আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইন্টারভিউ : বেবী নাজনীন

গভীর কিছু শেখার আছে ....

সীমান্ত শহর নীলফামারীর সৈয়দপুরে আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন বেবী নাজনীন। শৈশবে দুরন্তপনার পাশাপাশি সুরের সঙ্গে ঘটে মেলবন্ধন। মাত্র ৫ বছর বয়সে সঙ্গীতে সম্পৃক্ততা তাঁর। শিশু বয়সেই স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় অনুষ্ঠান এবং রেডিও-টিভিতে গান করে খ্যাতি পান। ফলশ্রুত পেয়েছেন জাতীয় শিশুশিল্পী পুরস্কার (১৯৭৬, ৭৭, ৭৮ এবং ৭৯)।

জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী হিসেবে আজকের অবস্থান অর্জনে বেবী নাজনীন অতিবাহিত করেছেন তাঁর সঙ্গীত জীবনের প্রায় ৪০ বছর। দেশের সেরা গায়িকা হিসেবে বেবী নাজনীন ২০০৩ সালে সর্বশেষ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বাচসাস এবং সিজেএফবি পুরস্কার পেয়েছেন বহুবার। তাঁর অনেক এ্যালবামেই নিজের লেখা এবং সুরারোপিত গান গেয়েছেন তিনি। অডিও বাজারে তাঁর ৪২টি এককসহ এবং দেড় শতাধিক মিক্সড অডিও এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।

কবিতা লিখতে ভালবাসেন তিনি । 'সে', 'ঠোঁটে ভালবাসা' এবং 'প্রিয়মুখ' শিরোনামে তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। সাধনার শুরু থেকে সঙ্গীতের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার নিয়ে ছুটে চলা সময়ে বেবী নাজনীন পেয়েছেন 'উত্তর বঙ্গের দোয়েল', 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড', 'কৃষ্ণ হীরক', 'কৃষ্ণ কলি' খ্যাতি। বর্তমানে ব্যস্ত তিনি ঈদের এ্যালবামের কাজ নিয়ে। ঈদে সঙ্গীতার ব্যানারে নতুন সলো এ্যালবাম আসছে বলে জানালেন তিনি।

তবে এ্যালবামের নাম এখনও ঠিক হয়নি। মিডিয়া নিয়ে তাঁর ভাবনা অনেক। অডিও অঙ্গনে সাম্প্রতিক অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন তিনি। অডিও অঙ্গনের অস্থিরতার কারণ জানতে তিনি বললেন, 'মিডিয়ার অস্থিরতার মূল কারণ হলো দেশ এখনও তাঁর ক্রান্তিকাল থেকে উঠে আসেনি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও খারাপ।

অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে শিক্ষিত মানুষরা যত বেশি আসবে অডিও অঙ্গন ততই উত্তরণ করবে। ' তবে মূল যে বিষয়টিকে তিনি দায়ী করলেন তা হলো আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে। তিনি বলেন, 'কেবল টাকা থাকলেই সব কিছু করা সম্ভব হয় না। পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আমাদের পুরো সিস্টেমকে পরিবর্তন বা ডেভেলপ করা। ' ভক্তদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে বললে বেবী নাজনীন বললেন, 'আমি চাইব আমার ভক্তরা যেন ভাল গান শোনেন এবং ভাল গানের পরিবেশ সৃষ্টি করেন।

' দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।