কতদিন আগে যে 'মুন্না ভাই এমবিবিএস' মুভিটা প্রথম দেখেছিলাম ঠিক মনে করতে পারি না। তবে ওটার একটা ঘটনা ভুলতে পারি না। ওই যে সেই হাসপাতাল ক্লিনারকে জড়িয়ে ধরে সন্জয় দত্তের থ্যাংকস বলার ঘটনা। সেই থেকে চেষ্টা করি ওটার প্রয়োগ করতে। আমার বর্তমান প্রবাস জীবনে প্রতিদিন দুটো বিপরীতধর্মী বিষয়ের মুখোমুখি হই।
সকালে অফিসে এসে সবকিছু ঝকঝকে তকতকে পাই। ক্লিন ফ্লোর, ক্লিন কিচেন, ক্লিন ডেস্ক, আগের দিনে ভরে যাওয়া 'গারবেজ ক্যান' পুরোটাই পরিস্কার। আর ওয়াশরুমের কথা! এমনও হয় বিকেলের দিকে অনেক সময় টিস্যু পেপারটা কিংবা হ্যান্ড সোপের কন্টেইনারটা খালি পাওয়া যায়। কিছুটা বিব্রতকর অবস্হা বৈকি! পরদিন সকালে যখন ফিরে আসি, আবার ঝকঝকে তকতকে ওয়াশরুম। সবকিছু ফিটফাট, পরিপুর্ন! কে করে এসব? একজন বা দু'জন মানুষ।
তারা আমাদেরই মতো দেখতে। তাদেরও সংসার আছে, বাচ্চা কাচ্চা আছে। রাস্তায় দেখলে হয়তো চিনতেই পারবো না। হয়তো সুন্দর একটা গাড়ি ড্রাইভ করে আসছে। কে জানে! অথচ বাসায় গেলে এর বিপরীত চিত্র।
নিজের গারবেজ ক্যান নিজে ক্লিন না করলে, নিজের বেড নিজে না গোছালে ওটা হয়তো ওরকমই দিনের পর দিন পরে থাকবে। যেদিন একটু দেরী করে অফিস থেকে ফিরি, সেদিন দেখা পাই ওদের। একজন মহিলা প্রতিদিন হাসি মুখে আসেন আমার ডেস্কের গারবেজ ক্যানটা চেন্জ করতে। একজন সুঠাম দেহী পুরুষকে দেখি বাথরুমের সবকিছু ম্যানেজ করতে। চেষ্টা করি দেখা হলেই থ্যাংকস বলতে।
চোখের সামনে ভেসে উঠে 'মুন্না ভাই' এর সেই ক্লিনারকে জড়িয়ে ধরার চিত্রটা। ওটা করতে না পারলেও এই যে প্রতিদিন 'জিহভার জড়তা'টা কাটিয়ে থ্যাংকস বলতে পারছি তাও বা কম কিসে। এই প্রাকটিসটা যেন করে যেতে পারি এ কামনা করি। ভাবি, পৃথিবীর সবকিছুতেই কিছু না কিছু পজিটিভ দিক আছে। মুম্বাই সিনেমাতেও আছে, দরকার শুধু দৃষ্টিভংগির, পজিটিভ মাইন্ড সেটের! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।