আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজ্যসভায় পেশ হলো না ভারত বাংলাদেশ জমি চুক

তৃণমূল কংগ্রেস ও অসম গণপরিষদ (অগপ)-র বিরোধিতায় ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পেশ হলো না ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি সংশোধনী বিলটি। গতকাল দুপুর ২টা নাগাদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ রাজ্যসভায় ১১৯তম সংশোধনী বিলটি পেশ করতে গেলে অগপের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য বীরেন্দ্র প্রসাদ বৈশ্য সংশোধনী বিল বিরোধী প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ওয়েলে নেমে এসে তার বিরোধিতা করতে থাকেন। তাকে সমর্থন করেন তৃণমূলের কয়েকজন সংসদ সদস্য। বিলটির বিরোধিতা করে এক সময় প্রচণ্ড হট্টগোল শুরু করে দেন তারা। সে সময় রাজ্যসভা পরিচালনা করেছিলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে ক্যুরিয়ন। ক্যুরিয়ন-ও বিক্ষোভরত সাংসদদের শান্ত হতে অনুরোধ করেন। যদিও কোনো কাজ হয়নি। বিরোধীদের হট্টগোলে বিদেশমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভায় বিলটি উত্তাপিত করতে ব্যর্থ হন। বিক্ষোভের ফলে সাময়িকভাবে অধিবেশন মুলতবি করে দিতে বাধ্য হন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান।

দশ মিনিট পর রাজ্যসভার অধিবেশন ফের শুরু হলে বিলটি উত্থাপিত করার কথা বলেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। কিন্তু বরফ গলানো যায়নি। ফের হট্টগোল শুরু করে দেন অগপ ও তৃণমূলের সাংসদরা। শেষ পর্যন্ত বিলটি পেশ না করেই সভার অধিবেশন মুলতবি করেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। এরপর ভারতের সংসদীয় মন্ত্রী রাজীব শুক্লা সাংবাদিকদের 'জমি অধিগ্রহণ সংশোধনী' বিলটি রাজ্যসভায় স্থগিত রাখার কথা জানান। প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালের ১৬ মে দিলি্লতে স্বাধীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ দ্বিপক্ষীয় আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ২০১১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ওই প্রটোকল স্বাক্ষর করেন। অসম পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেশ কিছু ছিটমহল রয়েছে। চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে থাকা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলো পরস্পরকে হস্তান্তরের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংবিধান সংশাধনী বিলটি অনুমোদিত হয়। এবার চলতি বাজেট অধিবেশনে বিলটি সংসদের দুই কক্ষ (রাজ্যসভা ও লোকসভা)-এ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুমোদন পেলেই ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত চুক্তিতে সিলমোহর পড়বে। তারপর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে চুক্তিটি কার্যকর হয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপিসহ বিরোধী দলগুলো এ চুক্তির বিরোধিতা করতে থাকায় এখনো পর্যন্ত বিলটি সংসদে পেশ করা যায়নি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.