এখনকার দিনে ক্যারিয়ার বলতে বুঝায় মোটামুটি সচ্ছল জীবনের নিশ্চয়তা। ভালোভাবে বেঁচে থাকার একটা পথ। আজকের তরুন সমাজকে শিক্ষকতা ঠিক সে ধরনের নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে শিক্ষকতা এখন আর ততোটা আকষর্ণীয় নয়। সে তুলনা বিজনেস এক্সিকিউটিভ অথবা সিবিল সার্ভিস কর্মকর্তা হওয়ার প্রতি ছেলেমেয়েদের লোভটা বেশী।
কারণ সেখানে সচ্ছল জীবনের নিশ্চয়তা আছে। তাই এখনকার মেধাবিরা শিক্ষকতার প্রতি খুব একটা আগ্রহী হয়না
প্রয়োজনের ব্যপার তখনো ছিলো। তবে মানুষের অভাবটা আজকের মতো আকশচুম্বী ছিলনা। ফলে শিক্ষকতার মোটামুটি চলনসই পেশা হিসাবে অনেকে মনে করতো। পাশাপাশি সম্মানের ব্যাপাটরা তো ছিলই।
এখনকার শিক্ষকরা নিজেদের ভাগ্যহীন মানুষ মনে করে। শিক্ষকতায় এসে তারা আর্থিক অনটনপুর্ণ এক জীবনে ধাবিত হয়েছেন। শিক্ষকতার জন্য আদর্শ প্রয়োজন। আমরা অর্থসর্বস্ব একটা যুগে এসে পড়েছি। যেখানে মানুষের সব শ্রেয় বা মহৎ ঢেকে দিচ্ছে অর্থ এবং সস্তা জৌলসের হাতছানি।
জনপ্রিয়তা ও আদর্শ খুব বড় কোন পার্থক্য নয়। ভালো শিক্ষক হওয়ার জন্য মুল শর্ত হচ্ছে আদর্শ। একজন আদর্শবান শিক্ষকের পক্ষে জনপ্রিয় হওয়া খুবই সম্ভব। তবে তার মধ্যে অবশ্যই জনপ্রিয় হওয়ার গুনাবলী থাকতে হবে। বিচ্ছিন্ন দেখা দেয় এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় না ঘটলে।
কারো মধ্য হয়তো জনপ্রিয়তা হওয়ার গুন আছে কিন্তু আদর্শ দুর্বল। কারো বা আদর্শ আছে তবে ছাত্রদের রক্তে নিজেদের সঞ্চালিত করতে পারেন না। মুল ব্যাপরটা হচ্ছে কমিউনিকেশন। এ কাজটা অনেকে করতে পারেন না। ছাত্রদের স্বপ্নটা জাগিয়ে তুলতে পারেন না।
সত্য কথা হলো আদর্শ শিক্ষককে জীবনে অনেক মূল্য দিতে হয়।
অনেকেরই ছেলেবেলা থেকেই শিক্ষকতা করার স্বপ্ন ছিল। এখন যারা শিক্ষক আছেন তাদের মধ্যে এত হতাশা কেন?। শিক্ষক তার দাবি দাওয়া আদায়ে ধর্মঘট করতে হয়, রাজপথে নামতে হয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রতি সামাঞ্জ্যতা পরিপূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতে থাকবে।
এরপরো বলতে হয় একজন শিক্ষক পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজে জড়িত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।