চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে পে-অর্ডার জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই পক্ষের নেপথ্য সমঝোতার কারণে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তদুপরি জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও লঘু শাস্তিতে পার পেয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্তরা। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২৪ নভেম্বর করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের দরপত্রে অংশ নিয়ে নুর মোহাম্মদ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আটটি জাল পে-অর্ডার জব্দ করা হয়। ছয়টি এক লাখ, একটি ৫০ হাজার ও একটি ৪০ হাজার টাকার। দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জমা দেওয়া পে-অর্ডারগুলো সন্দেহ হলে সত্যতা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চসিকের পক্ষে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ মে ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে দেড়শ কোটি টাকার কাজ তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভাগ করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নগরীর পাঠানটুলী ও দক্ষিণ মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের কাজে দরপত্রে অংশ নিয়ে মাহমুদা বিল্ডার্স, তাসপিয়া বিল্ডার্স ও মেরিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান ভুয়া পে-অর্ডার দিয়ে কাজ পায়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এক মাসের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেই দ্বায় শেষ করে সিটি করপোরেশন। নাম প্রকাশ না করে একাধিক ভুক্তভোগী ঠিকাদার বলেন, প্রকৌশলীদের সঙ্গে বড় ঠিকাদারদের নেপথ্য যোগাযোগ আছে। দাফতরিক কাজে ঠিকাদারদের প্রকৌশলীরাই সহযোগিতা করেন। কী করে কী করতে হয় তারাই পরামর্শ দেন। এ ছাড়া এ ধরনের জালিয়াতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আবদুর রশিদ বলেন, প্রথমবারের ঘটনার শাস্তি যদি আরও কঠোর হতো তাহলে তা আর পুনরাবৃত্তি হতো না। প্রকৌশলী-ঠিকাদারি যোগসাজশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্তের মাধ্যমে তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। প্রধান প্রকৌশলী মো. মুখতার আলম বলেন, পে-অর্ডার জালিয়াতি হলে পিপিআরের নির্দেশনা অনুসরণ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।