ফুলের সৌরভে সুরভিত কলমের কণ্ঠস্বর
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে ভোলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি বাড়ায় ভোলার পাঁচটি বিচ্ছিন্ন চরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুধবার দিনভর থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় নদী ও সাগর মোহনা ছিলো উত্তাল।
ঘূর্ণি বাতাস ও প্রবল ঢেউয়ে মেঘনা নদীতে সন্ধ্যায় দুটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ছোট ছোট নৌ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ভোলায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে এ অঞ্চলে কোনো বিপদ সংকেত দেখানো হয়নি। তাই আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরের স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল সিকদার ও মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট বেড়েছে।
এর ফলে চর নিউটন, সিকদারের চর, চর মনোহর ও চর লিউলিনের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও ঢালচর ও কুকরী মুকরীর কিছু কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
মনপুরা থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর ও চর নিজামের কিছু অংশ তলিয়ে গেছে।
ভোলা সদর উপজেলার মাঝের চরের মৎস্য ব্যবসায়ী নোয়াব উদ্দিন জানান, প্রবল ঢেউয়ে মদনপুরার একটি জেলে নৌকা ও কাচিয়ার কাঠির মাথার একটি নৌকা মেঘনাতীরের কাছাকাছি ডুবে যায়।
তবে এ ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ এবং উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, চাঁদপুর, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িৎ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অনতিবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতেও বলা হয়েছে বুলেটিনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।