সিলেটে সাম্প্রতিককালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে অপরাধীর সঙ্গে পুলিশের সখ্য গড়ে ওঠাকে দায়ী করলেন মহানগর পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অপরাধের সঙ্গে পুলিশের জড়িয়ে পড়ার কারণে নগরীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও রাহাজানি বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। এসব পুলিশ কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কমিশনার বলেন, এরই মধ্যে দুজনকে চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পুলিশ কমিশনার এ কথা বলেন।
সিলেটে ব্র্যাক ব্যাংকের কোটি টাকা ছিনতাই ঘটনার রহস্য দু-তিন দিনের মধ্যে উদ্ঘাটন হবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, নেহার মার্কেটের স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনার মূল হোতাদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এদের ধরে মিডিয়ার সামনে হাজির করা হবে।
সিলেটে এবার ১১৫টি দুর্গাপূজার মণ্ডপে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মণ্ডপে আসা লোকজনের নিরাপত্তায় পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পূজার সময় নারী ছিনতাইকারীর উপদ্রব বাড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, এদের ধরতে সাদা পোশাকে নারী পুলিশ মাঠে থাকবে।
ইভ টিজিং রোধে নগরীতে ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে এবং উত্ত্যক্তকারীদের তৎক্ষণাৎ সাজা দেওয়া হবে বলে জানান কমিশনার। পুলিশ কমিশনার জানান, পূজা ও ঈদুল আজহার সময় নগরীর বিপণিবিতানগুলোতেও কড়া নিরাপত্তা থাকবে। নগরীর বড় দুটি পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণের ১০টি মেশিন থাকবে। রাস্তায় কোনো পশুর হাটও বসতে দেওয়া হবে না।
মতবিনিময়কালে পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার এস এম রুকন উদ্দিন, উপ-কমিশনার এজাজ আহমদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. আয়ূব।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।