কাছে লজ্জাজনক। এসব রাজারা তাদের প্রজাদের মাঝে চিন্তাধারার প্রসার ঘটুক তা চায় না। চায় না প্রজাদের মাঝে শক্তিশালী বন্ধুত্ব বা ভালবাসা তৈরী হোক। "
প্রশ্ন উঠতে পারে প্লেটো কি সত্যই সমকামী ছিলেন? কিংবা সমকামিতার পক্ষে ছিলেন? এ বিষয়ে ইতিহাসে নানান মত দেখতে পাওয়া যায়।
কেউ কেউ বলেন সমকামিতা বিষয়ক প্লেটোর এসব কথা আসলে তৎকালীন গ্রীক সমাজের চলে আসা সমকামিতার বহুল প্রচলিত রূপটিই তুলে ধরে। প্লেটো প্রকৃতপক্ষে সমকামিতার বিরুদ্ধে ছিলেন। এর প্রমান হল প্লেটোর দুটি বই - "ল'স" এবং "রিপাকলিক"। এই দুটি বইতেই প্লেটো প্রকৃতি বিরু্দ্ধ এবং বিয়ে বিরোধী হবার জন্যে সমকামিতার নিন্দা জানিয়েছেন। বিষেশত "ল'স" বইতে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এরকম সম্পর্ককে বেআইনী ঘোষনারও পক্ষপাতী ছিলেন।
Click This Link
Click This Link
http://www.newstatesman.com/199908230009
আগেই বলেছি ইবনে রুশদ প্লেটোর বিখ্যাত বই রিপাবলিকের সারাংশ ও মুখবন্ধ রচনা করেন। "রিপাবলিক" শব্দটি এসেছে "পাবলিক" থেকে। রিপাবলিক বইটিতে প্লেটো তার দার্শনিক গুরু সক্রেটিসের এক কাল্পনিক কথোকথন তুলে ধরেছেন। একটি আদর্শ নিখুত নগর রাষ্ট্রের রূপরেখা কি হতে পারে তার বিশদ বর্ননায় ঠাসা এই বই। রাষ্ট্রে নাগরিক অধিকার, নাগরিক দায়িত্ব, সমাজে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভূমিকা, সমাজে ন্যায় বিচার ও তার মাপকাঠি সহ নানা বিষয়ের আলোচনায় সমৃদ্ধ।
রাষ্ট্রকে নিখুত হতে হলে যে যে উপকরন আবশ্যক তার রূপরেখার বর্ননা। সবশেষে বইটিতে তিনি টেনে এনেছেন সাংবিধানিক মূলনীতি। কোন ধরনের সাংবিধানিক মূলনীতির রাষ্ট্র এই নিখুত সমাজ ব্যবস্থাকে লালন করতে পারে? সে কি রাজতন্ত্র, অভিজাত তন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র নাকি গনতন্ত্র? মজার বিষয় হচ্ছে গনতন্ত্র, যা আজকের যুগের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্ট পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে স্বীকৃত, প্লাটো তার সমালোচনা করে গিয়েছেন তীব্র ভাবে। তিনি দাবী করেছেন, গনতন্ত্র হচ্ছে দুর্বলের উপরে সবলের শাসন মাত্র। গনতন্ত্রকে তিনি নিখুত সমাজ ব্যবস্থার ধারক হিসেবে গন্য করেন নি।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে বেছে নেয়া উচিত কাকে - গনতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, নাকি একনায়কতন্ত্র? এর আসলে কোন ধরাবাধা জবাব নেই। পুরো বিষয়টি নির্ভর করে সমসাময়িক আর্থ সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতির উপরে। আজকের এই পৃথিবী তথ্য প্রযুক্তিতে গ্লোবালাইজড এক পৃথিবী। শিক্ষা এবং সচেতনতার আধিক্যের কারনে "গনতন্ত্র" এখন সবচেয়ে আদরনীয় মতবাদ। যদিও গনতন্ত্রের ধারনা বহু পুরোনো সেই গ্রীক দার্শনিকদের কাছ থেকে পাওয়া, অথচ এটার একচ্ছত্র সাফল্য দেখছি আজ একবিংশ শতকে।
এর চর্চা আগেও ছিল, তবে এতটা সফলভাবে নয়। রোমে নির্বাচিত রাষ্ট্রনায়ক সিজার যেদিন গনতন্ত্রের কবর খুড়ে রাজতন্ত্রকে পোক্ত করতে চেয়েছিলেন, সেদিন এই গনতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সিনেটর ব্রুটাস তার প্রিয় নেতা সিজারের খুনে নিজের হাত রন্জ্ঞিত করতে একটুও দ্বিধা করেন নি। প্রিয় ব্রুটাসের সে বেইমানী সিজার সইতে না পেরে অস্ফূট স্বরে বলেছিলেন, "তুমিও, ব্রুটাস?" এত দেশপ্রেম সত্ত্বেও ব্রুটাস কি পেরেছিলেন রোমের জনতাকে গনতন্ত্রের পক্ষে নিতে? পারেন নি। ব্রুটাসের পতন ঘটে খুব দ্রুত। জনতা বেছে নেয় সিজারের উত্তরাধিকারকে।
সেসময়টায় রোমের যুদ্ধপ্রিয় পরিবেশ গনতন্ত্রের জন্য খুব উপযোগী ছিল না, তাই রাজতন্ত্র বিজয়ীর বেশে ফিরে আসে। পৃথিবীর অতীত ইতিহাসে যে গনতন্ত্রের পদচারনা রয়েছে, তা বেশ নড়বড়ে - আজকের এত পোক্ত নয়। আমি একেবারেই অবাক হব না, যদি আগামী পঞ্চাশ বছরে গনতন্ত্র মুখ থুবরে পড়ে যায় এবং আবার সমাজতন্ত্র বা একনায়কতন্ত্রের পুনরাগমন ঘটে।
প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের এই রূপরেখার সাথে ইবনে রুশদ অনেকটাই একমত পোষন করে দাবী করেন, এই আদর্শ রাষ্ট্র বাস্তবায়িত হতে পারে শুধু ইসলামী খিলাফত রাষ্ট্রের মাধ্যমে। এখানেই ইবনে রুশদ ইসলাম ও গ্রীক দর্শনের সমন্বয় সাধন করতে চেয়েছিলেন।
গ্রীক সাহিত্য থেকে ধার করেন নিখুত রাষ্ট্রের রূপরেখা এবং ইসলাম থেকে ধার করে নেন বাস্তবায়ন পদ্ধতি।
http://www.muslimphilosophy.com/ir/index.html
Click This Link
Click This Link rushd quotes&f=false
Click This Link rushd quotes&f=false
http://www.ghazali.org/works/taf-eng.pdf
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.friesian.com/plato.htm
Click This Link
চলতে থাকুক..............
[ইবনে রুশদের এই ছবিটি আকেন ইতালিয়ান আর্টিস্ট আন্দ্রে বনেটো ১৪ শত শতকে । ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।