নবান্ন : আমার ঘরে ফেরা হয় না অনেকদিন, রাস্তাগুলো বেমুলাম গায়েব হয়ে গ্যাছে, দাবদাহে পুড়ে গেছে ছিন্ন খড়, মাতাল ঘর আমার দিয়েছে উড়াল ঝড়ের সাথে, আহা পশ্চিম প্রান্তর! যেখানে ঈশ্বর থাকেন কখনও করেননি সন্ধান আমার, যেমন আমিও! ঈশ্বরকেও বুঝি অভিমানী হতে হয়, হয় কি?
নবান্ননিশি : ডুবে গ্যালে জীবনানন্দের পঞ্চমীর চাঁদ, ঘোলাটে আলোয় ভোর আরও নিকটে আসে নিয়ে বকুল ঘ্রাণ, যদি জাগো ভোরবেলায় কখনও গভীর ঘুমের শেষে, আহা যেন কতদিন ঘুমাও না তুমি! ক্লান্তিগুলো কেবলই সয়ে যায় অনাগত যে দিন আসেনি এখনও তারই নির্মোহ অপেক্ষায়, জেনো দাড়িয়ে আছি এবং আর কখনই ছিলাম না!
নবান্নপড়শি : ছড়িয়ে দিয়ে সোঁদাগন্ধ আঙ্গিনাময়, কাদাজলেসিক্ত দুহাতের পরম যত্নের প্রলেপ শেষে ঘরের ভিটেয় তখন নতুন সূর্যের উত্তাপ, সিথিঁতে রক্তলাল সিদুঁর, লজ্জ্বিত সূর্যকে করে আহ্বান, পূর্বদিগন্তের ঈশ্বর তুষ্টিতে ঝলমল হন, আহা ঈশ্বর নিশ্চয় নবান্নপড়শিকে দিবেন বঢ়, গাঢ় বিশ্বাস আসে মননে!
প্রথম পুরুষ : আহা গতকাল ঝড়ে নবান্নপড়শি দূরে উড়েছে তার নতুন সাজের ভিটে ছেড়ে, গহীন দ্বীপের মাঝে পুড়েছে নবান্ননিশি যেমন প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরে পুড়ে এসেছে পূর্ববংশ, আর নবান্ন এখন চৌচির এক অচেনা দাবদাহড়িত তৃষ্ণান্ত গৃহের লোলুপ সেবায়, আর পরম মানিকের ঈশ্বর সকলেই জ্ঞাত আছেন নিশ্চয়ই!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।