কমিশনের উপপরিচালক মো. হারুন উর রশিদ বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে তাদের কাছে এই অভিযোগ আসে।
বিষয়টি ‘অনুসন্ধানাধীন’ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এনজিও ব্যুরো থেকে আসা কাগজপত্র এবং ‘অধিকার’র জব্দকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ”
হেফাজতবিরোধী মতিঝিল অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য প্রকাশের অভিযোগে অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে দুই সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকার কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্রও তখন জব্দ করা হয়।  
দুদকে অভিযোগ কারা করেছে- জানতে চাইলে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে তা প্রকাশ করতে রাজি হননি হারুন উর রশিদ।


ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া অর্থ আত্মসাত করেছে অধিকার।
দুদক পরিচালক বলেন, “জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের (দুদক) কাছে একটি অভিযোগ আসে। সেখানে বলা হয়, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আসা কোটি কোটি টাকা ভুয়া খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছে সংস্থাটি।
“বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখিয়ে তারা দাতা সংস্থাগুলোর কাছে টাকা চাইত, যেগুলোর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। ”
অনুসন্ধান শেষ করে শিগগিরই প্রতিবেদন দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন দুদক উপপরিচালক।


এই বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি অনুসন্ধানাধীন। তা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। ”
গত ৫ মে মতিঝিল থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের তুলতে পরিচালিত অভিযানে ৬১ জন নিহত হয় বলে এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে অধিকার।
সরকারের দাবি, রাতের ওই অভিযানে কেউ নিহত হয়নি।
অধিকার প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাদের কাছে কথিত নিহতদের নাম-ঠিকানা চেয়ে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।

কিন্তু চিঠির জবাবে তা পাওয়া যায়নি বলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান।
এর পর গত ১০ অগাস্ট গ্রেপ্তার করা হয় আদিলকে, যিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
আদিলকে গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। তার গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও।
।