আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকায় গাড়ির জ্যাম আর কক্সবাজারে মানুষের জ্যাম



ভাই ঢাকার গাড়ির জ্যামের চাপে অসয্য হয়ে দীর্ঘ ৪৫০-৫০০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে গেলাম কক্সবাজারে একটু খোলা হাওয়া পেতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি উল্টো সিন। সেখানকার মানুষ দেখে আমাদের চোখ কপালে। দীর্ঘ ৫-৭ কিলোমিটারের মধ্যে হাটার কোনো জায়গা নাই। হোটেলে নেই কোন থাকার জায়গা।

এমনকি রেষ্টুরেন্ট গুলোতেও নেই কোন খাওয়ার জন্য জায়গা। যাক আগে থেকেই একটি হোটেলে রুম বুকিং দেয়াতে এই যাত্রায় বেচে গেলাম। নাহলে পরিবার নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাতে হতো। তবে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় কোন কোন রাতে হোটেলে জায়গা না পেয়ে কিছু মানুষদের ব্যাগ নিয়ে রাস্তায় হেটে রাত কাটিয়েছে। বিচে গিয়ে দেখি একই কাহিনী মানুষ আর মানুষ।

যেদিকে তাকাই শুধু মানুষ। তবে এবার মনে হলো ছেলেদের থেকে মেয়েরা বেশী গিয়েছিল কক্সবাজার দেখতে। তবে বোঝার উপায় নেই যে কারা স্বামী-স্ত্রী আর কারা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফেন্ড আর কারাইবা মেয়েদের কে প্রস ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছে। তবে যারা পরিবার নিয়ে গিয়েছে একমাত্র তাদেরকেই চিহ্নিত করা গিয়েছিল। যাই হোক কক্সবাজারের নিকটে কলাতলী বিচে শান্তি না পেয়ে গেলাম হিমছড়িতে সেখানেও গিয়ে দেখি একই পরিস্থিতি।

তবে শেষ পর্যন্ত ইনানী বিচে গিয়ে একটু সস্তি পেলাম। ভাবলাম যাই হোক একটু শান্তি তো পেলাম। এই শান্তিটুকুকে পুজি করেই আবার যানজটের শহর ঢাকায় ফিরে আসলাম। পরামর্শ : ভাই প্লিজ ঈদের সময়ে কেউ কক্সবাজারে ঘুরতে যাইয়েন না। তাহলে শান্তির চেয়ে অশান্তি পাবেন বেশী।

আবার হোটেল ভাড়াও গুনতে হবে ৫-৭গুন বেশী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।