আমাদের বর্তমান সরকারে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিবর্গ কি তাদের দেয়া নির্বাচনী ওয়াদাগুলো বাস্তবায়ন করতেছেন নাকি বিরোধীদলের সমালোচনায় ব্যস্ত আছেন? সরকারদল ও তাদের সহযোগীদের কাছে বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার এ প্রশ্ন।
আমার প্রশ্নাবলীbr /> ১. বিদ্যুৎ:- পূর্বের সরকারের সময়ে আমরা বিদ্যুৎ যেভাবে পেয়েছি এখন তার ৫০% ও ভোগ করতে পারছিনা। আগে মানুষ বলত যে, বিদ্যুৎ চলে গেছে (যদি বিদ্যুৎ না থাকে) এখন এ কথাটিরও পরিবর্তন ঘটেছে এখন মানুষ বলে বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে।
আমাদের সরকার নির্বাচনী ওয়াদাতে বলেছেন বিদ্যুৎখাতে উন্নতি ঘটাবেন কিন্তু আমরা ২বছর অপেক্ষা করার পরেও দেখতেছি বিদ্যুতের অবনতি ঘটেছে। এ দু’বছর উনি বিদ্যূতের উন্নয়নমূলক কি কাজ করেছেন তা জানিনা তবে এতটুকু জানি পূর্ববতী সরকারের সমালোচনায় ঠিক মতই ব্যস্ত ছিলেন।
যে তারা বিদ্যুতের উৎপাদনের জিনিসগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করে নি।
বিদ্যুতের কারণে যে সমস্যাগুলি সাধারণত হয়:-
বর্তমান মানুষ সুখ প্রিয়। বিদ্যুৎ ছাড়া অচল। কিছু কিছু ব্যবসা আছে শুধু বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। যেমন:- কম্পিউটার দোকান, মেইল-কারখানা, ফটোষ্ট্যাট দোকান, বড় বড় ভবন ইত্যাদি।
এ সমস্ত কিছু বিদ্যুৎ ছাড়া অচল। বর্তমানে যে হারে বিদ্যুৎ থাকে না (লোড শেডিং) তাকে লোড শেডিং বলা যায় না। কারণ লোড শেডিং এর নির্দিষ্ট একটা সময় আছে। তবে যদি ঐ এলাকার কোন ভি.আই.পি (মন্ত্রী) এলাকায় আসে তাহলে ঐ দিনে বিদ্যুতের কোন প্রকার সমস্যা হয় না।
২. খাদ্য:- আমাদের সরকার নির্বাচনী ওয়াদায় বলে ছিলেন মোটা চালের কেজি ১০ টাকা করে জনগণকে খাওযাবে।
এভাবে একটা চার্ট করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত তা আমি সংগ্রহে রাখিনি।
কিন্তু আমার একটা অনুরোধ হল বর্তমান বাজারে গিয়ে সরকার যদি একটু দেখত যে, চাল, ডাল, চিনি, কেরোসিন, সয়ানিব তৈল, সরিষার তৈল ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম কত? তারা কি তাদের নির্বাচনী ওয়াদা পালন করতে পারতেছে বা করছে?
খাদ্যের অভাবে অসুবিধা সমূহ:-
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে থাকার কারণে অনেকে বাঁচার তাগিদে চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, চিন্তাইকারী ইত্যাদি কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। আগের তুলনায় এখন চুরি, ডাকাতি বাড়তেছে। দরিদ্র না খেয়ে মরতেছে, ভিক্ষা করতেছে
একদিকে খাদ্যের দাম বেশি অন্য দিকে করার মত কোন কাজ পাচ্ছে না।
মানুষ কি করবে তারা বুঝতেও পারছেনা।
একটা গল্প মনে পড়ল:- একবার এ নেতা তার নির্বাচনী বক্তৃতায় বলেছেন যে, আমাকে যদি আপনারা ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তা হলে আমি আমার এলাকায় গরিব রাখবোনা। সকলে খুশী হয়ে (ধনী হওয়ার আশায়) তাকে ভোট দিল। ভোট পাওয়ার পরে নেতাজি গরীব লোকদের উপর নির্যাতন করতেছেন এবং তাদেরকে মারতেছেন। তখন কিছু সংখ্যক গরিব লোক একসাথ হয়ে বলতেছেন যে, নেতজি আপনি আমাদেরকে মারতেছেন কেন? তিনি বলতেছেন যে, আমি আমার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতেছি।
কারণ আমি বলেছি যে, আমি দেশে গরিব রাখবোনা। এখন আমাদের দেশের ৭০% জনগণেরও একই অবস্থা।
চাকুরী নেই, ভাতও নেই, মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই, সরকার বলে আমাদের কিছু করার নেই্
৩. প্রবাসী:- সাউদি আরবের ভিসা এখন পর্যন্ত আমারদের গুণবতী সরকার চালু করতে পারেনি। পারবে বলেও মনে হচ্ছে না। দুবাইতে বাংলাদেশের মানুষের কি কষ্ট, চাকুরী পাচ্ছে না।
না খেয়ে মরতেছে। মালেশিয়া থেকে আড়াই লক্ষ বাংলাদেশীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এভাবে আরো বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মানুষের যেভাবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তার কোন সমাধান খুঁজে বের করতে পারতেছেন না। বরং যা করতেছেন তা হলো বিরোধী দলের সমালোচনা ও ভারতের সাথে বিভিন্ন চুক্তি।
আশা করি আমার এ যুক্তিগুলো তদন্ত করে দেখবেন। আজকে এ পর্যন্ত লেখলাম।
নেতা হওযার লোভ না করে জনগণের সেবক হওয়াটাই মঙ্গল। ...........লেখক ইউছুফ আলী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।