ঘটনাটি ঘন্টা দুয়েক আগের। আমার ভাবীর গলষ্টোনের কারণে ব্যাথা শুরু হয়ে। তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার কিছু ইনজেকশন দিতে লিখে দিল। ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে রিসিপশনে ইনজেকশন দেয়ার কথা বললে তারা বলে কেবিন নিতে হবে এবং শুধুমাত্র কেবিন ভাড়া বাবদ ২৭০০ টাকা দিতে হবে। আমরা বললাম ইনজেকশন দেয়ার জন্য কেবিন ভাড়া নিতে হবে কেন? তারা বলল এছাড়া তাদের ইনজেকশন দেয়ার কোন জায়গা নাই।
তা ছাড়া ইনজেকশন দিতে ২/৩ ঘন্টা সময় লাগবে এবং আরো কিছুক্ষণ ''পর্যবেক্ষণে'' রাখতে হবে। এবং এই ২/৩ ঘন্টার জন্যই কেবিন ভাড়া ২৭০০ টাকা!! শুনে তো আক্কেলগুডুম! পরে সেখান থেকে বের হয়ে পাসেই লুবনা হাসপাতালে আসি এবং সেখানে ইনজেকশন দিই। এর জন্য সময় লেগেছে ২ মিনিট এবং সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২০০ টাকা। বুঝেন অবস্থা!! হাসপাতালের কাজ হলো মানুষকে বিপদের সময় সাপোর্টদেয়া। রুগীকে আশারবাণী শোনাতে হয়।
অথচ তারা আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নিতে চাইল! আমি তো তাদের সাথে ছিনতাইকারীর কোন ব্যবধান দেখতে পেলাম না। ছিনতাইকারী মানুষের টাকা পয়সা নিয়ে যায় ছুরি ঠেকিয়ে আর তারা নিয়ে যায় চিকিৎসার নাম করে। তাই বলি এদের থেকে সবাই সাবধান থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।