কলকাতা : উগ্রপন্থীরা রাজ্যেআর বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। কলকাতার জীবনানন্দ দাস সভাঘরে নিরাপত্তা বিষয়ক বই ‘অতন্দ্র প্রহরী’র উদ্ধোধন করতে গিয়ে একথা বললেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র সচিব অর্ধেন্দু সেন। তিনি জানান, জলপথে উগ্রপন্থী আক্রমণ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় উপকূল নিরাপত্তা যোজনায় রাজ্যে প্রথম দফায় ৬টি উপকূল থানা চালু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তৈরি হবে আরো ৯টি উপকূল থানা।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আরো জানান, উগ্রপন্থী সংগঠনের দেদার অর্থ রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংস্থাদের টাকা দিয়েই তারা নানা নাশকতা ঘটনোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এরসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে মাওবাদীরা। সব উগ্রপন্থী সংগঠনই আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে ধ্বংসের কাজ করছে। কারণ টাকার বিণিময়ে তারা সহজে পেয়ে যাচ্ছে ‘রেডিমেড লোকজন’। এরা বন্দুক ছুড়তে পারে, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে তারা সাবলীল।
এদের ঠেকাতে রাজ্য পুলিসের সঙ্গে বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থাদের এগিয়ে আসাটা জরুরী।
যারা বেসরকারী নিরাপত্তার সাথে যুক্ত তাদের দিকে তাকিয়ে বেসরকারী নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ত্রিদিব বিশ্বাস ‘অতন্দ্র প্রহরী’ বইটি লিখেছেন। বইয়ে রয়েছে হঠাৎ আগুন লাগলে একজন নিরাপত্তা কর্মীর কাজ কী। এবাদেও বোমাতঙ্ক হলে কী করা উচিত, ব্যাঙ্কের এটিএম, শপিং মল, আই টি সেক্টর, শহরের বহুতল বাড়ি, হোটেলের সুরক্ষায় কোন কোন বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে তাও দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বইটিতে সহজ ভাষায় লিখেছেন লেখক। যেকোন ব্যক্তিগত সুরক্ষা কর্মীর কাছে বইটি একান্ত পাঠ্য।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য বাংলায় লেখা বইটি পাঠ্য বইয়ের মতো কাজ করবে বলে দাবি রেল সুরক্ষা বাহিনীর প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা অশোক কুমার অ্যাব্রল। তিনি জানান, মুম্বাই হামলার পর দেশ জুড়ে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর চাহিদা বাড়লেও তাদের পারিশ্রমিক ও প্রশিক্ষণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবহেলিত থাকে। এমনকি নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিত বিধিবদ্ধ ২০ দিনের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণও মানে না অধিকাংশ ‘সিকিউরিটি এজেন্সি’। ফলত নিরাপত্তা কর্মীরা যেমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করেন, তেমনি যারা তাদের ওপর ভরসা করে থাকেন তারাও প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হন। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক কোন পাঠ্যক্রমের ওপর জোর দেন সভায় আসা বিভিন্ন বক্তারা।
তাদের মতে অগ্নিনিরাপত্তা সপ্তাহ, পথ নিরাপত্তা সপ্তাহের মতো নিরাপত্তা সচেতনা সপ্তাহ পালন করা জরুরী। রাজ্য স্বরাষ্ট্র সচিব মারফত দুটি বিষয় বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পেশ করেন ত্রিদিব বিশ্বাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।