আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যশোরে বিএনপি কর্মীকে পুলিশের গুলি

'আমি কোনো সন্ত্রাসী না। কোনো গোপন বৈঠকও করছিলাম না। গরুর জন্য ভুসি কিনতে বাজারে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে ঠাণ্ডামাথায় দুই পায়ে গুলি করেছে। আমি পঙ্গু হয়ে গেলে আমার পরিবার না খেয়ে মরবে'_ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার হোসেন ভুলু নামে গুলিবিদ্ধ এক যুবক গতকাল সন্ধ্যায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনিরামপুর থানা পুলিশ ভুলুকে গুলি করে। পুলিশের দাবি, ভুলু সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। ওই বাহিনীর গোপন বৈঠকে হানা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে তাদের 'বন্দুকযুদ্ধ' হয়। গুরুতর আহত ভুলুর রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ একেক সময় একেক কথা বলছে। মনিরামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের একটি আমবাগানে অভিযান চালায়। সেখানে তখন ভুলুর নেতৃত্বে গোপন বৈঠক চলছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভুলু গুলি ছোড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ পাল্টা জবাব দেয়। এ সময় দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ভুলু। ভুলুর কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা তা জানেন না বলে দাবি করেন ওসি। তবে দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভুলু শিবির ক্যাডার।

এর আগে ঘটনার পর পরই থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, অভিযানকালে ভুলু ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ পাল্টা ১৩ রাউন্ড গুলি ছুড়লে দুই রাউন্ড বিদ্ধ হয় ভুলুর পায়ে। এ সময় তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

চিকিৎসাধীন ভুলু জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার নামে একটি মামলা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তবে থানার ওসি দাবি করেন, ভুলু চারটি মামলার সুনির্দিষ্ট আসামি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মামলাগুলো হয়।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল বলেন, 'ভুলু বিএনপি কর্মী। সে অত্যন্ত দরিদ্র ও নিরীহ। পুলিশ বিনাকারণে তাকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেছে।'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.