আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধার্মিক ও অধার্মিক মাননীয়াদ্বয় এবং স্টুপিড পাবলিক

আজও আমি খুজে ফিরি সেই পুরাতন আমাকে

ভদ্র মহিলার ফর্সা অনিন্দ্য সুন্দর ত্বকের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাদের চোখ ঝাফসা হয়ে আসে। তার পরও আমাদের তাকিয়ে থাকতে হয়। আমরা চোখ ফিরিয়ে নিতে পারি না। তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখান, তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেন এক সুন্দর ভবিষ্যতের। আমরা তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি, ঘন্টার পর ঘন্টা।

আমরা আশা করি উনি এমন কিছু করবেন যা আমাদের, আমাদের পরিবারদের ভবিষ্যত নিশ্বিৎ করবে। এক অন্ধকার সৈরতন্ত্র হতে আমাদের মুক্ত করবেন। যদিও আমরা জানিনা তার সে ক্ষমতা/ইচ্ছা আছে কিনা ? উনি আমাদের এক ধরনের ঘোরের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলেন, সম্মোহিত করে রাখেন। আমরা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকি। উনি আমাদের নিয়ে এক ধরনের খেলায় মেতে উঠেন, আমরা বুঝতে পারি উনি আমাদের নিয়ে নিষ্ঠুর খেলায় মেতে আছেন কিন্তু আমরা তার সম্মোহন হতে বের হতে পারিনা।

উনার সম্মোহন হতে বের হওয়ার ইচ্ছাটাও আমাদের থাকেনা। আমরা তার জালে জড়িয়ে যেতে থাকি। আমরা আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের ব্রতের কথা ভুলতে থাকি, ভুলতে থাকি আমাদের স্বপ্নের কথা। আমরা শুধু ভদ্রমহিলার দ্বাসত্বে মেতে উঠি। আমাদের কেউ কেউ উনার দ্বাসত্ব থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, উনি তাদের চরম ভাবে শাস্তি দেন যা দেখে আমারা শিউরে উঠি।

উনার সম্মোহনী শক্তি, উনার রুপের আকর্ষণ, উনার ভয় আমাদেরকে উনার চার পাশে শৃঙ্খলিত করে রাখে। আমরা তার অন্যায় আবদারের কাছে মাথা নত করতে থাকি। আমরা আমাদের ভবিষ্যতের পথে কাটা বিছাতে থাকি, বুঝতে পারিনা আমাদের সর্বনাশ, আমাদের সামনের অন্ধকার। আর যারা ভদ্রমহিলার সম্মোহনের বাইরে তারাও কিছু করতে পারে না । কারন তারও ভদ্রমহিলার প্রতি কৃত‘।

ভদ্রমহিলা আমাদেরকে , তাদেরকে এক উম্মাদ ভদ্রলোকের খপ্পর হতে রক্ষা করেছিলেন। তারা কৃতজ্ঞ চিত্ত্বে ভদ্রমহিলার স্তুতি গেয়ে যায়। তারা শাদা চোখে কিছুই দেখতে পায় না। আমরা সম্মোহিতের দল তাদেরকে কিছু জানাতেও পারি না। সময়ের সাথে সাথে আমাদের সম্মোহনী ভাব কাটতে থাকে।

আমরা আমাদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ বুঝতে পারি, নিজেদের কি অফুরন্ত ক্ষতি নিজেরা করেছি আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু উনার নিষ্ঠুরতার ভয় আমাদের কুকড়ে দেয়, আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠি আমাদেরকে নিয়ে, আমাদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে, আমাদের পরিবার নিয়ে। আমরা সর্বময় স্রষ্টার দারস্ত হই, আমরা প্রর্থনা করি, আমরা মুক্তি চাই ভদ্রমহিলার অশুভ বলয় হতে। আমরা অপেক্ষা করতে থাকি নতুন কোন ভদ্রলোক অথবা মহিলা আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসবেন। যিনি হবেন আমাদের সত্যিকার মুক্তিদাতা।

যিনি আমাদের মুক্ত করবেন, আমাদের ভবিষ্যৎ কাটা মুক্ত করবেন। আমাদের বিছিয়ে আসা কাটা পরম-মমতায় উপড়ে ফেলে আমাদের মুখে হাসি ফোটাবেন। স্রষ্টা আমাদের ভালোবাসেন, আর তাইতো আমাদের মনের আশা পূরন করে রাজবংশীয় এক ভদ্রমহিলা তসবি হাতে সন্যাসী বেশে আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। আমরা পরম ভালোবাসায় উনাকে জড়িয়ে ধরি। আমাদের উজ্বল ভবিষ্যৎ উনার কপালের মাঝখানটায় জ্বল জ্বল করে জ্বলতে দেখি।

আমরা আশান্বিত হই, আমরা আবার স্বপ্ন দেখা শুরু করি। আমাদের ভবিষ্য আমাদের সামনের দিন গুলিতে উনার উপস্থিতি কল্পনা করি। উনাকে আমাদের মাথার উপরে স্থান দেই। উনিও আমাদের সম্মোহিত করে রাখেন। আমরা উনার জাদুতে আছ্ছন্ন হয়ে থাকি।

আমরা পরম স্রষ্টার কাছে তার দীর্ঘ আয়ু কামনা করি। সময় তার নিজস্ব গতিতে পাগলা ঘোড়ার মত ছুটতে থাকে। সময়ের ঘুর্নায়নে অনেক কিছু আমাদের কাছ থেকে দুরে যেতে থাকে। সময় রাজবংশীয় সন্যাসী ভদ্র মহিলাকে আমাদের মত সাধারন মানুষের কাতারে নিয়ে আসে। আমরা পরম বিস্ময়ে দেখি সময় উনার হাত থেকে তসবী আর মাথার ঘোমটা কেড়ে নিয়েছে।

তার বিনিময়ে জিহ্বাগ্রে রেখে গেছে চরম এক বিষাক্ত কাটাযুক্ত ফল। যে ফলের কাটার আঘাত আমাদের সততই বিদ্ধ করতে থাকে। উনার জিহ্বাগ্রের বিষাক্ত ফলের খোচায় আমরা জর্জরিত হতে থাকি। বিষের আঘাতে, বিষের প্রভাবে আমাদের শরীর নীল হয়ে যায়। একদা সন্যাসী মনে হওয়া ভদ্র মহিলাকে আমাদের ডাইনি ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না।

আমরা ডানা ভাঙ্গা পাখির মত উনার হাত হতে রেহায় পাওয়ার জন্য ছটপট করতে থাকি। আমরা আর স্রষ্টার কাছে নতুন কাউকে পাঠানোর জন্য প্রর্থনা করি না। কারন আমরা বুঝতে পারি------ । আমরা আবার আমাদের পূর্বের সেই সাদা চামড়া ওয়ালা ভদ্রমহিলার নিকট ফিরে যায়। উনাকে নিয়ে আসি আমাদের উদ্ধারের জন্য কারন আমরা স্টুপিড আমরা অন্যকোন বিকল্পের কথা ভাবতে পারিনা।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।