অনেকের মাঝেও একা থাকা যায়, নি:সঙ্গতায় কারো অনুভব ছুঁয়ে যায় ...
কতটা গভীরে যেতে পারেন বলুন তো?
ভাবনার ...।
বিষয়বস্তুর নিরিখে এই যে উল্টেপাল্টে নিরীক্ষণ
সে কি কেবল খোলসের বাইরেই পাক খায়?
যা দেখেন, যা শোনেন, যা আপাত বোঝেন
তাতেই কি সিদ্ধহস্ত সিদ্ধান্ত ঘোষনা দেন?
নাকি আপনি মূলে প্রবেশ করেন-
ঘটনার? রটনার? যন্ত্রনার?
মন্ত্রণার? কিংবা তাড়নার?
আচ্ছা! এতোটা মূলে পৌঁছলে কি
সমূলে আমূল গল্পটা থেকে সরে আসা হয়?
হয়ত ...!
কারণ একটা পূর্ণদৈর্ঘ্য গল্পের ভেতরে যে পুঞ্জীভূত গল্পগুচ্ছ,
তারও ভেতরে কতক ছায়া-শরীর ঘুরঘুর করে।
শরীরি পরিচিতিমূলক করমর্দনে আরেক গল্পের দরজায়
অশরীরি টোকা পড়ে যায়।
কিছুটা জ্ঞাতসারে। কিছুটা অজান্তেই ।
গল্পের শাখারা প্রশাখায় বিস্তৃত হয়। কলেবরে বর্ধিত হয়।
এবার আপনি এর কতটা গভীরে যাবেন!
কতটাই বা যেতে পারেন! আর কতটা যেতে চান?
জানি, গন্তব্য-ভ্রষ্ট হয়ে পড়ার ভয় তো আছেই !
তবুও..., আপনি কতটা ভেতরে যেতে ইচ্ছুক বলুন তো?
মস্তিষ্কের ...।
যেখানে রন্ধ্রজালে নিয়তই তন্ত্রমন্ত্রের প্রলাপ-
সমাজতন্ত্র! পুরুষতন্ত্র! রাজতন্ত্র!
আর সামান্য ভেতরেই দুঃসহ বিলাপ - আহ ! গণতন্ত্র!
নারীবাদ, পুঁজিবাদ বাদানুবাদে
বাদি-বিবাদির পরস্পর বিরোধী যুক্তিবাদ যখন তুমুল তুঙ্গে
ততক্ষণে কি অঙ্গাঅঙ্গি দূরত্বের বাড়ন্ত গভীরতা মেপে নিতে
ভেতরে ঢুকে যেতে চান?
কতটা গভীরতার কতটুকু অতলে গেলে তলের নাগাল পাওয়া যায় জানা আছে কি !
ভ্রুকুটি বলে দেয়, গন্তব্য সুনিশ্চিত নয়
যাত্রাপথ বন্ধুর বোধগম্য হয়
নিছক কৌতুহলেই গভীরতার ভেতরে যাওয়ার যে প্রস্তুতি ছিল
তা পরিশেষে আগুপিছুরত
আপনি কিঞ্চিত ইতস্তত
তিন আঙ্গুলের এক চিমটি সংযত
পুরো চিত্রনাট্যের ঠিক কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আত্ম-আবিস্কৃত
এতোক্ষণে জড়োসড়ো কলাকুশলীদের গা ঝাড়া প্রত্যাহ্বান
আরো গভীরে! আরো ভেতরে যেতে চান?
গল্পের ...।
চেতনার ...।
ঘৃণার ...।
হৃদয়ের ...।
অস্তিত্বের ...।
----------------------------
(১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০১০)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।