আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন
যেকোন ফ্লুরোসেন্ট সন্ধ্যায়
সুবেশী ভদ্রলোকেরা চীনে রেঁস্তোরায়
পেট্রিফায়েড মুরগীর ঠ্যাংয়ে কামড় বসালে
দুটো উদ্বাস্তু আর একটা দাঁড়কাক জড়ো হয়
রাস্তার অপরপ্রান্তের ডাষ্টবিনে।
একেকটা নারকীয় মধ্যাহ্নে যখন
কংক্রীটের অরণ্যে পাক খেতে খেতে
উড়ন্ত ড্রাগনেরা আগুনের হাঁচি দ্যায়;
শীতাতপ যান্ত্রিকতার হাজার মাইল বিপরীতে
ডিমের খোসার মতোন বরফ আস্তর ভেঙ্গে
সাঁতরে এগোয় কোন মেরু ভাল্লুক।
যখন থিতিয়ে পড়া রাত্রির খাঁজে ঝিকিয়ে ওঠে
ইস্পাত কিংবা হাসি কিংবা
শীৎকারে যোনীতে লাঙল ফাড়ে
একেকটা মেরুদন্ডহীন বীর্যবান পুরুষ;
ধূসর শ্মশ্রুতে নির্বাণের স্বপ্নে তখনও বিভোর থাকে কেউ,
প্রার্থনায় অর্জিত চাতুর্যে চেটেপুটে নেয় আলোর অবশিষ্টাংশগুলো।
প্রত্যুষে সারবাঁধা ল্যাম্পপোষ্টগুলোর নড়বড়ে আলো
সূর্যোদয়ের তোড়ে ভেসে গেলে,
দুঃস্বপ্ন ভেঙ্গে দুহাতে বালিশ আঁকড়ে ধরে
ঘুমিয়ে পড়ে শহুরে মানুষেরা সব।
দিন গড়ালে,
উত্তম কথকেরা চক হাতে শাদাকালোর
বিভক্তিতে লাইন টানে,
ঘাড় চুলকে খাড়া হয়ে রোদ আর
কোমরবন্ধনীতে বুড়ো আঙুল গুঁজে
শিং দোলায় কতগুলো বৃষ।
এইভাবেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল,
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত আর অনিদ্রিত প্রহর গড়িয়ে সূর্যোদয়...
সহস্র কাঁটা অস্তিত্বে বিধিয়ে এগোয় সময়।
এসবই দেখছি আর
আলো কিংবা অন্ধকারের আড়ালে
লুকিয়ে ঠোঁট চেটে নিচ্ছি আমরা ক'জন;
গিলোটিনের ব্লেড শানাচ্ছি দুর্নিবার।
-riz
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।