মিয়াজী
'গত ৬ মাসে সারাদেশে ধর্ষণের শিকার হয় মোট ২৯৪ জন। যার মধ্যে ১৭৪ জন নারী ও ১২০ জন শিশু। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫৫টি ।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনপুষ্ট ছাত্রলীগ জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে চূয়াডাঙ্গায় একজন গৃহবধু এএসআই কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হন, যশোরে এক গৃহবধু আনসার সদস্য কর্তৃক এবং জয়পুরহাটে ৮ বছরের এক শিশু গ্রামপুলিশের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন।
এছাড়া ২১ এপ্রিল পটুয়াখালীতে বাহাদুর নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর নেতৃতে ৬/৭ জন যুবক এক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। ২২ এপ্রিল ভোলার লালমোহনের কচুয়াখালী গ্রামে বিএনপি কর্মী শফি মাঝির স্ত্রী ও মেয়েকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে । এছাড়া ভোলায় উপনির্বাচনের পরদিন যুবলীগ নেতা সিরাজ মিয়া বিএনপি সমর্থিত নান্নু মেম্বারের ভাতিঝা রুবেলের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
১৩ মে সিলেট পলিটেকনিকে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত শ্রেণীকক্ষে এক ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সোনাইকান্দি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন রেজার পুত্র পান্না (২২) তার একজন সহযোগীকে নিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে (৪০) ধর্ষণ করে।
তাছাড়া খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার দুর্গম কেয়াংঘাট এলাকায় ১৫ মে ইউপিডিএফ-এর সন্ত্রাসীরা কল্পনা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৫ মে লালমনিরহাটে শরিফাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে এসিডে শরীর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ২৯ মে নারায়নগঞ্জে চাচাকে গাছের সাথে বেধে রেখে ২ ভাতিজীকে গণধর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা।
জুন মাসে লালমনিরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের খাদ্য পরিদর্শক শফিউল আলম ১২ বছরের কিশোরী গৃহপরিচারিকা দুলালীকে ধর্ষণ করলে তার মৃত্যু হয়। ৩ জুন শরীতপুরের প্রবাসীর স্ত্রীকে ৫-৭ জন সন্ত্রাসী জোরপূর্বক গণধর্ষণ শেষে তাকে গলাকেটে হত্যা করে।
২২ জুন নড়াইলে সেলিনা সুলতানাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।