বুধবার বিকেলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মুহা: শুকুর আলী জানান, উপকূলীয় তিনটি উপজেলা মংলা, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের প্রান্তিক এলাকার লোকজনকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও পাকা স্কুল ভবনে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
বুধবার দুপুর থেকে মংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজগুলোতে মালামাল ওঠা-নামার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর হাবিবুর রহমান ভূঁইঞা।
মঙ্গলবার থেকে পূর্ব সুন্দরবনে প্রবেশে ইচ্ছুক পর্যটক ও জেলেদের অনুমতি দেয়া বন্ধ করেছে সুন্দরবন বিভাগ। সরিয়ে আনা হয়েছে সুন্দরবনে অবস্থানরত পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের।
জেলা প্রশাসক জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলায় দেড় হাজার প্রশিক্ষিত উদ্ধারকর্মী, ৮২টি চিকিৎসক দল ও পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ করা হয়েছে।
জেলায় ২০১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এ সব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া পাকা স্কুল ও কলেজ ভবনগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আমির হোসাইন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনের ৩৫টি ক্যাম্প ও স্টেশনে অবস্থানরত চার শতাধিক বনকর্মীকে তাদের হাতিয়ার ও মালামালসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্প থেকে বনকর্মীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সুন্দরবনে এখন কোন পর্যটক অবস্থান করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে জেলে ও পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কটকাসহ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত জেলেদের বনের ভেতরের তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
জেলার সব থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম মামুন উজ জামান এবং ও মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মিজানুর রহমান জানান, নদী সন্নিহিত গ্রামগুলো থেকে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।