salehin.arshady@gmail.com
কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম খাগড়াছড়ি । খাগড়াছড়িতে ট্রেকিং করার তেমন সুযোগ ছিল না। দুপুরের মধ্যেই আমাদের খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিসাং-১ আর রিসাং-২ দেখা শেষ হয়ে গিয়েছিল। এর বেশী কিছুর প্ল্যান ও ছিল না। কিন্তু একবার বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লে সহজে আর সেই খোয়াড়ে ঢুকতে ইচ্ছা করে না।
কয়েকদিন আগে গুগল আর্থ এ দেখেছিলাম খাগড়াছড়ি থেকে একটা বাইপাস আছে রাঙামাটি যাবার। হঠাত সেটা মনে পড়ে গেল আর হেটে হেটে রাঙামাটি যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম একদমই হঠাত করে। আকাশ ও মেঘলা ছিল, রোদের তো দেখাই পেলাম না পুরো পথে। এজন্যই আসলে সাহস টা করলাম। থেমে থেমে হুলস্থুল বৃষ্টি হচ্ছিল।
পাহাড়ী রাস্তা দিয়ে হাইকিং করার আলাদা একটা মজা আছে। যাত্রা পথের অপূর্ব ছবি গুলো শেয়ার করতে পারলাম না বলে দুঃখিত, এত বৃষ্টি হচ্ছিল যে কেউ তার ক্যাম বের করার সাহস পাচ্ছিল না। মাঝে মাঝেই টং দোকানে পাহাড়ী চা খেয়ে এনার্জী বাড়িয়ে নিচ্ছিলাম। সন্ধ্যা হবার আর ১ঘন্টা বাকী দেখে একটা লোকাল বাসের ছাদে উঠে গেলাম। কাপ্তাই হ্রদের সূর্যাস্ত টা মিস করতে চাচ্ছিলাম না।
জামা-কাপড়, মানিব্যাগ সব কিছু ভিজে চুপচুপা। রাঙামাটি নেমেই একটা সিএনজি নিয়ে সোজা রিজার্ভ বাজার চলে গেলাম। দামাদামি করে একটা ট্রলার ঠিক করে ফেললাম সেদিনের রাত আর পরের দিনের জন্য। হোটেলে না থেকে ট্রলারেই রাত কাটিয়ে দেয়ার ইচ্ছা। আকাশে তখনও কিছু আলোর ছটা দেখা যাচ্ছিলো।
রেড়িয়ে পড়লাম ট্রলার নিয়ে। রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা এমনি এমনি ঘুড়লাম। এদিকে আমাদের পাকস্থলি বিদ্রোহ শুরু করে দিল। পাড়ে এসে সোজা উঠে গেলাম সুফিয়ার ৩ তলায়। ইচ্ছা মত উদোর পুর্তি করে রাতের শহরে হাল্কা টহল দিয়ে আবার দেড়িয়ে পড়লাম ট্রলার নিয়ে।
সারারাত ট্রলারের ছাদে শুয়ে শুয়ে বৃষ্টির পানিতে সব পাপ গুলো ধুয়ে নিচ্ছিলাম।
দিগন্তের রঙ চোখের সামনেই ধীরে ধীরে পালটে যেতে দেখলাম। আকাশে হঠাত করেই রঙের মেলা বসে গেল। ট্রলার দিয়ে রাতেই আমরা বেশ দূরে চলে গিয়ে ছিলাম, ফিরে আসার পথে আমাদের মাঝু বলল রাঙামাটি এসে সুবলং ঝর্ণা না দেখে গেলে নাকি পাপ হয়।
মানুষজন কে দেখি শুধু সুবলং সুবলং করে, আমার এখানে একদমই যেতে ইচ্ছা করে না।
চোখ বন্ধ করে একটু কল্পনা করেন- একটি সুন্দর সবুজ পাহাড়ী ঝর্নার ঠিক নীচেই নীল রঙের কনক্রিটের টয়লেট...। অসহ্য...
পরদিন আমাদের সবারই কাজ ছিল। তাই দুপুরের মধ্যেই পাড়ে এসে শ্যামলির বাসে চড়ে সোজা ঢাকার পথে রওনা দিলাম।
হাটা হল শুরু
এনার্জীর জন্য গ্লুকোজ দরকার, তাই সাথে আছে নাবিস্কো
সন্ধ্যায় কাপ্তাই ১
সন্ধ্যায় কাপ্তাই ২
ভোরের কাপ্তাই
জীবনটা যদি এভাবেই কাটিয়ে দেয়া যেত
সুবলং ঝর্না
নিঃসঙ্গ জেলে
দূরের রাঙামাটি বৃষ্টির কবলে
বৃষ্টির কবলে
উড়ে যেতে মন চায়
স্বপ্নের মত এক ঝর্না, এটার নীচে পাক্কা ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর একটু শান্তি পাইলাম।
একদিন খাগড়াছড়িতে- Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।