অস্কার পিস্টোরিয়াস আগেই স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রেমিকা রিভা স্টিনক্যাম্পকে তিনিই গুলি করেছিলেন। তবে প্রেমিকাকে উদ্দেশ করে নয়, অন্ধকারে চোর বা ডাকাত সন্দেহে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। স্টিনক্যাম্পকে হত্যার অভিযোগে চলা মামলার শুনানিতে আজও একই কথা বললেন বিশ্বের পা-হীন দ্রুততম এই মানব।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মামলার শুনানিতে আজ পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ পড়ে শোনান কৌঁসুলিরা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ‘ব্লেড রানার’।
দুই হাত ওপরে তুলে তাঁকে প্রার্থনা করতেও দেখা যায়। ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগ অস্বীকার করলেও কৌঁসুলিরা আদালতে বলেন, ওই রাতে পিস্টোরিয়াসের বাসা থেকে এক নারীর কান্না শুনতে পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। এরপর শোনা গিয়েছিল গুলির শব্দ। আদালত আগামী বছরের ৩ মার্চ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের ভোরে প্রিটোরিয়ায় পিস্টোরিয়াসের বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্টিনক্যাম্প।
২৯ বছর বয়সী স্টিনক্যাম্পের লাশের পাশেই একটি নয় মিলিমিটার পিস্তল পাওয়া যায়। ওই পিস্তলের চারটি গুলি লাগে তাঁর শরীরে। ঘটনার পরপরই বাড়িটি ঘেরাও করে পিস্টোরিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৬ বছর বয়সী পিস্টোরিয়াসের বিরুদ্ধে ‘পরিকল্পিত হত্যা’র অভিযোগ আনা হয়। অবশ্য আদালতে লিখিত জবানবন্দিতে দক্ষিণ আফ্রিকান এই অ্যাথলেট দাবি করেন, তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর ঘরে অনাহূত কোনো চোর বা ডাকাত ঢুকেছে।
সেটা ভেবেই গুলি চালিয়েছিলেন। তবে পিস্টোরিয়াসের এক প্রতিবেশী আদালতে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই রাতে পিস্টোরিয়াসের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী স্টিনক্যাম্পের ঝগড়াঝাঁটির শোরগোল পাওয়া যাচ্ছিল। এরপরই শোনা যায় গুলির শব্দ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।