আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগ মানেই চরিত্রহীন!!!

অতীত এবং বর্তমানকে সাথে নিয়ে আগামীর সপ্ন দেখি । সময়ের সাথে আগামীর পথে -সদা নির্ভীক..

ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি ও উত্যক্তকারী হিসেবে ছাত্রলীগ সম্পর্কে একটা অভিযোগ বরাবরই ছিল। সেঞ্চুরিয়ার মানিক ছাত্রলীগের সে অশুভ চরিত্রটিকে সবার সামনে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট করে তোলে। ধর্ষণে সেঞ্চুরী করে ছাত্রলীগ নেতা মানিক যে কলঙ্কের ইতিহাস রচনা করেছিল সে ইতিহাসের পঙ্কিল পথে প্রতিনিয়ত ছুটে চলছে ছাত্রলীগ। আগে শুধু ছাত্রলীগের ছাত্ররাই এ সব কাজে সিদ্ধহস্ত ছিল, ইদানিং ছাত্রলীগের ছাত্রীরা ছাত্রদের চেয়েও কয়েক ধাপ এগিয়ে বেশ্যাবৃত্তিকে দলীয় কর্মসূচীতে পরিণত করেছে।

পত্রিকার রিপোর্ট থেকে এ কথা বেরিয়ে এসেছে যে ছাত্রলীগের ছাত্রী নেত্রীদের কাজ এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের ও মন্ত্রীদের বাসায় ছাত্রীদেরকে সরবরাহ করা। এমনকি নিরীহ ছাত্রীদেরকেও বাধ্য করা হচ্ছে মন্ত্রীদের বাসায় গিয়ে তাদের মনোরঞ্জনে। বিকৃত যৌনাচারে ছাত্রলীগ একের পর এক যে নোংরা ইতিহাস রচনা করছে তাতে মনে হয় বিকৃত যৌনাচারই ছাত্রলীগের মূল পরিচয়। পত্রিকা থেকে জানা যায় যে সকল ছাত্রী ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত যৌনাচারে অসম্মতি জানায়, তাদের হয় জোরপূর্বক ধর্ষণে বাধ্য করা হয় অথবা জামাত শিবিরের সমর্থক বলে হোস্টেল থেকে বের করে দেয়া হয়। দেহব্যবসার মাধ্যমে ছাত্রলীগের ছাত্রী নেত্রীরা অবৈধ অর্থের পিছনে ছুটতে গিয়ে ব্যবসার নেতৃত্ব নিয়েও এরা সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।

গতকাল দেহব্যবসা নিয়ে ইডেনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০জন আহত হওয়া তারই সাক্ষর বহন করে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে সামাজিক অবক্ষয় এভাবে যদি দিন দিন বাড়তেই থাকে তাহলে সমাজে সম্মানের সাথে নারীদের টিকে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। আমরা আমাদের মা-বোনদেরকে সম্মান করি, তাদেরকে চরিত্রবান রূপেই দেখতে অভ্যস্ত। এভাবে ছাত্রলীগের অত্যাচারে নিরীহ বোনেরা যদি তাদের সতিত্ব হারায় তবে তার দায়ভার কিছুতেই সরকার এড়াতে পারে না। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে মানিকের অপকর্মের ফলে মেয়েদের বিয়ে ভেঙ্গে যেত শুধু জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রী পরিচয়ে।

সম্মানের সাথে সমাজে যারা চলতে চায় তারা জেনে শুনে এমন কোন নারীকে বিয়ে করতে চায় না যার দিকে সমাজের আর দশটা লোক চরিত্রহীন নারী বলে ইংগিত করার সুযোগ পায়। বলাই বাহুল্য যে বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্রী মানেই চরিত্রহীন নয়, বরং গুটিকয়েক দেহব্যবসায়ীর জন্য পুরো ছাত্রীদেরকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়। যারা বিশ্বিবদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশুনা করতে ভয় পান, নিজেদের সতিত্বকে মক্ষীরাণীদের হাত থেকে পবিত্র রাখতে চান তারা অনেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকছেন। কিন্তু ইদানিং ছাত্রলীগের চরিত্রহননের কর্মসূচীতে ভীত হয়ে বাড়ীওয়ালা কিংবা পাড়া মহল্লার মুরুব্বীরাও “ছাত্রীরা আবাসিক এলাকায় থাকলে ‘পরিবেশ নষ্ট হয়’! এমন অভিযোগে ছাত্রীদের বাসা ভাড়া দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। ছাত্রীদের শিক্ষার পরিবেশ এভাবে যদি বিঘ্নিত হয় তবে দেশের অর্ধেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা হুমকির মুখে পড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

যে সকল ছাত্রী অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে শেখে নি তারা ছাত্রলীগের অপকর্মে হয় লেখাপড়া ছেড়ে দেবে, নয়তো ছাত্রলীগের সাথে আপোষ করে ভিরে যাবে মক্ষীরানীদের আস্তানায়, এমন আশংকা আজ অভিভাবকদের মনে। আমরা চাই না আমাদের মা বোনেরা শিক্ষার আলো বঞ্চিত হোক। আমরা চাই না আমাদের বোনদের দিকে আঙ্গুল তুলে কেউ চরিত্রহীন বলে গালি দিক। আমরা চাই নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ। আমরা চাই চরিত্রবান ভবিষ্যত।

কপি পেষ্ট শাহরিয়ারের স্বপ্নবিলাস,

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.