করণিক: আখতার২৩৯
#################
*****
‘হঠাৎ ধার্মিক’ এবং ‘হঠাৎ বৈজ্ঞানিক’-দের দাপাদাপি
----------------------------------------
কিছু ‘হঠাৎ ধার্মিক’-এর এবং কিছু ‘হঠাৎ বৈজ্ঞানিক’-এর দাপাদাপিতে সমাজের সভ্যদের বিরক্ত হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি, -ঐ সকল যুক্তিবহুল কোন্দলিত মানবশাবকদের কীর্তিকলাপ দেখে দেখে বিজ্ঞানের চর্চায় চলমানেরা এবং ধর্মের চর্চায় সমর্পিতরা যে অফুরন্ত ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগ করবে, সেটাও অবাস্তব নয়, বরং এ মহারঙ্গপুরে দৃশ্যমান এবং এখানেও প্রমাণিত।
মহারঙ্গপুর : নিত্যসম যথাকালীন
*****
আচরণে ধার্মিক
------------
তোমার ধর্মই তোমার কর্মের নিয়ন্তা, আমরা তা’ মানি এবং বাস্তব হিসেবেই মানি। তবে, এটাও সত্য যে, কেউ তার কর্মে ধরা পড়লে কোনো জগতেই তার ধর্ম তাকে উদ্ধার করতে পারে না।
যারা কেবল ভাবধার্মিক তাদেরকে তো বাস্তবে ধর্মের কোনো কাজেই লাগে না হে করণিক।
ধর্ম নয়, বরং কর্মেই মুক্তি, -এই ধারণাটুকু যারা মর্মে ধারণ ক’রে নিয়ে চেষ্টা চালাতে পারে, কেবল তারাই আচরণে ধার্মিক হওয়ার যোগ্য।
রঙ্গপুর : ২৯/০১/২০১৪খ্রি:
*****
সাম্প্রদায়িক ধর্মগুলো প্রচলিত থাকার গুরুত্ব
-----------------------------------
(কিছু ‘হঠাৎ ধার্মিক’-এর এবং কিছু ‘হঠাৎ বৈজ্ঞানিক’-এর দাপাদাপিতে সমাজের সভ্যদের বিরক্ত হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি, -ঐ সকল যুক্তিবহুল কোন্দলিত মানবশাবকদের কীর্তিকলাপ দেখে দেখে বিজ্ঞানের চর্চায় চলমানেরা এবং ধর্মের চর্চায় সমর্পিতরা যে অফুরন্ত ধৈর্যের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগ করবে, সেটাও অবাস্তব নয়, বরং এ মহারঙ্গপুরে দৃশ্যমান এবং এখানেও প্রমাণিত। )
জ্ঞানপ্রাপ্ত মানবসমাজে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ধর্মগুলো প্রচলিত থাকার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না এজন্যেই যে, প্রত্যেকে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মহাজ্ঞানী না-ভেবে তার গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবনত থাকতে পারলে তাদেরকে কোনো সতর্কবাণী শোনানোর প্রয়োজনীয়তাই থাকে না।
অন্যদের ওপরে নির্দেশদাতা হওয়ার সহজাত আবেগের প্রবণতাটিকে স্বেচ্ছায় দমিয়ে প্রত্যেকে অন্যদের নির্দেশ পালন করতে ইচ্ছুক হ’তে পারলে, বিবেকবানেরা নীরব থাকতে পারতেন এবং কোনো জনসমষ্টিতে ধর্মের শাসন কিম্বা কোনো ধরণের বিধান প্রচার বা প্রবর্তনের সমকালীন ধকল সহ্য করার অনিবার্যতাও থাকতো না কোনো পরিণামদর্শীর বরাদ্দে।
রঙ্গপুর : ০১/০২/২০১৩খ্রি:
*****
ধর্মপ্রাণ আবেগাক্রান্তের সাথে ধার্মিকের পার্থক্য
---------------------------------------
ধর্মপ্রাণ আবেগাক্রান্তের সাথে ধার্মিকের পার্থক্য সুস্পষ্ট।
ধর্ম সর্বকালেই বিবেকপ্রসূত এবং বিবেকে আশ্রিত।
মনুষ্য বিবেকেই মানুষের পালনীয় ধর্ম ধারিত হয়।
আবেগ কোনো নিয়মনীতি মানতে পারে না। আবেগতাড়িত অবস্থায়, পাশবিক কিম্বা মানবিক কোনোটাই নই, -আমরা উন্মত্ত। আবেগাক্রান্তরা কখনোই কোনো ধরণের ধার্মিক রূপে স্থির বা আত্মনিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে না। উন্মত্ততা উন্মাদকে যখন যেভাবে চালায় উন্মাদ চলতে বাধ্য।
প্রজ্বলিত করে দিলেই তেজোদীপ্ত উন্মাদেরা জড়র মতোই চলতে থাকে। আবেগে চালিতরা নিজেদের ইচ্ছায় চলতেও পারে না, আর চলতে থাকলে থামাতেও পারে না নিজেরা নিজেদেরকে।
আবেগাক্রান্তের অস্থির আচরণকে ধর্মাচার ভেবে ভুল করাটা, ধর্মপ্রাণ অজ্ঞদের জন্যেই শোভনীয়।
অজ্ঞদের অজ্ঞতার জন্যে দায়ী, অজ্ঞদের কাছের জ্ঞানীজনেরা, যারা আশেপাশের অজ্ঞদের প্রতি উদাসীন। ঐ সকল জ্ঞানীদের জন্যেই বরাদ্দ যন্ত্রণাময় প্রায়শ্চিত্ত।
অজ্ঞদেরকে অজ্ঞতার মধ্যে রাখার সাংঘাতিক পরিণতি ভোগ না-করা পর্যন্ত জ্ঞানীরা দায়বদ্ধ থেকে যায়।
রঙ্গপুর : ০৬/০৪/২০১৩খ্রি:
গণকরণিক : আখতার২৩৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।