পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে
আজ ৩১ শে আগস্ট ২০১০। আমার ছেলে শাহ মুসতাকিম আলম'র দ্বিতীয় জন্মর্বাষীকী। তার অনাগত দিনগুলি সুন্দর ও সুখের হোক এই দোয়া সকলের কাছে কামনা করছি। তাকে নিয়ে আমার কিছু কবিতা নিন্মে প্রকাশ করা হলঃ
কিছুদিন আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ'র সাথে শাহ মুসতাকিম ও আমি
ছায়া ও মায়া
মুকুট নয় মুখের কথা হোক সোনার চে’ দামী
সত্যের পথে তুমি হও আপোষহীন সংগ্রামী।
তাকিয়ে থাকবে জনতা শান্তির মধুর বাণী শুনে,
কি পেলে বা না পেলে জীবনে দেখবে না গুনে!
মনের নির্ভেজাল সুখ চলার একমাত্র ঐশ্বর্য হবে,
আমার ছায়া ও মায়া সাথী হয়ে অনন্তকাল রবে!
মাধুর্য ব্যবহারে সবার অন্তর করে নেবে জয়,
রটিত হোক তোমার আনন্দের সঙ্গিত বিশ্বময়।
জীবের প্রতি সহানুভূতি স্রষ্টার আরাধনা তুল্য,
বণ্টন করো অনাহারীদের নিজের সামর্থমূল্য।
নেত্র প্রশারিত করো প্রভুর প্রদত্ত সরল পথে,
রবির আলোর মত উজ্জ্বল থেকো জীবন রথে।
জগতি তোমার কল্যাণ করুণ বরণীয় ক্ষণে,
ললিত লক্ষ্যে অনঢ় পদক্ষেপে সংসার রণে।
ছন্দময় আনন্দ প্রত্যহ জীবনের বাঁকে থাকুক,
বিত্ত বৈভবে নয় চিত্তে বাস করে অনাবিল সুখ।
মুসতাকমি
হৃষ্ট চিত্তে সব প্রশংসা
জানাই প্রভূর নাম,
যতন করে যে দিয়েছেন
তোমায় ধরাধামে।
সকল খুশি পড়ল লুটে
আমার চোখে মুখে,
যখন তুমি আসলে কেদেঁ
এই ধরনীর বুকে।
হাজার বছর ছিলো যেন
মনের মাঝে সাধ,
তোমার মত দেখব আমি
ফুটফুটে এক চাঁদ!
তোমায় দেখে ভেঙ্গে গেল
আমার খুশির বাঁধ,
উজাড় করে দেহ পরাণ
করছি আশির্বাদ!
মাগছি দোয়া প্রভূর কাছে
রাহমানুর রাহিম,
তোমার ছায়ায় থাকে যেন
আমার মুসতাকিম!
তুমি ধ্রুবতারা
জুঁই চামেলি ফুল ফুটেছে হৃদয় বাগিচায়
সবুজ ঘাসে চেয়ে আছে সুখের গালিচায়,
সব ভাবনার মূল ফটকে তুমি থাকো খাড়া
তোমায় দেখার অপেক্ষাতে পড়ল মনে সাড়া ।
আশা-বাসা আমার কাছে সব হয়েছে গত
চোখের জ্যোতি হয়ে তুমি থাকবে অবরিত।
প্রজাপতরি রঙিন ডানায় স্বপ্নগূলি মাখা
রামধনুকের সাত রঙে নীলাকাশে আঁকা,
ঘরে পরে সবার তরে লাগল খুশির ধুম
তাকিয়ে আছে চন্দ্রতারা পড়শি ও কুটুম।
চন্দ্র আছে আমার ঘরে তুমি ধ্রুবতারা
চাঁদ তারকার মিলনমেলায় আমি আত্মহারা!
প্রেম কাননে সুখ কুড়াতে তুমি হবে অলি
এই ভূবনে লাগবে যখন তোমার চরণ ধূলি।
ধরার ধূলি গায়ে মেখে জীবন করো ধন্য
জ্ঞানের শিখায় অনন্তকাল থাকবে অনন্য !
নতুন স্বপ্ন চাষ
সন্তানরে সাথে হাত ধরে পথ চলা শুরু
ভালোবাসা ভাবনায় মাস বছর পুরু!
জীবনে কেঠেছে কত বির্বণ সকাল সন্ধ্যা
ফুঠেছে হৃদয়ে শত র্বণহীন রজনীগন্ধা ।
চোখে ছিল কত স্বপ্ন বুক ভরা বিশ্বাস
সেই বিশ্বাসে তুমি করবে নতুন স্বপ্ন চাষ ।
যে স্বপ্ন আমার জনকরে, আমিও বিভোর
তুমি মাড়িয়ে যাবে কল্পনার করিডোর ।
আমার সিন্দুক বন্দি স্মৃতরি কপাট খুলে,
সুশোভন স্নিগ্ধ গূলি সাবধানে নিও তুলে।
আলোর সন্ধানে যেও ছুটে র্কডোবা নগর,
গ্রানাডার গ্লানী ভুলে দেখো সেই বাতিঘর।
মদিনার সবুজ মিনার চিরাতাল মুসতাকিম
অসীম অনুগ্রহ দান করূণ রাহমানুর রাহিম ।
তাফুতি
তোমার বলা হযবরল শুনতে মধুরশ্র“তি
এখন তুমি মধুর ভাষায় বলছো তাফুতি।
তাবৎ ফুলের তিলেক ঘ্রাণ হতে পারে অর্থ
তাছাড়া আর অন্যকিছু ভাবার নাই সামর্থ।
অর্থ খোঁজা অনর্থক হয় আমার মনের কাছে,
তাফুতি কে তাফতা ভেবে দেহ পরাণ নাচে।
একত্রিশ আগষ্ট দ্’ুহাজার আট শুভ জন্মদিন
সেদিন থেকে মন আনন্দে বাজে সদা বীণ।
একেক করে আটারো মাসে এখন তোমার পা
ন্যায়ের পথে চললে পাবে জয়ের শিরোপা।
এতদিন ছিলে বরফগলা টেমস্ নদীর তীরে,
আজ গেলে পূর্বপুরুষের বসত ভিটায় ফিরে।
সবুজ ঘাসে শিশির ভেজা প্রথম সকাল দেখে
কোমল রোদের স্নিগ্ধমায়া গায়ে নেবে মেখে।
বারান্দাতে আলোর নাচন যখন ভোরের বেলা
আঙ্গিনাতে জমবে ভালো ধূলি-মাটির খেলা।
সে মাটিকে ভালোবেসে রাখবে তোমার প্রাণে,
বারেবারে আসবে ফিরে দেশের মায়ার টানে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।