ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া বলেন, বুধবার এ ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ মামলায় শেষ যুক্তিতর্কের জন্য শুনানির এ তারিখ ধার্য করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হলে এ মাসেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
দৈনিক সমকালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর সমকালের পত্রিকার ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতম দাসকে তার কার্যালয়ে ঢুকে খুন করে সন্ত্রাসীরা।
বিচারকও আদালতে বলেন, খুব তাড়াতাড়িই এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এদিকে বুধবার এ মামলার প্রধান আসামি আসিফ ইমরানের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসিফকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিপক্ষের কৌঁসুলি কাইয়ূম খান।
বুধবার শুনানির দিন ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ আদেশ দেন।
বিশেষ পিপি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে ২০০৮ সালের ২৪ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ইমরানকে ছয় মাসের জামিন দেয়। জামিনের মেয়াদ অনেক আগেই পার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ আসামি এসব তথ্য গোপন রেখে হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন বলে ট্রাইবুনালে বারবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন বহাল রাখেন।
“কয়েকদিন আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন বিষয়ে একটি আদেশ আসার পর সবকিছু ধরা পড়ে,” বলেন তিনি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কার কাজ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গৌতম খুন হন।
২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারিতে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
ফরিদপুরের আদালত ওই বছর ১ অগাস্ট থেকে মামলা দ্রুত বিচারের জন্য ঢাকার এ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০০৭ সালের ১৩ নভেম্বর আসামিপক্ষ এ মামলাটির বিচারের ওপর হাইকোর্ট থেকে স্থগিত আদেশ পায়।
পরে সে আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
মামলার ১০ আসামি হলেন আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, জাহিদ খান, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়া, আবু তাহের মতুর্জা ওরফে এ্যপোলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।